আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

বুধবার, ৮ জুন, ২০১১

হাসতে কইছে কে ? (১৮+) ( পর্ব - ১ )


১.    কোন এক সিনেমা হলের টিকেট চেকারের একটা মেয়ে টিয়া পাখি ছিল।
টিয়াটা কথা বলতে পারতো। মুলত: চেকারকে সাহায্য করার জন্য টিয়াটি কথা বলতো।
 হলের প্রতিটি শো এর আগে দর্শকরা টিকেট কেটে যখন হলে ঢুকতো তখন টিয়াটি বলত--" একে একে আয়! লাইন ধরে আয়"!
তো একদিন হঠাৎ করে টিয়াটি হারিয়ে গেল। বেচারা টিকিট চেকার দুই তিন দিন অনেক খুজেও টিয়ার সন্ধান না পেয়ে আশা ছেড়ে দিল।
একদিন সকাল বেলা হাসপাতাল থেকে টিয়ার খবর এলো। চেকার হন্তদন্ত হয়ে হাসপাতালে গেলেন এবং টিয়াকে জিজ্ঞাস করলেন এতদিন তুই কোথায় ছিলি?? টিয়া বলল--" আর বলিস না।
তোর এখান থেকে গিয়েছিলাম জঙ্গলে।
অনেক ছেলে টিয়া দেখে অভ্যাসবসত ওখানেও বলে ফেললাম "একে একে আয়! লাইন ধরে আয়", তারপর আমি এখানে!!


.    এক দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। কিন্তু একমাত্র বাচ্চা কার কাছে থাকবে এটা নিয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হলো তার।বিচারক প্রথমে মহিলাকে বলল, " বাচ্চা আপনার কাছে রাখার যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিন।"
স্ত্রী, "আমি ১০ মাস পেটে ধারণ করেছি এবং জন্ম দেবার সময় কষ্ট ভোগ করেছি, অতএব আমার সন্তান আমার প্রাপ্য"
বিচারক এবার স্বামীর কাছে শুনতে চাইলেন তার যুক্তি।
স্বামী,"হুজুর আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দিন। একটি কয়েন, কফি মেশিনে ফেলার পরে কফি বের হয়ে আসলো,এই কফির মালিক কে আমি না কফি মেশিন?"




.     এক ভদ্র মহিলা প্রচন্ড জোরে কাঁদছেন শুনে একজন জিজ্ঞেস করলো
-ম্যাডাম আপনি কাঁদছেন কেন?
-কী বলবো! গতকাল ডাকাত পড়েছিল আমার ঘরে,সমস্ত গয়না ডাকাতি করে নিয়ে গেছে।
-যাক! ইজ্জতটা তো বেঁচেগেছে!
- ওটা বেচেইতো গয়না কিনেছিলাম


.     আরাম খান ফাদারের কাছে গিয়ে বলল , '' ফাদার , আমার দুইটা মেয়ে তোতা আছে,কিন্তু ওরা একটা কথা ছাড়া আর কিছুই বলেনা ।''
ফাদার বললেন , ''কি বলে ওরা?? '' আরাম খান বললেন ,' ওরা খালি বলে ...''হেই , আমরা দুই নষ্টা , আস ফুর্তি করি ''
ফ্দার বললেন , ''খুব খারাপ কথা ..... তবে আমার আরো দুইটা পুরুষ তোতা আছে , ওরা সারাদিন প্রভুর নাম জপ করে ...ওদের সাথে রাখলে তোমার মেয়ে তোতাগুলো আর খারাপ কথা বলবেনা ..... ভালো হয়ে যাবে ''
এই বলে ফাদার ওই মেয়ে তোতা দুইটা কে পুরুষ তোতা দুইটার খাচায় ঢুকিয়ে দিলেন। তখনও পুরুষ তোতা দুইটা চোখ বন্ধ করে অন্যদিনের মতই জপ করছিল । ঢুকিয়ে দেওয়ার পরপরই অন্যদিনের মতই মেয়ে তোতা দুইটা পুরুষ তোতা দুইটার দিকে চোখ মেরে বলল , '' হেই , আমরা দুই নষ্টা , আস ফুর্তি করি ''
সাথে সাথে একটা পুরুষ তোতা তার চোখ খুলে অন্য তোতা কে বলল , '' দোস্ত , এইবার জপ করা বন্ধ করতে পারস , আমাগো দীর্ঘদিনের আশা পূর্ণ হইসে।
.    শিক্ষক: ওয়াদা করো সিগারেট পান করবে না
ছাত্ররা: ওকে স্যার, পান করবো না।
শিক্ষক: মেয়েদের পিছে ঘুরবেনা
ছাত্ররা: ঘুরবো না।
শিক্ষক: ওদের ডিস্টার্ব করবে না।
ছাত্ররা: ওকে, ডিস্টার্ব করবো না
শিক্ষক: দেশের জন্য জীবন কোরবান করবে।
ছাত্ররা: অবশ্যই স্যার, এই রকম পানসে জীবন দিয়া করবই বা কি।
 
.     পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যবসায়ী, সুন্দরী এক কল গার্লের সেবা গ্রহণ করলেন এবং তাকে নগদ টাকা না দিয়ে তার অফিসে একটি বিল পাঠাতে বললেন। বিলতো আর গৃহিত সেবার নামে করা যাবে না তাই ব্যবসায়ী গার্লকে পরামর্শ দিলেন তুমি এমন একটা বিল আমার অফিসে পাঠাবে যেন আমি তোমার কাছ থেকে একটি এপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়েছিলাম।
যথারীতি গার্ল পরের সপ্তাহে ব্যবসায়ীর অফিসে একটি বিল পাঠালেন।
এপার্টমেন্ট ভাড়া বাবদ ৫০০০ টাকা ।
ব্যবসায়ী সভাব সুলভ কারনে সেই বিলও কাটলেন ২৫০০ হাজার টাকা কেটে বাকী আড়াই হাজার টাকা পাঠালেন গার্ল এর কাছে।
 বিল কাটার কারন হিসেবে তিনি লিখলেন :
১) আমি ভেবেছিলাম এপার্টমেন্টটি (?) একদম নতুন আগে কেউ ব্যবহার করেনি, কিন্তু ভাড়া নেয়ার পর দেখলাম এটি আগেও ভাড়া হয়েছে।
২) ভাড়া নেবার সময় আমি ভেবেছিলাম এপার্টমেন্টটি (?) অনেক ছোট এবং সুন্দর, কিন্তু ভাড়া নেবার পর দেখলাম অনেকে এই এপার্টমেন্ট ব্যবহার করায় এর আকার অনেক বড়। এত বড় এপার্টমেন্ট আমার পছন্দ নয়।
৩) ভাড়া নেবার সময় আমি ভেবেছিলাম এপার্টমেন্টটি (?) অনেক গরম হবে ,
কিন্তু ভাড়া নেবার পর দেখলাম এটি একেবারেই ঠান্ডা ।
 কলগার্ল ব্যবসায়ীর এই কারন সহ অর্ধেক পেমেন্ট পেয়ে রেগে গেলেন এবং আড়াই হাজার টাকা ফেরত পাঠিয়ে দিয়ে পুরো ৫০০০ টাকা দেবার অনুরোধ করলেন এবং ব্যবসায়ীর কারন গুলোর বিপরীতে লিখলেন:
১) তুমি কি করে ভাবলে এত সুন্দর এপার্টমেন্টটি (?) ভাড়া না হয়ে এতদিন পরে থাকবে?
২) এপার্টমেন্টটি (?) আসলে সুন্দর এবং ছোটই ছিল, কিন্তু তোমার যদি এই এপার্টমেন্টটি ভর্তি করার মত ফার্নিচার (??) না থাকে তাহলে আমার কি করার আছে?
৩) এপার্টমেন্টটিতে (??) আসলে অনেক গরমই ছিল কিন্তু তুমিতো জানই না এটা কি ভাবে অন করতে হয়।
তাই আমার পুরো পাওনা ৫০০০ টাকাই দিতে হবে।


.     ইংরেজ শাসন আমলের রাজস্থানের মরুভুমিতে একটা দুর্গ। সেইখানে সেনাপতি হয়ে এসেছে জাত্যাভিমানী এক ইংরেজ যুবক। এসেই শুরু করছে হম্বি-তম্বি। এরে ধমকায় ত ওরে মারে। কোনো কিছু তার পছন্দ হয় না। ইন্ডিয়ানদের রুচি নাই। চোর-বাটপার সব কয়টা। প্রথম দিনেই দুর্গ পরিদর্শনের সময় সেনাপতি দেখে একটা উট বাধা। " ওই হারামজাদা। উট এইটা কিসের জন্য? " একজন কাচুমাচুভাবে বলল " আমরা তিন-চার মাস একটানা দুর্গে থাকি। এইখানে কোনো মেয়ে নাই। সৈনিকরা মাঝে মাঝে খুব একা বোধ করলে এই উট ব্যাবহার করে। " সেনাপতি ত bloody indian দের কথা শুনে থ। শুয়োরের বাচ্চারা উটকে "কামে" লাগায়...ছি ছি ছি। সে কড়া নির্দেশ দিলো যে এরপর কোনো নেটিভ হারামজাদা উট ব্যাবহার করলে তাকে ঝুলিয়ে পিটানো হবে। যাই হোক তার কড়া শাসনে দুর্গে নিয়ম-শৃংখলা ফিরে আসলো। সবাই সোজা। সব কিছু ঠিকমত চলছে। মাসের পর মাস যাচ্ছে।
এক সময় সেনাপতির একা একা লাগা শুরু করল। শালার একটা মাইয়া দেখি নাই গত চার মাস। আরো এক মাস গেলো। একদিন সকালে সে হুকুম দিলো, শুয়োরের বাচ্চারা, উটটা নিয়ে আয় আমার তাবুতে। কিছুক্ষন ধস্তা-ধস্তি হল। উটের চিৎকার শুনা গেল। এরপর সেনাপতি প্যান্টের চেইন লাগাতে লাগাতে বের হয়ে আসল। বড় বড় চোখ করে bloody indian গুলো তাকিয়ে আছে। এদের দিকে তাকিয়ে সেনাপতি বলল
- খারাপ না, তোরাও কি এইভাবেই ব্যাবহার করিস?
- না হুজুর। আমরা এইটাতে চড়ে মাইলদুয়েক দুরের একটা শহরে যাই।


.    সি. আই. এ অফিসে নতুন এজেন্ট দরকার। প্রার্থী দুইজন পুরুষ, একজন মহিলা।
এদের নার্ভ কেমন শক্ত তা পরীক্ষা করতে কর্তৃপক্ষ তাদের প্রত্যেককে একটি করে পিস্তল দিল। এদের কাজ হবে পাশের রুমে এদের একজন প্রিয় মানুষ আছে। তাকে গুলি করতে হবে। তবে এদের জানানো হয়নি পিস্তলে আসলে কোন গুলি নেই।
প্রথম প্রাথী রুমে প্রবেশ করে দেখল একটি চেয়ারে হাত মুখ বাধা অবস্থায় তার স্ত্রী। প্রিয় জনকে দেখে তার চোখ দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে। গুলি করার বদলে ছুটে গিয়ে সে তার স্ত্রীকে মুক্ত করল । ফলে এই পরীক্ষায় সে ফেল মারল।
দ্বিতীয় প্রার্থীর বেলায়ও একই ব্যাপার ঘটল।
তৃতীয় মহিলা প্রার্থী ভেতরে প্রবেশ করে তার স্বামীকে হাত বাধা অবস্থায় পেল। অনেকক্ষণ পর সেই মেয়ে হাপাতে হাপাতে বেরিয়ে আসল। রেগে মেগে বলতে লাগল আপনারা কি পিস্তল দিয়েছেন গুলিই বের হয় না। শেষ পর্যন্ত পিস্তলের বাট দিয়ে পিটিয়ে আমার স্বামীকে মারতে হয়েছে।
৯.   শ্বশুর সাহেব বারান্দায় বসে আছেন। বয়স সত্তরের বেশি আর শারিরিকভাবে বেশ দুর্বল। পাশেই রান্নাঘরে উনার পুত্রবধূ চুলাতে নাড়ানি দিয়ে দুধ নেড়ে জ্বাল দিচ্ছেন। বারান্দার সামনের উঠোনে কাপড়চোপড় শুকাতে দেয়া। এমন সময় আচমকা ঝড়-বৃষ্টি শুরু হল। উঠোনের কাপড়চোপড় সব ভিজে যাচ্ছে দেখে শ্বশুর সাহেব তাড়াহুড়ো করে পুত্রবধূকে বললেন, "বউমা তুমি কাপড় তুলো আর আমি দুধ নাড়ি।"
১০ভদ্র ও দুষ্টু মেয়ের মধ্যে পার্থক্যঃ
>
ভদ্র মেয়েরা বলে, “ডিনারটা খুব ভালো ছিল
দুষ্টু মেয়েরা বলে, “ব্রেকফাস্টে কি আছে?”
>
ভদ্র মেয়েরা রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে খাবারের রেসিপি নিয়ে চিন্তা করবে
...
দুষ্টু মেয়েরা চিন্তা করবে যে এই খাবারটি পরিবেশন করেছে তাকে নিয়ে!
>
প্রচন্ড গরমে ভদ্র মেয়েরা বড়জোড় তার শাড়ীর আঁচল বা ওড়নার একটু আলগা করে নিজেকে বাতাস করবে।
দুষ্টু মেয়েরা একই কাজ করবে অন্যদের আরো গরম লাগানোর জন্য।

৫টি মন্তব্য:

  1. হাহাহা ভালো লিখসেন :D
    আচ্ছা আমার ব্লগের জন্য সুন্দর মানান্সই টেমপ্লেট কোথায় পাবো??

    উত্তরমুছুন
  2. সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
    @সুমনঃ এই যুগে বানানোর সময় নাই। এতগুলা মজার জোকস সংগ্রহ কইরা আনা কি সোজা মনে কর? এই বয়সে গোপালভাড় এর গল্প ভালো লাগার কোন মানেই হয় না। হা হা হা ......

    @রাফিদঃ আপনি ব্লগের ড্যাশবোর্ড থেকে ডিজাইন এ গিয়ে কাস্টমাইজ করে বানাতে পারবেন।

    উত্তরমুছুন

trafficG