আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১১

ইচ্ছেটা..........


বিমুগ্ধ বিমর্ষ আকাশে
ভেজা চাঁদ যেন পূর্ণিমার দাবি রাখে
তারাগুলো যেথায় একজোট বাঁধে
বাঁধে মোহিত সুর বীণায়।
সেথায়, ভাবনার ছেঁড়া সুতো
নীলচে নির্বাসনের কাছে জমা রেখে
বনবিলাশী একাকী একজন
কুয়াশাভেজা হাসনাহেনা জড়ায় অনুভবে
ব্যাস্ত শহরের ব্যাস্ততা মাখা অস্থিরতা ছেড়ে
দূরের কোন পাড়াগাঁয়ের হাতছানি
টিনের চালে পাতায় জমা
কুয়াশার টুপ টাপ ঝরে পড়া
সেই টাপুর টুপুরের মোহে মোহাচ্ছন্ন
রাতটা যেন মাথার উপর
বিছানো শীতলপাটি
তার উপর নকশী কাঁথা ছড়িয়ে 
শুয়ে পড়া অবিমিস্রিত অবসন্ন দেহে।
শীতের প্রথম ভোরে--
হিমশীতল টাটকা খেজুর রসে মেতে,
দুপুরে সালদ নদীর পাড়ে
উঁচু টিবির উপর আমগাছটার হাতছানি
সন্ধ্যায় পাখির মত কুড়িয়ে আনা খড়কুটো
জ্বালিয়ে আগুন, উষ্ণতার অনুভবে
দূর দিগন্তে জেগে উঠা সেই ভেজা চাঁদ
আলোতে উদ্ভাসিত আকাশ, মাটি, মন
হঠাৎ দেখা তারাখসা
ভেতর থেকে জাগ্রত ইচ্ছেটা
এভাবেই থেকে যেতে চাওয়া আমরণ।।

শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১১

তোকে অনেক বেশি ভালবাসি রে........


তোকে অনেক বেশি ভালবাসি রে
তুই বুঝিস আর নাই বুঝিস
তোকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ও দেখেছি
হৃদয়ে আপন করেও নিয়েছি
কে জানত যে, এই ভালবাসাটাই
কাল হবে আমাদের জীবনে
একটা সময় ছিল তখন,
তোকে নিয়ে ভাবতে ভাবতেই
কখন যে কোথায় চলে যেতাম
বুঝতাম না নিজেও
তখন কি কোন মোহে ছিলাম
নাকি ভালবাসার মর্মার্থ বুঝিনি??
আজো এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজি
খুঁজে ফিরি সর্বক্ষণ
তুই কি আমার ভালবাসা বুঝবি না
দূরে গিয়েও কি তোর অবকাশ মেলেনা।

আমাকে একটু বোঝ, বুঝার চেষ্টা কর
আমি তোকে বুঝি রে
কিন্তু তুই যেটা বুঝিস, 
সেটা তো আমার ভালবাসা নয়
তোকে আমি যে এতোটা বছর ধরে
শেখালাম ভালবাসা।
কিছুই কি শিখিস নি??
আজো প্রতিটা মুহূর্ত কাটে
শুধু তোকে ভেবে ভেবে
রাগ করি, ঘৃণা করি, অভিমান করি
কিন্তু ভালবাসি যে শুধু তোকেই
আর কাউকে মন দেব.....
সেটা ভাবতেও পারিনা।

তুই কি বুঝবিনা রে
কোনদিন কি বুঝবিনা আমার ভালবাসা।
আমি জানি তুই ও ভালবাসিস আমায়
কিন্তু কি লাভ এই ভালবাসায়
যদি তুই সুখী না হতে পারিস
মানুষ তো সুখ পেতেই ভালবাসে।
তোকে খুব মনে পড়ছে রে
প্রতিটা প্রেমের গান, মনে করিয়ে দেয় তোকে
আমি জানি তুই ও আমার কথাই ভাবছিস
তবে কেন এমন করিস
কেন এমন ভাবিস
সুস্থ ভালবাসায় ফিরে আয়
অনুভব করতে শিখে নে
অনেক অনেক অনেক ভালবাসা
এখনও জমা আছে তোরই জন্যে ।।

বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১১

ছিন্ন চিন্তাবলি


আমার ছিন্ন চিন্তাবলি পাঠিয়ে দিলাম
আলফা লেভেলে তোমার কাছে
জ্বলন্ত সিগারেট হাতে ধরে
ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ঘর থেকে মেইল করেছি
নিগুড় নীরবতার ঠিকানায় গেলে
খুঁজে পাবে আমার এই মেইল
ইনবক্সে না পেলে স্পাম ফোল্ডারে।

গভীর থেকে আরও গভীরে
ডুব দিতে চাই তোমায় নিয়ে
আমি তুমি সমৃদ্ধ কবিতা
চাচ্ছিলাম না লিখতে
লেখনী বার বার ছুটে যায়
ছুটে যায় তোমার পানে
কোন এক অদৃশ্য নাটাইয়ের টানে।

ইচ্ছেঘুড়িটা গোত্তা খেতে চায় ক্ষণে ক্ষণে
কিন্তু সুতোয় ঢিল পরে তখনই
মন পৃথিবীর স্বাভাবিকতায়
ইচ্ছেঘুড়িটার অবকাশ মেলে না।
মাথার ভেতর কোয়ান্টাম ফিজিক্স
আর বুকের ভিতর রসায়ন নিয়ে
এর চেয়ে ভালো আর কি বা বলা যায়।

চাঁদের অন্তঃকথা


ভাবনার মহাকাশযানে চেপে একবার
গিয়েছিলাম চাঁদের খুব কাছে,
চাঁদ আমায় দেখে তাকিয়ে ছিল
তাকিয়ে ছিল অবাক বিস্ময় নয়নে,
সময়টা রাত ছিল, চাঁদেরও জোছনা ছিল,
সে জোছনায় অস্পষ্ট আপ্লুত হয়ে
মোমের মত গলে পড়ছিল আবেগ।।
চাঁদ কে শুধাই---
চাঁদ!! ও চাঁদ!!! তোমার গায়ে
এ কলঙ্ক লেপে দিল কে??
তোমার রুপের পূর্ণতায়,
এতো ঈর্ষা হোল কার??
চাঁদ বলল, নাগো না—
এতো কলঙ্ক নয়,
এ আমার বুকে কষ্টের ছাপ।
বুকে কষ্ট চেপে না রেখে,
সবাইকে মুগ্ধ করা যায় না।
কষ্ট আছে বলেই না আমি রাত জাগি--
আমার মত যারা জাগে রাতে
তাদের মনে কোমল পরশ বুলাই।
সূর্যটা আমাকে আলো দেয় বৈকি
কিন্তু আমার কষ্টগুলো দিয়ে
ওর আলোর প্রখরতা কমাই,
ছড়িয়ে দেই কোমল আলো
সারা পৃথিবীতে।।

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১১

লবনের(Salt) লবনাক্ত কথন

লবনের লবনাক্ত কথন


“লবন” নামক বস্তুটির সাথে আমরা সবাই কম বেশী পরিচিত। একে হিন্দিতে “নামাক” এবং ইংরেজিতে “সল্ট” বলা হয়। আমরা প্রায়ই একটা কথা শুনি যে “নুন খাই যার গুন গাই তার”। আবার রুপকথার গল্প বা ঠাকুমার ঝুলির গল্পে আমরা “নুনের মত ভালবাসা”-এর সন্ধান পাই। “নিমকহারাম” শব্দটিও শুনি অনেক জায়গায়, এটি বেঈমান বোঝাতে ব্যাবহার করা হয়। আবার এও শুনি যে “ছিল্লা কাইট্টা লবন লাগায়া দিমু” বা “কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা”। তো এই নুন ওরফে নামাক ওরফে লবন ওরফে Salt নিয়ে আজকের এই লেখা।


**এক সময় বাংলাদেশে লবনের খুব দাম ছিল। গরুর গোস্তের মূল্যের চারগুন। মানুষ ও গবাদিপশুর বেঁচে থাকার জন্য লবন অত্যাবশ্যকীয় ছিল। সেগুলো ছিল লাল লবন। এজন্যই একটি কথা প্রচলিত আছে যে “নুন আনতে পান্তা ফুরায়”।

**ফ্রান্সের কোন কোন জায়গায় এখন প্রাচীন পদ্ধতিতে লবন আহরন করা হয়। আহরনের সময় বিশেষ ধরনের বাক্স ব্যাবহার করে সামুদ্রিক জল সেচে নেয়া হয়। এজন্য এ লবনের দাম ও খুব বেশী। এটা মিহি এবং শুধু উপরি প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত হয়, রান্নার জন্য ব্যবহার হয় না।


**মাত্রাতিরিক্ত লবন খাওয়া প্রাণঘাতী হতে পারে। দেহের প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের হিসাবে ১ গ্রাম করে লবন খেলে মৃত্যু অনিবার্য। একসময় চীনে এভাবে লবন খেয়ে আত্মহত্যার প্রবনতা ছিল।


**বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত লবনের পাউন্ড বার ছিল আবিসিনিয়া (বর্তমানে যার নাম ইথিওপিয়া)- এর মূল মুদ্রা।


**দেহের জন্য লবন খুব আবশ্যক। আপনি যদি বেশী পানি পান করেন তাহলে তা সেই লবন ধুয়ে দিয়ে প্রাণঘাতী নাতিউষ্ণতা সৃষ্টি করতে পারে।


**ভালো মানের সামুদ্রিক লবনে দেহের প্রয়োজনীয় অনেক খনিজ আছে। সর্বোত্তম মানের খনিজ লবন আংশিক ভেজা থাকে।

**মধ্যযুগে লবণকে “সাদা সোনা” বলে অভিহিত করা হত। লবন পরিবহনের একটি প্রাচীন পথ জার্মানিতে এখনও আছে। এটি Luneburg স্থলপথ থেকে জার্মান বাল্টিক কোস্ট পর্যন্ত বিস্তৃত।


**বলিভিয়ায় রয়েছে অত্যন্ত চমকপ্রদ বিশ্বের বৃহত্তম লবনের ফ্ল্যাট। একে Salar de Uzuni বলা হয়। এর বিস্তার চার হাজার বর্গমাইল। এর উপর যখন পানির পাতলা স্তর জমে তখন এটি আয়না সদৃশ হয়ে উঠে। এই অবস্তায় এটি একটি প্রতিবিম্বন সম্পর্কিত উপযোগী বৈজ্ঞানিক যন্ত্র হয়ে উঠে।

**লবন জলের সাথে একধরনের বীজ মিশিয়ে ভারতে কালো লবন তৈরি করা হয়।

**সাধারনত একটি ভুল ধারনা আছে যে, রোমের সৈন্যদের লবনের মাধ্যমে বেতন (যা থেকে Salary শব্দটির উৎপত্তি) দেয়া হত।


**পাথর পরিবারের মধ্যে এটিই একমাত্র পণ্য যা মানুষ খেয়ে থাকে।


**মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত লবনের ৬% ব্যবহার হয় খাদ্যে। ১৭% হয় শীতকালে রাস্তা ও অন্তঃরাজ্যের হাইওয়ে বরফমুক্ত করার জন্য।


**১৭ শতক পর্যন্ত ক্যারিবিয়া থেকে উত্তর আমেরিকায় চলাচলকারী মালবাহী জাহাজে লবন ছিল প্রধান কার্গো। অন্যদিকে উত্তর আমেরিকা থেকে ক্যারিবিয়ায় বহন করে আনা হত Salt Cod - যা আঁখ চাষিদের খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো।

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১১

(Secret & Power Of Five 5!!!!!!)

৫ এর শক্তি ও রহস্য!!!!!!!
 
গত কিছুদিন যাবত একটা বিষয় নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করছি। আমার এ পর্যন্ত পাওয়া উপাত্ত আপনাদের শেয়ার করার জন্যই এই পোস্ট।
সুরা ওয়াকিয়ায় আল্লাহপাক অস্তমিত তারার কসম খেয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় দুই ধরনের তারার সন্ধান পাওয়া যায়।

১. ছয় কোনা বিশিষ্ট তারা যাকে ডেভিড’স স্টার বলা হয়।
এবং

২. পাঁচ কোনা বিশিষ্ট তারা।


বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ভাবে সকল জিওমেট্রিকাল যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করে দেখেছেন যে পাঁচ কোনা বিশিষ্ট তারার অস্তমিত রূপ বা পেন্টাগন রূপ জিওমেট্রিক্যালি সবচেয়ে শক্তিশালী।

 
পাঁচ এর কিছু নিদর্শনঃ

**আমাদের শরীরের ক্ষুদ্র অংশ বা DNA এর স্ট্রাকচার এর মূলে আছে এই পেন্টাগন।


**আমাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রায় সব জায়গায় আছে এই পেন্টাগনের ছোঁয়া।


**বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী হেডকোয়ার্টার টির নামই শুধু পেন্টাগন নয়, এর আকৃতিও পেন্টাগন।

**হোয়াইট হাউসের সম্মুখ ভাগের স্ট্রাকচারে আছে পেন্টাগন।

**ওয়াশিংটন মনুমেন্ট এর উচ্চতা ৫৫৫ মিটার।

**গুগল আর্থ থেকে ওয়াশিংটন ডি.সি. কে দেখলে দেখা যায় এক বিশাল পাঁচ কোনা তারা। যার শীর্ষে আছে হোয়াইট হাউস।

**আমাদের দেহে ক্রোমোজোম সংখ্যা ২৩ জোড়া। ২+৩=৫ এখানে পাঁচের ছোঁয়া।

**আমাদের দাঁত হয় সর্বোচ্চ ৩২ টি। ৩+২=৫ এখানেও আছে পাঁচ।


**হাতের আঙ্গুল পাঁচটি, পায়ের আঙ্গুল ৫ টি।


**আমাদের শরীরের প্রধান শিরা গুলোর মোট দৈর্ঘ্য ৫ দ্বারা বিভাজ্য।


**আমাদের ইন্দ্রিয় ও পাঁচটি।


**মুসলমানদের ধর্মীয় রুকন পাঁচটি। নামাজ ৫ ওয়াক্ত।

** পিরামিডের তল পাঁচটা। এজন্যই পিরামিড এতো বেশী রহস্যময়।

**হিন্দু ধর্মেও আছে পাঁচের ছড়াছড়ি। যেমনঃ পঞ্চভূত ( ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম।), পঞ্চপাণ্ডব, পঞ্চরত্ন।


**প্রধান পূজনীয় হিন্দু পূজাও পাঁচটি। অর্থাৎ দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গনেশ, কার্ত্তিক।


**পঞ্চপ্রান, যারা জীব দেহের জীবনীশক্তিসমুহ, যারা আত্মাকে পুজা করে। সেগুলঃ প্রাণবায়ু, অপানবায়ু, সমানবায়ু, ব্যানবায়ু, উদানবায়ু।

**বিচার ব্যাবস্থায় সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী সংগঠন হোল পঞ্চায়েত।
**বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল কোম্পানি N O K I A অক্ষর পাঁচটি। 
**সবচেয়ে বড় কম্পিউটার কোম্পানি I N T E L অক্ষর পাঁচটি। আরেক সেরা কোম্পানি A P P L E ও কিন্তু পাঁচ অক্ষরের।
**ইংরেজি ভাষার ভাওয়েল পাঁচটা...... A, E, I, O, U এবং বাংলা ভাষার বর্গ ও পাঁচটা....... ক, চ, ট, ত, প
**আমাদের চারপাশে পৃথিবী গঠনের মৌলিক উপাদান ও পাঁচটা বায়ু, পানি, আগুন, মাটি, সূর্য

আপনি কি বলতে চান যে, এই সবগুলো ঘটনাই কাকতালীয়???
 
এছাড়াও যদি ৫ দিয়ে কোন ব্যাপার আপনাদের চোখে পরে বা জানা থাকে তবে এখানে শেয়ার করে আমার পোস্টকে পূর্ণতা দিবেন আশাকরি।

সোমবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

বিদীর্ণ বুকের পাঁজর


বিদীর্ণ বুকের পাঁজর
-আল ইমরান
বিদীর্ণ বুকের পাঁজরে,
ভালবাসা নামের এক একটি পেরেক ঠুকে
বক্ষ পিঞ্জরে চলে নিঃশ্বাসের গোলামী।
বিমূর্ত ছায়ার অদৃশ্য কোন লালিমায়
আপ্লুত আবেগ বরফে ঢাকা শতদল বর্ষা মেঘে
অজানা পথিক চলে দুরের কোন চেনা গন্তব্যে,
জীবাশ্ম এই পথে রেখে অসংখ্য পদচিহ্ন,
মমি করে যেথা কফিনে ভরা
আমার অদৃশ্য আবেগ।।

নির্ঘুম কুহকের চিৎকারে,

সুবিশাল নিঝুম অরণ্য থেকে
দলবেঁধে উড়ে যায় দোয়েলের ঝাঁক
উড়ে যায় বিষাদ নীলিমা ছেড়ে বিষণ্ণতার ঘরে।
সৈকত বালিতে যাযাবর জোনাক হয়ে,
ঝিঁঝিঁ পোকার বাগানে হানা দেয়
একদল মরুভূমির জলদস্যু।।


নির্জন বিকেল শেষে অন্ধকারে নিমগ্ন রাতের আকাশ
চাঁদের হেয়ালির ফাঁকে উঠে এলো রেজোয়ান।
তখনই প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে এলো সাইমুম,
লন্ড ভন্ড করে দিলো দেবানন্দে থাকা কোন অপ্সরীর ঘুম।
আলপিন ফোটানো যন্ত্রণার এক নির্ঘুম সকাল,
পরিণত হয় শ্রাবণ ঝরা সজল বিকালে।
পলাশের গন্ধে ছুটে নামে রিনঝিন মেঘরুদ্র।।
 

মনের গহিনে চাঁদের বুড়ি মত
উঁকি দেয় কোন এক বনসাই মেয়ে...
যেখানে ভোরের প্রথম আলোয়,
ধ্যানমগ্ন একজন নীলসাধু আমায় সুধায়
কেন এই কবিতা তোমার....
উত্তরে বলি------
এই মন যে আমার ইচ্ছেঘুড়ি
মন যা চায় তাই লিখে ফেলি।।

*******************

রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০১১

"নিস্তব্ধ অন্ধকার"



নিস্তব্ধ বিকেলের নিরবতা ভেঙ্গে
একঝাঁক কাঁকের কর্কশ চিৎকারে
যখন আন্দোলিত হয় চারিপাশ-
তখন,- তীব্র মানসিক যন্ত্রণায়
কাতরাতে থাকে বিবাগী মন।।

শেষ বিকেলের আলো শেষ হয়ে গেলেও

এখনও যায়নি মুছে তার লালিমা
ছোট্ট ছোট্ট মেঘপুঞ্জ উড়ছে হেথা সেথা
দেখে যেন মনে হয়,
এ আকাশের রক্তাক্ত, ব্যথিত মুখচ্ছবি।

ক্লান্ত পথিকের ঘরে ফেরা আর

কর্মব্যস্ততার কোলাহল থেমে
চারিপাশে যেন ঘিরে ধরে নিস্তব্ধতা।।

এ অসহ্য....... কেন??? কেন???

কেন এত বেশি নিস্তব্ধতায় ডুবে আছি
লোকচক্ষুর অন্তরালে....
এ কোন ঝড় উঠেছে এই বুকে??

ঝড়ের তোড়ে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে

পংতিমালা যত সাজানো ছিল মনে।
দুর্বোধ্য, দুর্ভেদ্য এ অন্ধকার,
প্রচণ্ড শূন্যতার হাহাকার
আমাকে ঘিরে ধরছে কেন???

কে দেবে উত্তর, ঐ কাঁক, ঐ সন্ধ্যে

নাকি ঐ নীলাভ আকাশ??
এরা উত্তর দিতে জানে না,
এরা উত্তর দিতে পারে না।
যে জানে সে তো চলে গেছে দূরে
দূর থেকে দূরান্তরে..... বহুদূরে,
শুধু রেখে গেছে বিচ্ছিন্ন আমায়
নিস্তব্ধ এ কোন অন্ধকারে।।
*******************

বৃহস্পতিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১১

মধ্যম কবিতা




১.
তুই তুই আর তুই
ভাবনাতে তোকে ছুঁই
আমার মাঝের আমি
সকাল দুপুর সন্ধ্যা শুধায়
তোর প্রেম কি আমার কাছে,
সবচাইতে দামি??


২.
ভালবাস আর ভালবাসি
অকারনেই হাসাহাসি
এই তুমি আর সেই তুমি মিলে
বসে যখন পাশাপাশি
তুমি যদি ভালোবাসো
দূরে দূরে কেনো থাক
কাছাকাছি এসো আমার
কান পাত বুকে মাঝামাঝি।


৩.
হাঁটিতে হাঁটিতে ঘুরিতে ঘুরিতে
কখনও দেখা হলে
বোঝাবো তখন তোমায় আমি
দুঃখ কাকে বলে
একগাদা প্রেম ভালোবাসা আর
সুখী মুখের আড়ালে
বুঝবে তখন কে কতোখানি
দুঃখ নিয়ে চলে।।

৪.
কার অপেক্ষাতে আছো তুমি
রয়েছো আনমনে কার ভাবনায়
স্বপ্নিল কল্পনার মরীচিকায়
মনের মাঝের সীমারেখায়
পেরিয়ে জীবনের স্রোতধারা
একাকী অসহায় সাথী হারা
দাও, দাও, দাও সাড়া।।

মঙ্গলবার, ৯ আগস্ট, ২০১১

আশাবাদী মন


আশাবাদী মন
ইমরান আল হাসান

আশা সে তো মরীচিকা
শুনেছি অনেক অনেক বার
কিন্তু কেন?
মানুষ তো আশাতেই বাঁচে।
যার আশা নেই
সে আসলে বাঁচবে কি নিয়ে?

অনেককেই দেখেছি,
আশায় আশায় অনেক বেলা করে,
আশায় বুক বাঁধে, স্বপ্ন দ্যাখে
আমিও দেখি........
আর কিছু না বুঝলেও এতটুকু বুঝি
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়।

ছোটবেলায় পাঠ্যপুস্তকে পড়েছি
কিছু নিরাশাবাদী কথা
তাইতো এ মন আশাবাদী হয় না,
প্রচণ্ড ভয় পায় এ ভীতু মন।
বামন হয়ে চাঁদের পানে হাত বাড়িও না,
ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখো না,
এই সকল কথা গুলো ঘুরে ফিরে,
মনকে ক্ষত বিক্ষত করে দিয়ে যায়।

তবে কি বামন হওয়াটা অপরাধ
না ছেঁড়া কাঁথায় শোয়া টা।
আমার আশাবাদী মন বলে
এদুটোর কোনটাই অপরাধ নয়,
অপরাধ শুধু ভয় পাওয়াতে।।
********************

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১১

হাসতে কইছে কে ? (১৮+) ( পর্ব - ৫ )


৪১.      ইদানিং জনের মধ্যে সেই নার্ভাস ভাবটা নেই।মেয়েদের সাথে সাচ্ছ্যন্দে কথা বলতে পারে।তাই রাস্তায় একদিন একটা অপরুপ পরীকে দেখে এগিয়ে গ্যালো কথা বলতে।
"এক্সকিউজ মি,আপনাকে যদি আমি এক মিলিওন ডলার দেই,তো আপনি কি আমার সাথে শোবেন" স্ট্রেইটকাট কথাবার্তা জনের।
অলমাইটি ডলারস!তো এখানেও মেয়েটি একটু ভেবে রাজী হয়ে গ্যালো।
"হ্যাঁ,শোব"
"আর যদি দশ ডলার দেই?"
"হোয়াট!কি বলছেন আপনি!আমাকে আপনি কি ধরনের মেয়ে মনে করেন??" পরী পুরো ক্ষেপে গ্যাছে।
"কি ধরনের মেয়ে,সেটাতো আগেই বুঝেছি।এখন একটু দরাদরি করছি আর কি!" মিটমিটিয়ে হেসে বলল জন

৪২.     ১ম বন্ধু: কিরে তোর মুখে ব্যান্ডেজ বাধা কেন? তোর ডান চোখটাতো অল্পের জন্য বেঁচে গেছে। কে তোর এই দশা করল? ২য় বন্ধু: আর বলিস না সকাল বেলায় অফিসে বেরোবার আগে প্যান্টের সামনের একাট বোতাম ছিড়ে গেল। আমি ব্যাচেলর মানুষ। তাই পাশের অ্যাপার্টমেন্টের মিসেস ললার সাহায্য চাইলাম।
 ১ম বন্ধু: বুঝতে পারছি। প্যান্টের ঐ জায়গায় বোতাম লাগাতে বলায় ভদ্রমহিলা নিশ্চয়ই ভাবলেন তুই কোন অসভ্য ইঙ্গিত করছিস। তারপর তোকে জুতা পেটা করলেন।
২য় বন্ধু: না না, তা নয়। মিসেস লরা একজন সমাজ সেবিকা। তিনি আমার সমস্যা বুঝতে পারলেন। দ্রুত সুঁই-সুতা নিয়ে আমার প্যান্টের বোতাম লাগিয়ে দিলেন।
 ১ম বন্ধু: তাহলে সমস্যাটা কি?
২য় বন্ধু: বোতামটা লাগানো শেষ করে মিসেস লরা যখন মাথা নিচু করে দাঁত দিয়ে সুতোটা কেটে দিচ্ছিলেন তখনই‌ উনার হাজব্যান্ড এসে উপস্থিত। তারপরতো বুঝতেই পারছিস।
 
৪৩.     এক দম্পতি এসেছে ডাক্তারের কাছে। স্বামীটা বেশ বয়স্ক কিন্তু স্ত্রী তরুনী। তাদের সমস্যা হলো বাচ্চা হচ্ছে না। ডাক্তার স্ত্রীর কিছু পরীক্ষা করলেন। স্বামীটিকে বললেন আপনার স্পার্ম টেস্ট করতে হবে। তাকে একটা specimen cup দেয়া হলো। বলা হলো কাপটাতে স্পার্ম নিয়ে আসবেন।
পরদিন লোকটা খালি কাপ নিয়ে এসেছে।
ডাক্তার বলল, কাপ খালি কেনো?
-বাসায় গিয়ে বাম হাতে অনেক চেষ্টা করলাম। পারলাম না। পরে মনে হলো ডান হাতে চেষ্টা করি। সেই হাতেও হলো না।
-এটা হতে পারে...আপনার বয়স ত আর কম হয় নাই। তা সাহায্য করার জন্য বউকে ডাকতে পারতেন
-বউকে ডাকছি ত। সে হাত দিয়ে চেষ্টা করল ...হলো না...মুখ দিয়ে চেষ্টা করল ...হলো না...
- হয়। মাঝে মাঝে এমন হয়। তা অন্য কাউকে ডাকতে পারতেন।
-ডাকছি ত। বউয়ের বান্ধবীকে ডাকছি।
-বউয়ের বান্ধবী????
-সেও চেষ্টা করে পারল না।
-পারল না?? ডাক্তারের ভ্রু কুচকে গেছে।
-এরপর বউয়ের বন্ধু এলো। সেও চেষ্টা করল... পারল না।
ডাক্তার অবাক- বলেন কি? আপনার বউয়ের দোস্ত??একটা ছেলে??
-তবে আর বলছি কি?যাক, সারা রাতে পারলাম না। সকালে হাসপাতালে এলাম। হাসপাতালে এসে নার্সকে বললাম সাহায্য করতে।
- আমার নার্সকে?
-হ্যা। সেও চেষ্টা করল। পারে নাই
-আপনি ত দেখি সবাইকে দিয়ে চেষ্টা করছেন।
-তা করছি। তবে আপনি বাকি আছেন।
-আআআআমি??? ডাক্তার তোতলাচ্ছে...
-হ্যা। দেখেন ত চেষ্টা করে কাপটার ঢাকনাটা খুলতে পারেন কিনা?

৪৪.     আরাম খানের ছোটবেলার কাহিনী। পোলাডা একদিন দেখে এক বড় ভাই একটা মেয়েরে চুমু দিচ্ছে। বাসায় এসে আরাম খান মারে কয়, আম্মা! চুমা দিলে কি হয়? “
ওর মা ত খুব কড়া। সে চায় পোলা ভালা থাকুক। এইসব পাপ যাতে না করে তাই ডর দেখানের লাইগ্যা আরাম খানরে কইল, “ চুমা দেয়ার পর পোলাগুলার শরীর আস্তে আস্তে পাথর হইয়া যায়, পরে মাটিত পইরা মইরা যায়।
আরাম খান কয় সত্যি?

আরাম খান আস্তে আস্তে বড় হয়। যুবক হইলে একদিন এক মাইয়ার সাথে কথা হয়। কথায় কথায় সম্পর্ক হয়। মেয়েটা একদিন আরাম খানরে চুমা দিতে চায়। আরাম মানা করে।
আমার আম্মা কইছে মেয়েদের চুমা দিলে আমি মারা যামু।
বোকা! আসো। বলে মেয়েটা এগিয়ে একটা চুমা দিল। চুমা শেষ না করতেই করতেই আরাম খান, আম্মা ঠিকই কইছিল বলে মাটিতে শুয়ে গড়াগড়ি দেয়া শুরু করছে।
কি হইছে?
আল্লাহ রে। আমি পাত্থর হইয়া মইরা যামু। তোমারে চুমা দিতে না দিতেই আমার শরীরের একটা অংশ শক্ত হওয়া শুরু করছে।

৪৫.     আরাম খান আর তার স্ত্রী গেছেন চিড়িয়াখানায়, ঘুরতে ঘুরতে তারা গিয়ে দাড়ালেন এক গরিলার খাচার সামনে, চারিদিকে নির্জনতা দেখে কি মনে করে যেন আরাম খান তার স্ত্রীকে বললেন, তুমি আমাকে যেভাবে উত্তেজিত কর, গরিলাটা কে ওভাবে করো না।
আরাম খান এর স্ত্রী আস্তে আস্তে তার টপস খুলে ফেললেন। গরিলা উত্তেজিত হয়ে পড়লো।
আরাম খান বললেন, আরও উত্তেজিত কর তারপর দেখো কি হয়। স্ত্রী এবার নিচেরটাও খুলে ফেললেন। গরিলা এবার উত্তেজিত হয়ে কাপতে লাগলো।
আরাম খান জানতেন যে খাচার দরজায় তালা ছিল না। আরাম খান দরজা খুলে তার স্ত্রীকে খাচার ভিতরে ঢুকিয়ে দিলেন আর স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বললেনঃ এবার গরিলাটাকে বল যে তোমার মাথা ব্যথা করছে। তোমার এখন মুড নাই
 ৪৬.     দ্বিতীয বিশ্বযুদ্ধের সময় সৈনিক সংকট দেখা দিলে কতৃপক্ষ নিয়ম করে দেয় প্রতি পরিবার থেকে একজন তরুণকে যুদ্ধে অংশ নিতে হবে।

জর্জ কোন ভাবেই যুদ্ধে যাবে না। মেডিকেল ফিটনেস পরীক্ষার জন্য যখন তার ডাক পড়ল তখন সে তার গার্লফ্রেন্ড এর ইউরিন স্যাম্পল নিজের ইউরিন স্যাম্পল বলে আর্মি হাসপাতালে জমা দিয়ে দিল। তার বান্ধবীর ছিল ডায়বেটিস । ডায়বেটিস ধরা পড়লে সে আনফিট ঘোষিত হবে এবং তাকে যুদ্ধে যেতে হবে না।

পরদিনই ঐ তরুণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি পেল।
কংগ্রেচুলেশ! আপনি অবিলম্বে আমাদের গাইনি বিভাগে যোগাযোগ করুন। কারণ আপনি মা হতে যাচ্ছেন।

৪৭.     এক চার্চে পাদ্রি নির্বাচন করা হচ্ছে । মিস্টার জন নির্বাচক , তিনি ঠিক করলেন যে সবচেয়ে পার্থিব ভোগের উর্ধে তাকেই নেয়া হবে । ৩জন পার্থি আবেদন করল । এখন ৩ জনেরই বিশেষ অঙ্গে ঘন্টা লাগানো হল যাতে ওই জিনিস দাড়ালে ঘন্টা বেজে
উঠে এইবার তিনজনের সামনে এক সুন্দরীকে এনে প্রথমে বুকের কাপড় খুলে ফেলা হল , একজনের ঘন্টা বেজে উঠল এবং সে বাদ পড়ল , এইবার সুন্দরীর নিচের কাপড় খুলে ফেলা হল । আরেকজনের ঘন্টা বেজে উঠল এবং বাদ পড়ল , রইল বাকী এক , নির্বাচক মিস্টার জন বললেন তার মানে আমরা আমাদের পাদ্রি পেয়ে গেছি , তুমি সমস্ত ভোগ-কাম-লালসা এর উর্ধে ...... এইসব বলতে বলতে তাকে জড়িয়ে ধরলেন , সাথে সাথে ঘন্টা বেজে উঠল ।

৪৮.     এক লোক নতুন বিয়ে করছে তাই বিয়ের পরদিন বৌকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি গেছে । কিন্তু বৌ হল মা মরা মেয়ে, তাই শ্বশুরের মাত্র একটি ঘর এবং একটি খাট। তাই তিনজনে মিলে এক বিছানায় ঘুমাল। প্রথমে মেয়ে তারপর মেয়ে জামাই এবং সবশেষে শ্বশুর ঘুমাল। মাঝরাতে জামাই মেয়েকে বলছেঃ বৌ লোকালে দিব না ডাইরেকে দিব। ( পাঠক এখানে লোকালে =আস্তে এবং ডাইরেকে= জোরে)। মেয়ে বললঃ বাবা পাশে, লোকালেই দাও।
জামাই লোকালে দিতে লাগল। কিন্তু লোকালে সুখ আসার পর আর সামলাতে না পেরে  ডাইরেকে দিতে লাগল। তাই খাট নড়তে লাগল। একটু পরে হাই স্পীডে করার কারনে খাট নড়তে নড়তে শ্বশুর মাটিতে পরে গেল। এখন শ্বশুর বলছেঃ বাবা গাড়ি চালাবা গাড়ি চালাও, লোকালে চালাও বা ডাইরেকে চালাও, কিন্তু পেছেঞ্জার পরবো কেন ?

৪৯.     জরিনার বাবা জরিনার জন্য পাত্র ঠিক করেছে। এদিকে জরিনার সাথে পাভেলের ৫ বছরের অফেয়ার। এটা বাবাকে জানাতেই জরিনার সুইট বাবা নিমিষেই টিপিক্যালিবাবা কেন ভিলেনটাইপ আচরণ শুরু করল। এটা নিয়ে বাবা মেয়েতে তুমুল ঝগড়া। খাওয়া বন্ধ, মুখ দেখাদেখি বন্ধ ইত্যাদি মোটামুটি শেষ হবার পর অবশেষে তারা একটা ঐক্যমতে পৌছাল। ঠিক হল নদীর অপরপাড় থেকে পাভেল ও বাবার ঠিক করা পাত্র দুজনেই সাঁতার কেটে এপারে আসবে। যে আগে আসতে পারবে জরিনা তারই হবে।
যথাসময়ে প্রতিযোগিতা শুরু হল। শুরুতে দেখা গেল বাবার ঠিক করা পাত্রটি এগিয়ে গেছে। জরিনা তো ভয়ে আধমরা কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে পাভেল তাকে ধরে ফেলল। জরিনা খুশিতে হাততালি দিচ্ছে আর চিৎকার করে উৎসাহ দিচ্ছে পাভেলকে। একপর্যায়ে প্রেমিকের শক্তি আরো বাড়ানো এবং উৎসাহ দেওয়ার জন্য একপর্যায়ে নদীর তীরে দাঁড়িয়ে তার সব কাপড়চোপড় খুলে ফেলল।এরপর হঠাৎ করে পাভেলের সাঁতারের গতি বেড়ে গেলেও তা আস্তে আস্তে কমে পাড়ের কাছাকাছি এসে একেবারেই থেমে গেল।বাবার ঠিক করা পাত্রটি জিতে গেল প্রতিযোগিতায়। পরে আনেক কষ্টে পাভেল পাড়ে ওঠার পর জরিনা রেগেমেগে বলল, তোমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য এতকিছু করলাম তাও জিততে পারলে না। ছিঃ, কাপুরুষ কোথাকার।
পাভেল ও সমান তেজে জবাব দিল সব দোষ তোমার, কে বলেছিল তোমাকে কাপড় খুলতে ? তুমি কাপড় খোলার পরপরইতো আমার প্রাইভেট পার্ট নদীর তলদেশের লতাগুল্মের সাথে আটকে যেতে লাগল।

৫০.     মানসিক রোগীর রোরশাখ ইঙ্কব্লট টেস্ট নিচ্ছেন মনোচিকিৎসক। হিজিবিজি কিছু কালির ছোপ রোগীকে দেখানো হয় এ টেস্টে।
প্রথম কার্ডটা এগিয়ে দিলেন তিনি। বলুন তো এটা কিসের ছবি?’
একটা ছেলে একটা মেয়েকে জাপটে ধরে চুমু খাচ্ছে।
দ্বিতীয় ছবিটা এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। এটা কিসের ছবি বলুন তো?’
ঐ ছেলেটা এবার মেয়েটার জামাকাপড় খুলে ফেলছে, আর মেয়েটা চেঁচাচ্ছে হাঁ করে।
আরেকটা ছবি এগিয়ে দিলেন ডাক্তার। এটা কিসের ছবি বলুন তো?’
ছেলেটা মেয়েটার চুল টেনে ধরে ঘাড়ে কামড় দিচ্ছে, আর মেয়েটা খিখি করে হাসছে।
ডাক্তার আর পারলেন না। দেখুন, দবির সাহেব আপনার রোগ খুব জটিল পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। আপনার মনটা খুবই নোঙরা, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি।
দবির সাহেব চটে আগুন। নিজে যত রাজ্যের নোঙরা ছবি এগিয়ে দিচ্ছেন আমাকে, আর বলছেন আমার মন নোঙরা?

বুধবার, ৬ জুলাই, ২০১১

What is Positive Attitude ??? (Part-2)




আমাদের কোনটা প্রয়োজন এবং কেন প্রয়োজনঃ
আপনি যদি ভাবেন যে আপনি সফল হবেন, সেটি সঠিক।
আপনি যদি ভাবেন যে আপনি সফল হবেন না, সেটিও সঠিক।
তাই এইটাই ভাবা ভালো না যে, “আপনি অবশ্যই সফল হবেন।“

আমরা সবাই জীবনে সফল ও সুখী হতে চাই। সারা বিশ্বে এমন একজন ব্যাক্তিও খুঁজে পাওয়া যাবে না যে জীবনে সফল ও সুখী হতে চায় না। 

আমরা আসলে জানিনা যে কিভাবে সফলতা এবং সুখ পাওয়া যায়। তাই আমরা উপরের আলোচনা থেকে অবশ্যই বুঝতে পেরেছি যে সফল এবং সুখী হতে গেলে আমাদের প্রয়োজন Positive Attitude.

Positive Attitude আবার দুই ভাগে বিভক্ত
  1. Good Attitude
  2. Right Attitude
Good Attitude বলতে এমন আচরণ কে বুঝায়, যা ব্যাক্তির নিজের জন্য ভালো। বা এটাকে বলা যায় “খাস” বা “বিশেষ”। এ আচরনের মানুষদের বিশেষ কিছু শ্রেণী পছন্দ করে
 
এবং

Right Attitude বলতে এমন আচরণ কে বুঝায়, যা আপনার জন্যও ভালো এবং সবার জন্যও ভালো মানে সার্বজনীন একে বলা যায় “আম” বা “সাধারন”এ আচরনের মানুষদের সবাই পছন্দ করে।

যেমন কোন একটা বিষয়কে আপনি খুব ভালো মনে করেন এবং আপনি মনে প্রানে বিশ্বাস করেন। আবার কোন বিষয়কে আপনি খারাপ মনে করেন এবং মনে প্রানে ঘৃণা করেন। কিন্তু ঐ বিষয়টি নিয়ে সাধারন অনেকের সাথে আপনার মতের মিল হতে পারে আবার না ও হতে পারে। কিন্তু আপনি সার্বিক বিচার না করে আপনার মতামত পোষণ করে যাওয়া এবং আপনার মতামতের উপর যুক্তি দাড় করানো, এটা Good হতে পারে কিন্তু Right নয়। Right তখনই হবে যখন আপনি উক্ত বিষয় সম্পর্কে ভালোভাবে জানবেন এবং কেউ জানতে চাইলে আলোচনা করবেন, সমালোচনা নয়। কারন আপনার ভালো না লাগা প্রাধান্য দিয়ে একটা বিষয়কে যদি কারো কাছে ভুল উপস্থাপন করেন এবং সে প্রত্যক্ষ না হোক পরোক্ষ ভাবেও যদি ক্ষতির সম্মুখীন হয় তবে একটা সময় সে তা বুঝতে পারবে, বা আপনি বুঝতে পারবেন। তখন নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন না বা আত্ম কষ্টে বা বিবেকের দংশনে কষ্ট পাবেন। যেকোনো ব্যাপার পরিপূর্ণ জেনে বুঝে বিচার করাকে, গ্রহন করাকে অথবা বর্জন করাকে এবং ভালো না বুঝলে আলোচনা করাকেই Right Attitude বলে। তবে স্থান, কাল, পাত্র, ভেদে আপনি Good বা Right Attitude দেখাতে পারেন।।

Keep away from people who try to belittle your ambitions. Small people always do that, but the really great ones make you feel that you too, can become great.”
- Mark Twain

সমালোচনা করে বোকারা, আলোচনা করে বুদ্ধিমানরা এবং পর্যালোচনা করে জ্ঞানীরা।

Protected by Copyscape Web Plagiarism Finder

সোমবার, ২৭ জুন, ২০১১

What is Positive Attitude ?????? (part-1)


ইতিবাচক মনোভাব(Positive Attitude) কি?


Attitude কি? 
র্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হচ্ছে মানুষের মনোভাব পরিবর্তন করে তার জীবন যাত্রার মানকে পরিবর্তন করা। এই মনোভাব কে ই ইংরেজিতে Attitude বলা হয়। একটি মানুষের মনুষ্যত্ব এবং সামাজিকতার ধারক এবং বাহক হচ্ছে এই Attitude মানুষের সফলতা এবং ব্যর্থতাও নির্ভর করে এর উপর। এই লেখায় আমি Attitude এর কিছু বিষয় আলোচনা করবো যা আমাদের সফলতা এবং জীবন গঠনে কেমন মনোভাব রাখা দরকার তা বুঝতে সহায়তা করবে।
প্রকারভেদঃ
Attitude কে Act বা আচরনের উপর ভিত্তি করে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
  • Pro-Active Attitude
  • Re-Active Attitude

    এবং Thinking বা চিন্তা করার ধরনের উপর ভিত্তি করেও একে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। 
  • Positive Attitude
  • Negative Attitude

প্রথমত,
Act  বা আচরনের ভিত্তিতে সংজ্ঞায়িত করার জন্য এককথায় বলা যায়,
যাকে হাসাইলে হাসে, কাঁদাইলে কাঁদে, রাগাইলে রাগে, খেপাইলে খ্যাপে, উস্কানিতে ঝগড়া করে, অর্থাৎ যিনি পরিস্থিতির সঠিক response করতে পারেন না বা নিজের আচরনের উপর যার কোন নিয়ন্ত্রন নেই তাকেই বলে Re-Active Attitude. সবসময় তিনি আশেপাশের পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হন।
এবং যাকে হাসাইলে হাসে না, কাঁদাইলে কাঁদে না, রাগাইলে রাগে না, খেপাইলে খ্যাপে না, উস্কানিতে ঝগড়া করে না, অর্থাৎ যিনি পরিস্থিতির সঠিক response করতে পারেন বা নিজের আচরনের উপর পুর্ন নিয়ন্ত্রন রাখেন তাকেই বলে Pro-Active Attitude. সবসময় যিনি আশেপাশের পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হন না এবং পরিবেশ কে যিনি প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। এই ধরনের আচরনধারী মানুষদের কে Responsible (response + able) বা দায়িত্বশীল মানুষ ও বলা যায়।
সাধারণত ছোট বাচ্চা বা পশু পাখিরা Re-Active Attitude এর হয়। চিন্তা ভাবনার প্রসারতা কম থাকলে এই আচরণ প্রকাশ পায়। ছোটবেলা জ্যৈষ্ঠ দের কাছে শুনেছি “মানুষের মতো মানুষ হ”  তখন অনেক ভাবেই ভেবে দেখলাম যে আমি তো দু’পা ওয়ালা মানুষ, আমি আবার মানুষ হব কিভাবে? আস্তে আস্তে বুঝলাম, পশুকে পশু হতে হয় না, সে জন্ম সুত্রেই পশু, কিন্তু মানুষকে মানুষ হতে হয়।" মানুষ জন্মসুত্রে মানুষের আকৃতি নিয়ে জন্মায়, কিন্তু ধীরে ধীরে জ্ঞ্যান অর্জনের মাধ্যমে তার চিন্তা, আচরণ, বোধ, বুদ্ধির প্রসার ঘটে এবং সে প্রকৃত মানুষে রূপান্তরিত হয় বা Pro-Active আচরনের অধিকারী হয়।
এক কথায় বিশ্বের সকল সফল ব্যাক্তির আচরন ই ছিল Pro-Active.
 
দ্বিতীয়ত,
চিন্তা ভাবনা বা Thinking এর ধরনের উপর ভিত্তি করে মনোভাব বা Attitude যদি ব্যাখ্যা করতে চাই তবে আমি প্রথমেই একটি ছবি দেখাবো........





অনেকেই বলবেন যে গ্লাসটি অর্ধপূর্ণ (আশাবাদী বা Positive Attitude )    এবং

অনেকেই বলবেন যে গ্লাসটি অর্ধ খালি (নিরাশাবাদী বা Negative Attitude)





আমাদের আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা এবং কাজ থেকেই বুঝা যায় যে, সে Negative না Positive Attitude এর অধিকারী।

(চলবে.............)
Protected by Copyscape Web Plagiarism Finder

trafficG