আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

শনিবার, ১১ জুন, ২০১১

হাসতে কইছে কে ? (১৮+) ( পর্ব - ২ )


 ১১.    ডাক্তার, আমার ছেলের মনে হয় গনোরিয়া হয়েছে। ফোনে এক রোগী তার ডাক্তারকে ফোন করলো। বাড়ির কাজের মেয়ের সাথেই সে একমাত্র আকামটি করেছে।
- ঠিক আছে, ও তো একটা বাচ্চা। ওর সাথে খারাপ আচরণ কোরো না। ডাক্তার বললো। ওকে চেম্বারে নিয়ে এসো। সব ঠিক হয়ে যাবে।
- কিন্তু ডাক্তার। আমিও তো ওই কাজের মেয়ের সাথে উল্টাপাল্টা করেছি। আমারও মনে হয় গনোরিয়া হয়েছে।
- তাহলে তুমিও চলে এসো। দু'জনের চিকিৎসা এক সাথে করে দেই।
- ডাক্তার, আমার স্ত্রীর-ও যে গনোরিয়া আছে।
- শয়তানের বাচ্চা। আগে বলবি না। ডাক্তার চেঁচিয়ে উঠলো। তার মানে আমারও গনোরিয়া হয়েছে।
১২.    নির্জন পার্ক। ভীরু প্রেমিক তার প্রেমিকাকে নিয়ে এক বেঞ্চে বসে আছে। এমন সময় চারদিক ভালো করে দেখে নিয়ে প্রেমিক তার প্রেমিকাকে আমতা-আমতা করে বলল, ইয়ে মানে .... এই অন্ধকারে যদি আমি তোমার হাতটা ধরে একটা চুমু খাই ... তুমি কি রাগ করবে?
না, তোমাকে ছিঁচকে চোর বলব।
কেন?
কারণ, তুমি হলে গিয়ে সেই চোর যে পুরো একটা গাড়ি চুরি করার সুযোগ পেয়েও শুধু টায়ার চুরি করতে চায়।
১৩.    এক ব্যাংকার ভদ্রলোকের এক হেবি সুন্দরী মাইয়া আছিল। ব্যাংকার ভাবল, মাইয়াডারে যদি কোন রাজার সাথে বিয়া দিয়া যাইতো, তাইলে টাকার চিন্তা আর থাকতো না। কিছুদিন পরেই আফ্রিকান নিগরো এক রাজা আইল ব্যাংকারের কাছে, একাউন্ট খোলার জণ্য। ব্যাংকার মাইয়ারে ডাইকা রাজার সাথে বেড়াতে পাঠাল, আর মাইয়ারে কইয়া দিল, যেকোন কায়দায় জামাই বানাইতে। মেয়ে তো মোটেই রাজি না, কিন্তু কি আর করা, বাপরে তো অসন্তুস্ট করা যায় না।   বেড়াইতে যাইয়া মাইয়া রাজারে কইল, আমি যার সাথে বিয়া করবো, তারে আমার তিনডা ইচ্ছা পুরোন করা লাগবো।
সাগ্রহে রাজা কইল কি?


নং-১-২৪ ক্যারেট হিরা দিয়া আমারে আংটি দিতে হবে।
এইডা কোন ব্যাপার না, আমার আছে আমি দিব।
নং-২-আমেরিকায় আমারে ১০০ কামরার একখান বাড়ী বানাইয়া দিতে হবে।
ঐডাও পারুম। আনন্দের সাথে কইয়া ফালাইল, রাজা।
চিন্তায় পড়ে গেল মাইয়া, তাইলে কি করা যায়, এই ব্যাডারেই কি বিয়া করতে হবে?
অনেক ভাইবা চিন্তা মেয়ে বলল, পুরা ১৪ ইঞ্চি থাকন লাগব।
শুনে রাজা রাজা কাঁদতে শুরু করল, অনেক্ষণ পরে কইল, কেটে ১৪ ইঞ্ঝি করতে যদিও কষ্টে বুকটা ফাইটা যাবে, তবুও আমি রাজি
১৪.    জামাই আর বউ বসে একসাথে টিভি দেখলছিল। এমনসময় জামাই হঠাৎ বউয়ের দিকে ফিরে বলল, ‘ওগো তুমি কি আমাকে এমন কিছু বলতে পারবে যেটা একই সাথে আমাকে আনন্দ ও কষ্ট দিবে
বউ জামাইয়ের দিকে ঘুরে বলল, ‘তোমার বন্ধুদের মধ্যে তুমিই বিছানায় বেশি সময় টিকতে পারো।
১৫.    এক বাংলাদেশী, এক ভারতীয় আর একজন পাকিস্তানী ঘুরতে বের হয়েছে আমাজনে।এরা ধরা পড়েছে জংলীদের হাতে। জংলীরা তিনজনকে একটা কুড়েঘরে আটকিয়ে রেখেছে। খুব চমৎকার একটা ফল খেতে দিচ্ছে তাদের। এই ফল খেয়ে তাদের চামড়া খুব মসৃন হয়ে যাচ্ছে। যেন তাদের যৌবন ফিরে আসছে। এরা তিনজনেই খুশী। এই সুখ অবশ্য বেশীদিন সইল না। একদিন সকালে জংলী সর্দার এল। এসে প্রথম ধরেছে পাকি-টাকে।
-তুমি কিভাবে মরতে চাও?
পাকিটা বলল তোমারা যে ফলটা খেতে দাও,সেই রকম মিষ্টি কোন ফল নিয়ে আস যেটা বিষাক্ত। ওটা খেয়েই আমি মরব।
তার ইচ্ছা অনুযায়ী লাল একটা ফল নিয়ে আসা হল। পাকিটা "পাকিস্তান জিন্দাবাদ" বলে ফলটা খেয়ে ফেলল। তার এসে গেলো গভীর ঘুম যা আর ভাঙ্গে না। বাংগালী আর ভারতীয় দুইজন এরপর দেখল ভয়াবহ ব্যাপারগুলা।


জংলীরা পাকিটার মাথা আলাদা করে সেটাকে মমি করে রাখল । বাকি শরীরের চামড়া ছাড়াল। এরপর সেটা দিয়ে বানাল ছোট একটা ক্যানু(canoe)এইসব দেখে ভারতীয় আর বাঙ্গালীর অবস্থা খারাপ। পনের দিন পর জংলী সর্দার আবার এল। এইবার ভারতীয়টার পালা। ভারতীয়টাও "জয় হিন্দ" বলে ফল খেয়ে মারা গেল। তার মাথার মমি করা হল, চামড়াটা দিয়ে বানানো হলো ক্যানু। কিছুদিন পরে বাঙ্গালীর পালা।


তাকে জিজ্ঞেস করা হলো কিভাবে মরবে? সে চাইলো একটা কাটা চামচ। এরপর কাটা চামচটা দিয়ে নিজের শরীরের নানা জায়গায় আঘাত করতে করতে বলল,"হারামজাদা! পারলে এইবার নৌকা বানা"
১৬.    হাসপাতালে এক মেয়ের বাচ্চা হয়েছে। বাচ্চাকে মা থেকে পৃথক রুমে রেখে নার্স তাকে খবর দিলো, "আপনার ছেলে হয়েছে। আপনার স্বামীকে দেখছিনা যে?"
মেয়ে, "ইয়ে মানে, আমার বিয়ে হয় নি।"
নার্স, "তাহলে আপনার বয়ফেন্ড/পার্টনার কোথায়?"
মেয়ে, "আমি একা।"
নার্স, "ও আচ্ছা। আপনার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য দুঃখিত। কিন্তু আপনার জানা জরুরী যে আপনার ছেলেটি কিন্তু কালো হয়েছে!"
মেয়ে, "আসলে হয়েছে কি জানেন, গত বছর আমি খুব টাকার অভাবে ছিলাম। টিউশন ফি দিতে পরছিলাম না। তাই বাধ্য হয়ে একটি পর্ন মুভিতে কাজ করতে হয়েছিলো! আর ওখানে এক নিগ্রো ছিল!"
নার্স, "আমি আসলেই দুঃখিতো। আপনার মতো অবস্থায় পড়লে যে কেউ এই কাজ করতো। আরেকটি কথা হলো আপনার ছেলেটি ব্লন্ড চুল পেয়েছে!"
মেয়ে, "না মানে ঐ মুভিতে এক সুইডিস লোকও ছিলো!"
নার্স, "ও! আমি দুঃখিত যে আমার জন্য আপনাকে ঐ সব স্মৃতি মনে করতে হচ্ছে। তবে আপনার ছেলের চোখ কিন্তু খুব ছোট ছোট!"
মেয়ে, "ইয়ে মানে ওখানে একজন জাপানি লোকও ছিলো!
আপনার কি আরো কিছু বলার আছে?"
নার্স, "না না আর কিছু না!"
মেয়ে, "আমি কি আমার ছেলেকে দেখতে পারি?"
নার্স, "জি অবশ্যই পারেন। আমি নিয়ে আসছি।"
নার্স ছেলেটিকে এনে মেয়েটির কোলে দিলো। মেয়েটি বাচ্চা টিকে কোলে নিয়েই গালে জোরে একটা চড় বসিয়ে দিলো এবং বাচ্চাটি চড় খেয়ে জোরে কেঁদে উঠলো!
নার্স হতবম্ভ হয়ে ছেলেটিকে মেয়ের কাছ থেকে নিয়ে নিলো এবং বললো, "এ আপনি কি করছেন?"
মেয়েটি তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললো, "উফফ! বাঁচা গেলো! আমি তো ভেবেছিলাম কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করে উঠবে!!"


১৭.     এক হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে তিনজন লোক তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম নেয়ার অপেক্ষা করছিলো ।
নার্স বেরিয়ে এসে প্রথমজনকে বললো, অভিনন্দন, আপনার যমজ বাচ্চা হয়েছে।
লোকটি খুশি হয়ে বললো, আরে, আমি তো মিনোসেটা টুইনস (মিনোসেটা যমজ)- প্রতিষ্ঠানে কাজ করি।


একটু পর নার্স বেরিয়ে এসে দ্বিতীয়জনকে বললো, অভিনন্দন, আপনার ৩টি বাচ্চা একসাথে হয়েছে।
লোকটি খুশি হয়ে বললো, আরে আমি তো থ্রি-এম -এ কাজ করি।
কথা শুনে তৃতীয়জন খোলা জানালা দিয়ে বাইরে লাফ দিলো। নার্স বেরিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলো বাচ্চার বাবা কোথায়। অন্য দু'জন উত্তর দিলো, জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে গেছে।
- কেন? নার্স অবাক।
- ও সেভেন-আপে কাজ করে। একজনের উত্তর।


১৮.    ডেন্টিস্টের সাথে ইলিয়াস সাহেবের বউয়ের ভীষণ মাখামাখি চলছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই মিসেস ইলিয়াস ডেন্টিস্টের চেম্বারে গিয়ে শারীরিক চাহিদা মিটিয়ে আসেন। একপর্যায়ে মিসেস ইলিয়াস আবগের আতিশয্যে বললেন, ওগো আমার প্রেমিক, আমি প্রতিদিনই তোমার কাছে আসতে চাই। ডাক্তার বললেন, হ্যাঁগো আমিও তোমায় চাই। কিন্তু তুমি যদি আর এখানে আস ইলিয়াস তো বুঝে ফেলবে।
মিসেস ইলিয়াস বললেন, আরে না...ব্যাটা গর্দভ একটা। এইযে দেখ এতবার তোমার কাছে এলাম, কিছুই বোঝেনি। ডাক্তার বললেন, কিন্তু হানি, তুমি আর আসবে কিভাবে, প্রতিদিন তোমার একটা করে দাঁত তুলতে তুলতে আজকে শেষ দাঁতটাও তুলে ফেললাম!


২০.     স্বামী বেশ কয়দিন ধরে কোমায়। বউ বেচারা সারাক্ষণ স্বামীর বিছানার পাশে আহার-নিদ্রাহীন জীবনযাপন করছেন। হঠাৎ স্বামী কোমা থেকে ফিরে আসলেন। ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বউকে স্বামীর কাছে যেতে দিলেন। স্বামী পরম আবেগে সজল চক্ষে স্ত্রীর হাত ধরে বললেনঃ ওগো, আমি আজ বুঝতে পেরেছি আমার কেন এই অবস্থা! তুমি সারাটা জীবন আমার দুঃখের সময়ে পাশে থেকেছ। যখন আমার চাকরী চলে গেল, তুমি পাশে ছিলে। আমার যখন ব্যবসায় বিশাল লোকসান হল, তুমি পাশে ছিলে। যখন আমাদের বাড়িটাও ব্যাংক নিলামে উঠাল, সেখানেও তুমি ছিলে আমাকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য। যখন ডাকাতরা আমায় গুলি করল, তুমি ছিলে আমার সেবা করার জন্য। আমার এমন কোন দুঃসময় নেই যখন তুমি আমার সাথে ছিলেনা।
স্বামীর এমন আবেগী কথায় স্ত্রীর চোখ বেয়ে জলের ধারা নামে। স্ত্রী বলেঃ ওগো এমন করে বলোনা, আমিতো তোমার পাশেই থাকব...তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে!
স্বামীঃ হুমম! সেজন্যেই বুঝেছি...তুমিই আমার ব্যাড লাক!
২০.     জর্জ আর জেনী খুব ভাল বন্ধু। এরা দুই জন দুই শহরে কাজ করে। একজনের ছুটি শনিবার আরেকজনের রবিবার। ফলে দুই জনের এক সাথে দেখা হওয়া খুব দুস্কর। এবার পহেলা মে তে দুই জনের এক সাথে ছুটি। জর্জ তার গাড়ী নিয়ে জেনীকে আনতে চলে গেল। গাড়ীতে দুইজনের মনে ভালবাসার উদয় হল। যেহেতু মাত্র একদিনের ছুটি তাই তারা ঠিক করল এক মুহূর্তও নষ্ট করা ঠিক হবে না। কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটানো যাক। কিন্তু গাড়ীটা ছিল খুবই ছোট। দুই জনে মিলে ঠিক করল গাড়ীর নীচের ফাঁকা জায়গায় ঢুকে পড়া যাক। নীচে বেশ জায়গা আছে আর কেউ বিরক্ত ও করবে না।

অনেকক্ষণ পর জর্জের খেয়াল হল কে যেন তাকে ডাকছে। লোকটি ছিল ট্রাফিক সার্জেন্ট।
লোকটি বলছে- ভাই আপনি কি করছেন।
জর্জ তার দিকে না তাকিয়েই উত্তর দেয়-গাড়ী ঠিক করছি।

সার্জেন্ট কিছুক্ষণ কি যেন চিন্তা করেন। তারপর গম্ভীর মুখে বলে উঠেন-দুই টা কারণে আমি আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারছি না। প্রথমত গাড়ী ঠিক করতে হলে আপনাকে চিৎ হযে থাকতে হবে। কিন্তু আপনি উপুর হয়ে আছেন।
দ্বিতীয়ত আমি এখানে কোন গাড়ী দেখতে পাচ্ছি না। খুব সম্ভবত আপনাদের গাড়ীটি চুরি হয়ে গেছে।

২টি মন্তব্য:

trafficG