আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯

অবাঞ্ছিত আমি

প্রতিনিয়ত খালি হচ্ছে ভেতরটা
যেন অবাঞ্ছিত হচ্ছি আমি এই পৃথিবীর কাছে
শত সহস্র মাইল পাড়ি দিয়ে যেন
সঁপে দিতে এসেছি ব্যর্থতার কাছে নিজেকে
প্রচণ্ড আশাবাদী ছিলাম, স্বপ্ন দেখতাম
কেন যেন আজ ধূসর হয়ে গেল সব
দোটানার আধিক্য মনের ভেতরে
চলছে সরণ ঘুরে ফিরে একই বৃত্তে
কাজের সমীকরণে ফলাফল যার শুন্য।

ইচ্ছে হয় পালিয়ে যেতে, ফেরারি হতে চায় মন
পিছুটান ছেড়ে, দূর সুদূরে, বহুঘুরে, বহুদুরে।
প্রয়োজনগুলোই যেন অপ্রয়োজনীয় আজ
অতীতের দরোজায় কশাঘাত আর হাহাকার
ফিরিয়ে দাও আমার অতীত, ফিরিয়ে দাও
আমি ফিরে পেতে চাই পুরনো জীবন আমার
আমি শুধরে নিতে চাই ভুলগুলো,
এভাবে আর নয়, আর নয় পরাজিত থাকা
যুদ্ধ করব বিবেকের সাথে, চাই সুযোগ আরেকবার।

বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭

বুদ্ধিজীবীরা নাগরিক নয়-২ (যে কথা যায় না লেখা)

আমি সুবোধ নই,
পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আমার নেই।
দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিটি একে
অক্ষমতাকে শিল্পে রুপ দেয়ার আগ্রহও নেই।

নগরায়নের অপূর্নতা অথবা অযোগ্যতায় ঘেরা,
শত শত হাহাকার আর আর্তনাদে মোড়া
কখনোবা নবজাতকের কান্নায় উদ্বেলিত এই নগর।
প্রতিনিয়ত শোনায় নতুন যুদ্ধের গল্প।

যুদ্ধ করে বেচে থাকাই এই নগরের আইন
হাজারো অসন্তোষ ঘোরে ল্যাম্পপোস্টের আলোয়
তবুও এই নিয়ন আলোতেই কেও ঘুমিয়ে পড়ে
নতুন দিনের স্বপ্ন আসে ঘুমের ঘোরে।

এই নগরের পরিচিত অভিজাত নাগরিক পল্লীতে
সারাদিন চলে চেতনার গলাবাজি।
আভিজাত্যের মুখোশ খসে পড়ে সন্ধ্যা হলেই
আওড়ানো বুলি আর বাস্তবতায় অমিল অনেক।

কত শত আয়নাবাজি নগরজুড়ে প্রতিক্ষন
দিন বদলের স্বপ্ন দেখা একরোখা আমি
হয়ত অবাঞ্ছিত আজ তোমাদের নগরে।
আমি যোদ্ধা, আমি নাগরিক নই, আমি বুদ্ধিজীবী।
আর বুদ্ধিজীবীরা নাগরিক নয়, কখনই নয়।

শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭

বুদ্ধিজীবীরা নাগরিক নয়

একজন বুদ্ধিজীবির কথায়
কষ্ট পেয়ে অযথাই
হারিয়ে যাবার চেষ্টায়
একজন নাগরিক।
বুদ্ধিজীবিরা নাগরিক নয়,
তারা বিদ্রোহী,
তারা কুলাঙ্গার।

বুদ্ধিজীবিরা গুলিয়ে ফেলে না
আবেগের সাথে চিন্তাশক্তিকে।
বুদ্ধিজীবিরা বুদ্ধি খরচ করে,
বিবেক বিসর্জন দিয়ে বেচে দেয় না।

আর এই সব নাগরিকেরা,
নগর নিয়ে গর্ব করে।
যদিও অসভ্য হতে সভ্যতার রুপায়ন
আর এই নগরের নগরায়নে
বুদ্ধিজীবিরাই দায়ী।

তবুও বুদ্ধিজীবিরা কুলাঙ্গার,
এরা নাগরিক নয়।
নগরের প্রতিটি নাগরিক ভালো থাক
বুদ্ধিজীবিরা মরে যাক।

শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭

ইচ্ছে যত তোকে নিয়ে

ইচ্ছে করে তোর বুকে দেই গুঁজে এক গুচ্ছ সুখ,
ইচ্ছেগুলো আলতো আলোয় ভরিয়ে দেয় চোখ,
ইচ্ছে জানে প্রেমের মানে, ইচ্ছে অবিরাম
ইচ্ছে হলেই তোকে ছুঁয়ে বলি এবার থাম।

তোকে দেয়া ইচ্ছেগুলো ইচ্ছেঘুরির মত
ঘুরে ফিরে গোত্তা খেয়ে হারায় মনে কত,
তোর ললাটে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ানো সুখ
ওই কপোলে ইচ্ছে রেখে লজ্জানত মুখ।

ইচ্ছে গুলো রাখবো বেধে, একবার তুই বল,
বেপরোয়া ইচ্ছে শুধু সঙে আমার চল
তোর ঐ চুলে ইচ্ছে নিয়ে আকাশ ভরা মেঘ
অপূর্ণ আজ ইচ্ছে কিছু অপূর্ণ আবেগ।

বৃষ্টি হব তোর ইশারায়, ইচ্ছে কি তোর বল
সেই বরষায় ছন্দে দুলে বাজবে পায়ের মল
তোর সারা গায় পরবো ঝরে বৃষ্টি জলের মত
ইচ্ছে হলেই হাত বাড়িয়ে ডাকবি পারিস যত।

তুই তাকালে ইচ্ছে মনে জাগ্রত দিনরাত
শুকনো ঠোঁটে আস্তে বলা, আজকে না হয় থাক।
ইচ্ছেগুলো আঁকড়ে ধরে, ইচ্ছে নদীর জলে
কাটবো সাতার তোকে নিয়ে ইচ্ছে হল বলে।

বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬

সাজেক ট্যুর!! এপিসোড-২


গাড়ির জন্য কমলাপুর অপেক্ষা করছি আমি আর সাজ্জাদ
কাউসার ভাই চিটাগাং আরো স্পেসিফিক বললে ফটিকছড়ির ছেলে। ফটিকছড়ি আর খাগড়াছড়ি পাশাপাশি। খাগড়াছড়িতে উনার এক ভাই থাকেন। ওখানেই ব্যবসা করেন। কাউসার ভাইয়ের বদৌলতে সাজেকের রিসোর্ট বুকিং, চাঁদের গাড়ি বুকিং, বারবিকিউ এরেঞ্জমেন্ট, চিটাগাং এ হোটেল বুকিং, মাইক্রো বুকিং, ট্যুর প্ল্যান বা মিশনের নীল নক্সা করা হয়ে গেল। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি বাস টিকিট শিমুল ভাই এরেঞ্জ করে ফেললেন। আমাদের প্ল্যান হল, ১৬/০৩/২০১৬ তারিখ রাতে ঢাকা থেকে বাসে খাগড়াছড়ি। সেখান থেকে চাঁদের গাড়িতে দীঘিনালা নেমে কিছু কেনাকাটা যেমন বারবিকিউ এর জন্য মুরগী, পানি, শুকনো খাবার, ইত্যাদি। সেখান থেকে সাজেক ভ্যালী। সাজেক ভ্যালীতে আমরা ১৭ তারিখ রাত থাকবো। ১৮/০৩/২০১৬ তারিখ সকালে রওয়ানা হয়ে আবার খাগড়াছড়ি, পথে আমরা ঘুরব আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝরনা এবং হর্টিকালচার পার্কের ঝুলন্ত ব্রিজ। রাতেই রওয়ানা হব চিটাগাং এর উদ্দ্যেশে। ১৮ তারিখ রাতে চিটাগাং হোটেলে থেকে ১৯ তারিখ সারা দিন চিটাগাং ঘুরে দেখব, যাতে থাকবে, ফয়স লেক, ভাটিয়ারী মিলিটারি একাডেমী, পতেঙ্গা। ১৯ তারিখ রাতের ট্রেনে ঢাকা ফিরব। প্ল্যান প্রোগ্রাম শেষ করে শুরু হয় কেনাকাটার পালা। যেহেতু লং জার্নি কিছু কেনাকাটা তো করতেই হয়। কেনাকাটার ব্যাপারে আযম ভাই আর মাসুদ ভাইয়ের সে কি উৎসাহ। আমি ছিলাম সেই উৎসাহে যোগান দাতা।  
গামছা কেনার সময় ট্রায়াল দিচ্ছেন শিমুল ভাই.. 

প্ল্যান হল সবাই এক কালারের টি-শার্ট আর গামছা কিনব। টি-শার্টের কালার নিয়ে লাগলো প্যাঁচ। মাসুদ ভাইয়ের পছন্দ পার্পেল তো আযম ভাইয়ের পছন্দ মিষ্টি কালার, শিমুল ভাইকে স্কাই ব্লুতে নাকি বেশি মানায়। গামছার কালার লাল বা সবুজ এই নিয়ে কারো সমস্যা ছিল না। ফাইনালি গামছা কিনতে গিয়ে দেখা গেল একই কালারের অর্থাৎ ১২ টা লাল বা ১২ সবুজ পাচ্ছি না। শেষে সিদ্ধান্ত হল ৬ টা লাল আর ৬ টা সবুজ নেব। ফাইনালি টি-শার্ট কিনতে আবার সমস্যা, আমাদের সিলেকশনের কনফিউশনে এক কালারের যে টি-শার্ট আমরা পছন্দ করেছি সেটা ১২ পিস বিভিন্ন সাইজ মিলিয়ে দেয়া যাবে না। সারা মার্কেটে নাই। শেষে আমি বুদ্ধি দিলাম, যারা সবুজ গামছা তাদের লাল টি-শার্ট আর যাদের লাল গামছা তাদের সবুজ টি-শার্ট। শিমুল ভাই আমি ফোনে মাসুদ ভাই, আযম ভাইয়ের সাথে কথা বলে এটা ফাইনালি কিনে ফেললাম।

দেখতে দেখতে ১৬ তারিখ চলে এলো। আমাদের বাস ছিল রাত ১০.৩০ টার শ্যামলী। সাড়ে ১০ টায় কলাবাগান থেকে আযম ভাই, আহাদ ভাই, ইমদাদ ভাই, শিমুল ভাই, মাসুদ ভাই, ইমন, গাড়িতে উঠে, ১১.১৫ তে আমি, সাজ্জাদ, সজীব ভাইকে কমলাপুর থেকে তুলে রওয়ানা হল আমাদের স্বপ্ন গাড়ী। শ্যামলী গাড়িটার ড্রাইভার খুব এক্সপার্ট অথবা পাগলাটে ছিল। তার গাড়ী চালানোর ভঙ্গিতে আমি ছাড়া সারারাত আর গাড়িতে কেউ ঘুমুতে পারেনি। 


ভোর বেলায় যখন খাগড়াছড়ির কাছাকাছি
এই আমাদের চাঁদের গাড়ি
সকাল বেলা খাগড়াছড়ি নেমেই কাউসার ভাইয়ের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলাম। উনি আমাদের জন্য বাসস্টপেই অপেক্ষা করছিলেন। কাউসার ভাইয়ের বড়ভাইয়ের বাসায় ব্যাগপ্যাক রেখে আমরা ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে নিলাম। খাগড়াছড়ি থেকে চিটাগাং এর অগ্রিম টিকিট কেটে রাখলাম। এর মাঝেই আমাদের চাঁদের গাড়ী নিয়ে ড্রাইভার শিবু উপস্থিত। সারা ট্রিপে শিবু আমাদের অসাধারন সার্ভিস দিয়েছে এবং আমাদের লোকাল গাইড হিসেবে কাজ করেছে। সবার ব্যাগপ্যাক গাড়িতে তুলে দিয়ে আমারা গাড়ি চেপে বসলাম। গাড়ী ছেড়ে দিল সাজেকের উদ্দ্যেশ্যে। 

trafficG