আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

জানা-অজানা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
জানা-অজানা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২৮ মার্চ, ২০১৪

“যুদ্ধপুরাণ” বাঁধ ভাঙার প্রয়াস


মার্চ মহান স্বাধীনতার মাস। এই স্বাধীনতা খুব সহজে আসেনি। স্বাধীনতা এসেছে অনেক আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে। স্বাধীনতা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে এযাবৎ রচিত হয়েছে অনেক গান, কবিতা, নাটক, উপন্যাস, সিনেমা এবং গল্প। প্রতিটি প্রয়াসই ছিল অনেক চেষ্টা এবং গবেষণার ফসল। কিন্তু এদের মধ্যে ছিল সীমারেখা। যুদ্ধপুরাণ সেই সীমারেখা বা বাঁধ ভেঙ্গে দেয়ার এক ভিন্নধর্মী প্রয়াস।

নাটকটি নির্মিত হয়েছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পুর্ববর্তী সময়ে মিরপুর এলাকায় পাকিস্তানি আর্মি এবং পাকিস্তান পন্থী অবাঙ্গালী দের দ্বারা সংঘটিত নারকীয় হত্যা যজ্ঞের প্রতিচ্ছবির পটভূমিতে।

নাটকটির মুল আকর্ষন হচ্ছে এর উপস্থাপন। তথাকথিত নাটকের মত আপনি শুধু বসে বসে দেখলেন আর শুনলেন ব্যাপারটা এমন নয়। নাটকটি পঞ্চ ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করার মত। একটু ধারনা দিলে হয়ত বুঝতে পারবেন, ধরুন আপনি রাতের আধারে কোন এক বধ্যভূমির পাশ দিয়ে খালি পায়ে হাঁটছেন, হঠাৎ আপনার নাকে ভেসে এল কর্পুর আর ধূপের মিশ্র গন্ধ। পায়ের নিচে মাটি হয়ে উঠল শীতল ও স্যাঁতস্যাঁতে। লক্ষ করলেন, আপনার আশেপাশে হাঁটছে লম্বা আলখেল্লা পরিহিত আরও কিছু কায়া, চাঁদের আবছা আলোয় মুখগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। এর মধ্যে কোন একটা কায়া এগিয়ে এলো আপনার দিকে, বলে উঠল, আমাকে চিনতে পারছেন কি, চেনার কথাও নয়, আমি আবু তালেব। বলেই হাতটা এগিয়ে দিল, ঘটনার আকস্মিকতায় আপনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। অজান্তেই হাতটা বাড়িয়ে ধরলেন সেই হাতটিকে। মৃত মানুষের হাতের মত হিমশীতল হাতের স্পর্শ লাগল আপনার হাতে। চমকে কায়ার মুখের দিকে তাকালেন, চাঁদের অস্পষ্ট আলো আধারিতে ফুটে উঠল ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া লাশের মুখ। আপনার অনুভূতি তখন কেমন হবে একটু ভাবুন তো। এই নাটকে আপনি এই ধরনেরই কিছু অনুভূতি পাবেন। এখানে দেখা হবে সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞে শহীদ হওয়া কিছু নিরপরাধ বাংলাদেশির আত্মার সাথে। আত্মারা আপনার সাথে হাঁটবে। তাদের সাথে ঘটে যাওয়া সেই হত্যাযজ্ঞের বর্ননা দেবে। এখানে আপনি দেখা পাবেন সাংবাদিক আবুতালেব, লেখিকা মেহেরুন নেসা সহ বিভিন্ন পেশাজীবীর আত্মার সাথে। উনারা আপনাকে নিয়ে যাবে সেই জল্লাদখানায়, দেখাবে সেই গণকবর। যেখানে আজো ঘুমিয়ে আছে সেই সব শহীদেরা।

নাটকের সময়কাল মাত্র ২০ মিনিট। কিন্তু আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি। এই ২০ মিনিট আপনাকে স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে। আপনার চেতনাকে নাড়া দেবে। গত ২৬ শে মার্চ শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল হলে পরপর ছয়বার মঞ্চায়িত হয় নাটকটি। প্রতিটি শো ছিল হাউসফুল। আমি নিজে খুব বেশি মঞ্চ নাটক দেখেছি তা নয়, খুব কম দেখেছি ব্যাপারটা তা ও নয়। নতুন নতুন প্রচুর আইডিয়ার দেখা পেয়েছি। অনেক ধরনের প্রেজেন্টেশন দেখেছি। কিন্তু যুদ্ধপুরাণ ছিল আমার দেখা সুবিন্যস্ত ভাবে এক্সিকিউটেড একটা সেরা প্রেজেন্টেশন। যেটা বর্ননার চেয়ে বাস্তবে আরও অনেক বেশি অসাধারন। বাঁধ ভাঙার এই প্রয়াস সফল হোক এই কামনা করি। এবং "যুদ্ধপুরাণের" পুরো টিমের প্রতি রইল আমার শ্রদ্ধা এবং অভিনন্দন। স্পেশাল ধন্যবাদ বরুন দা কে, আমাকে এমন একটা উপস্থাপন এর সাক্ষী করার জন্য। 

নাটকটির মুল পরিকল্পনা ও নির্দেশনাঃ আনিসুল হক বরুন।

এবং কলাকুশলীরা বিভিন্ন নাট্য গোষ্ঠীর সাথে সম্পৃক্ত। যেমন নাট্য বিন্দু, নাট্য শৈলী, পদাতিক, দেশ নাটক। থিয়েটার রুপান্তর ইত্যাদি।
সার্বিক সহযোগিতায়ঃ শিল্পকলা একাডেমি এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। 

শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৩

হৃদয় বনাম মন

কটু ভূমিকা দিয়েই শুরু করতে চাইঃ 

“আমার এই লেখাটিকে শিরোনাম দেখে স্রেফ প্রেমের গল্প ভেবে ভুল করার কোন কারন নেই। কারন Never judge a book by it’s cover.” বাকিটুকু পড়ার আমন্ত্রন জানাই।
আমাকে কিছুদিন আগে একজন প্রশ্ন করেছিল, “মানুষ কি পা দিয়ে হাঁটে না মাথা দিয়ে হাঁটে?” আপাতদৃষ্টিতে প্রশ্নটি অবান্তর মনে হলেও একটু গভীরে গেলে এর চমৎকার কিছু বাস্তবতা পাওয়া যাবে। আসুন একটু গভীরে যাই।

## আমাদের সারা শরীরে ছড়িয়ে আছে স্নায়ুতন্ত্র(Nervous System)। যার ক্ষুদ্রতম একক হল নিউরন। অনেকেই ভাবতে পারেন যে নিউরন কেবল আমাদের ব্রেইনে থাকে। কিন্তু আমাদের সারা শরীরেই ছড়িয়ে আছে এই নিউরন (neuron)। অর্থাৎ নিউরন হচ্ছে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষুদ্রতম একক।


এই Nervous system কে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়,
1.Central nervous system
2.Peripheral nervous system.

সিগন্যাল ট্র্যান্সফরমেশন এর উপর ভিত্তি করেও দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়,
1.Motor
2.Sensory


সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম গঠিত হয় ব্রেইন এবং স্পাইনাল কর্ড দিয়ে। আর পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম ছড়িয়ে থাকে সারা শরীরে। প্রতিটি নিউরন যদিও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত মনে হয়, কিন্তু একটি নিউরনের আক্সন এবং অন্য নিউরনের ডেন্ড্রাইট এর মাঝে সুক্ষ ফাঁকা বিদ্যমান। যাকে বলা হয় synapses.


আমাদের ব্রেইনে যে কোন সিগন্যাল যে নিউরন সেটের মাধ্যমে পৌঁছায়, তাদেরকে “সেন্সরি” বলা হয়। এবং ব্রেইন থেকে যে সিগন্যাল স্পাইনাল কর্ড হয়ে শরীরের অন্য কোন স্থানে পৌঁছায় তাকে “মোটর” বলা হয়। অর্থাৎ আপনি আগুনের কাছে হাত নিয়ে গেলে, আগুনের সংস্পর্শে আসা অংশের নিউরন ব্রেইনে সিগন্যাল পাঠাবে অবস্থার বিবরন দিয়ে, এই সিগন্যালই হচ্ছে “সেন্সরি”। আপনার ব্রেইন তখন সেই সিগন্যালকে এনালাইসিস করে ব্রেইন হাতকে সিগন্যাল পাঠাবে যে হাত সরিয়ে নাও। এই সিগন্যাল কে বলে মোটর। নিউরন গ্যাপে থাকে একধরনের ক্যামিক্যাল সাবস্টেন্স যাকে বলা হয় নিউরোট্রান্সমিটার (ছবিতে লাল লাল দানাগুলো)। আমাদের দেহে দুই ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার আছে।

1. Excitatory Neurotransmitter (Acetylcholine, Epinephrine, Serotonin, Endorphin, Prostaglandin etc. )

2. Inhibitory Neurotransmitter (GABA, Glycine etc. )

ব্রেইনের কাজ হচ্ছে Controlling & Coordinating. এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আপনাদের কাছে আছে গুগল নামের চেরাগের দৈত্য। হুকুম করলেই হাজির।
আসুন এবার দেখে নেই, আমাদের বিভিন্ন অরগ্যান এর উপর নার্ভাস সিস্টেম এর অবস্থার প্রভাব। অর্থাৎ Sympathetic vs Parasympathetic state of nervous system


বোঝাই যাচ্ছে যে আমাদের মন বা mind বলতে যা বোঝানো হয়, তা মুলত হৃদয় (Heart) নয়, ব্রেইন। এবার আসুন দেখে নেই হৃদয়(Heart) এর উপর ব্রেইন এর প্রভাব,


অর্থাৎ ব্রেইনের উত্তেজিত স্টিমুলেশন এ হৃদ স্পন্দন বৃদ্ধি পায়। তাই অনেকের কাছে মনে হয় ঘটনাটা হৃদয় ঘটিত। আসলে ঘটনা তো ব্রেইন ঘটিত। তেমনি আমাদের ব্রেইনের বিভিন্ন স্টিমুলেশনের কারনে বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে গ্রন্থিরস নিঃসৃত হয় যা আমাদের হৃদয়ের স্পন্দনে তারতম্য ঘটায়।


মুলত হৃদয়ের কোন ইন্টিলেঞ্জেসি নাই। এটা স্রেফ একটা পাম্পিং মেশিন মাত্র। যত ভালবাসার গান, অনুভব, অনুভূতি কোনটাই কিন্তু হৃদয়ে নাই। হৃদয় অনেকটা বোকা বাক্স। অনেকেই বলেন, কিছু সিদ্ধান্ত হৃদয় দিয়ে নাও। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাই যে হৃদয় দিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়াই সম্ভব না।


তেমনি আমাদের হাত পা বা অন্যান্য কোন অর্গ্যান এর ই তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ইন্টেলিজেন্স নেই। তাই, আমরা মাথা দিয়ে হাঁটি বললেও যুক্তি দিয়ে সেটা প্রমান করা সম্ভব।

(আমার জানার মধ্যে ঘাটতি থাকতেই পারে। আমি সবজান্তা নই। আরও ভালো এবং প্রয়োজনীয় তথ্য কারো কাছে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন মন্তব্য এর ঘরে।)

রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১২

"সবার জন্য শুভকামনা রইল"

মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি গঠিত হয় তার চিন্তা থেকে, আর চিন্তা তৈরি হয় বিশ্বাস থেকে, কোন কিছু বোঝার পরই তৈরি হয় বিশ্বাস, আর বুঝা যায় ঐ বিষয় সম্পর্কে জানলে। তাই আমাদের আচরন বা দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন বা উন্নয়নের জন্য প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শিখতে হয়। আজ আমি একটা বিশেষ ঘটনা সম্পর্কে আপনাদের অভিহিত করব, যেটা জানার পর আপনারা পারতপক্ষে বদদোয়া বা খারাপ চিন্তা করবেন না।


আমাদের চিন্তা বা Thoughts হচ্ছে একধরনের চৌম্বক তরঙ্গ বা Magnetic Wave। আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক হচ্ছে এটার ট্রান্সমিটার এবং রিসিভার। যেহেতু এটা একধরনের তরঙ্গ। তাই বলা যায় এটার একটা ন্যূনতম শক্তি রয়েছে। এবং এটা এর কম্পাঙ্কের উপর ভিত্তি করে আকর্ষণ শক্তি প্রয়োগ করে। এই চিন্তাশক্তি আমাদের জীবনের উপর প্রচুর প্রভাব বিস্তার করে। আমাদের মস্তিষ্ক প্রতিদিন ৬০০০০ চিন্তা করতে পারে। যা আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারি না। যার ফলে অনিয়ন্ত্রিত চিন্তা আমাদের কোন ভালো ফলাফল এনে দেয় না তবে আমাদের কিছু ক্ষতি করে। ঠিক একারনেই আমরা চিন্তাশক্তির ব্যাপকতা বুঝতে পারি না।


এটাকে আমরা সূর্যের আলোর রশ্নির সাথে একটি পরিক্ষামুলক তুলনা করতে পারি। সূর্য কিরন প্রতিমুহূর্তে এই পৃথিবীতে পড়ছে। কিন্তু কোথাও কিন্তু সহসাই আগুন ধরে যাচ্ছে না। বা আমরা যখন রোদে হাঁটছি, আমাদের গা পুড়ে যাচ্ছে না। এই সূর্য রশ্নিকেই যদি একটি ম্যাগ্নিফ্লাইং গ্লাস এর মাধ্যমে একীভূত করা যায় বা ফোকাস করা যায়, তবে আমরা দেখতে পাই যে ফোকাস বিন্দুতে তাপ তৈরি হচ্ছে। এবং এটা ব্যাবহার করে দ্রুত আগুন ধরানোও সম্ভব। তেমনি আমাদের চিন্তাগুলো কে একীভূত করে অনেক অসাধ্য ঘটনা ঘটানো সম্ভব।


আমাদের চিন্তা আমাদের আশেপাশের পরিবেশের উপরও ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। অর্থাৎ আপনি যদি ভালো কিছু চিন্তা করেন তবে ভালো কিছু ঘটবে। এবং খারাপ চিন্তার ফসল ও খারাপ হবে। আর যেহেতু আপনার মস্তিষ্ক এটার ট্রান্সফরমার এবং রিসিভার তাই আপনার ভালো বা মন্দ চিন্তার বা ফ্রিকয়েন্সির তরঙ্গ তার পূর্ণ চক্র কমপ্লিট করার জন্য আপনার কাছেই ফিরে আসবে। আর আসার সময় তার প্রকৃতি অনুসারে আরও কিছু এনার্জি নিয়ে আসবে। অর্থাৎ পজিটিভ হলে পজিটিভ এবং নেগেটিভ হলে নেগেটিভ।


আমাদের চিন্তা যে বস্তুতে পরিণত হয় বা বস্তুর উপর প্রভাব বিস্তার করে এই নিয়ে জাপানের একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ডঃ ইমোতো (Dr. Emoto) ১৯৯০ সালে দুটি পরীক্ষা করেন।


প্রথম পরিক্ষায় উনি দুটি বয়ামে ভাত নেন। একটি বয়ামের উপর লেখেন “আমি তোমাকে ভালবাসি” এবং অন্যটিতে লেখেন “আমি তোমাকে ঘৃণা করি”। বয়াম দুটি উনি দুটি স্কুলের গেইটে রাখেন এবং বাচ্চাদের বলেন যে প্রতিদিন স্কুলে ঢুকার এবং বের হওয়ার সময়, যে বয়ামে যা লিখা আছে, তা বয়ামের সামনে দাড়িয়ে বলতে। সাত দিন পরের চিত্রটা ছিল এমন.............



দ্বিতীয় পরীক্ষা উনি করেন পানির উপর। ভিডিওটি মনযোগ দিয়ে দেখুন...............
পানির উপর চিন্তার প্রভাব




যদি পানির উপর আমাদের চিন্তা প্রভাব বিস্তার করতে পারে তবে মানুষের ক্ষেত্রে সেটা কি হতে পারে, যেখানে মানুষের শরীরের ৬০% পানি??


একটু ভাবুন!!!!! অন্যের জন্য বদদোয়া করলেও কিন্তু সেটা আমাদের জন্যও সত্য হয়ে যেতে পারে। কারন পানি আমাদের শরীরেও আছে।


তাই আজ থেকে আসুন আমাদের চিন্তার ধারা এবং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করি। এবং সবার জন্যই দোয়া করি। অর্থাৎ Good Wish করি।


সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ভালো চিন্তা করুন। আর আমার জন্যও দোয়া করুন।


শুভকামনা সবার জন্য

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১১

লবনের(Salt) লবনাক্ত কথন

লবনের লবনাক্ত কথন


“লবন” নামক বস্তুটির সাথে আমরা সবাই কম বেশী পরিচিত। একে হিন্দিতে “নামাক” এবং ইংরেজিতে “সল্ট” বলা হয়। আমরা প্রায়ই একটা কথা শুনি যে “নুন খাই যার গুন গাই তার”। আবার রুপকথার গল্প বা ঠাকুমার ঝুলির গল্পে আমরা “নুনের মত ভালবাসা”-এর সন্ধান পাই। “নিমকহারাম” শব্দটিও শুনি অনেক জায়গায়, এটি বেঈমান বোঝাতে ব্যাবহার করা হয়। আবার এও শুনি যে “ছিল্লা কাইট্টা লবন লাগায়া দিমু” বা “কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা”। তো এই নুন ওরফে নামাক ওরফে লবন ওরফে Salt নিয়ে আজকের এই লেখা।


**এক সময় বাংলাদেশে লবনের খুব দাম ছিল। গরুর গোস্তের মূল্যের চারগুন। মানুষ ও গবাদিপশুর বেঁচে থাকার জন্য লবন অত্যাবশ্যকীয় ছিল। সেগুলো ছিল লাল লবন। এজন্যই একটি কথা প্রচলিত আছে যে “নুন আনতে পান্তা ফুরায়”।

**ফ্রান্সের কোন কোন জায়গায় এখন প্রাচীন পদ্ধতিতে লবন আহরন করা হয়। আহরনের সময় বিশেষ ধরনের বাক্স ব্যাবহার করে সামুদ্রিক জল সেচে নেয়া হয়। এজন্য এ লবনের দাম ও খুব বেশী। এটা মিহি এবং শুধু উপরি প্রয়োগের জন্য ব্যবহৃত হয়, রান্নার জন্য ব্যবহার হয় না।


**মাত্রাতিরিক্ত লবন খাওয়া প্রাণঘাতী হতে পারে। দেহের প্রতি কিলোগ্রাম ওজনের হিসাবে ১ গ্রাম করে লবন খেলে মৃত্যু অনিবার্য। একসময় চীনে এভাবে লবন খেয়ে আত্মহত্যার প্রবনতা ছিল।


**বিংশ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত লবনের পাউন্ড বার ছিল আবিসিনিয়া (বর্তমানে যার নাম ইথিওপিয়া)- এর মূল মুদ্রা।


**দেহের জন্য লবন খুব আবশ্যক। আপনি যদি বেশী পানি পান করেন তাহলে তা সেই লবন ধুয়ে দিয়ে প্রাণঘাতী নাতিউষ্ণতা সৃষ্টি করতে পারে।


**ভালো মানের সামুদ্রিক লবনে দেহের প্রয়োজনীয় অনেক খনিজ আছে। সর্বোত্তম মানের খনিজ লবন আংশিক ভেজা থাকে।

**মধ্যযুগে লবণকে “সাদা সোনা” বলে অভিহিত করা হত। লবন পরিবহনের একটি প্রাচীন পথ জার্মানিতে এখনও আছে। এটি Luneburg স্থলপথ থেকে জার্মান বাল্টিক কোস্ট পর্যন্ত বিস্তৃত।


**বলিভিয়ায় রয়েছে অত্যন্ত চমকপ্রদ বিশ্বের বৃহত্তম লবনের ফ্ল্যাট। একে Salar de Uzuni বলা হয়। এর বিস্তার চার হাজার বর্গমাইল। এর উপর যখন পানির পাতলা স্তর জমে তখন এটি আয়না সদৃশ হয়ে উঠে। এই অবস্তায় এটি একটি প্রতিবিম্বন সম্পর্কিত উপযোগী বৈজ্ঞানিক যন্ত্র হয়ে উঠে।

**লবন জলের সাথে একধরনের বীজ মিশিয়ে ভারতে কালো লবন তৈরি করা হয়।

**সাধারনত একটি ভুল ধারনা আছে যে, রোমের সৈন্যদের লবনের মাধ্যমে বেতন (যা থেকে Salary শব্দটির উৎপত্তি) দেয়া হত।


**পাথর পরিবারের মধ্যে এটিই একমাত্র পণ্য যা মানুষ খেয়ে থাকে।


**মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত লবনের ৬% ব্যবহার হয় খাদ্যে। ১৭% হয় শীতকালে রাস্তা ও অন্তঃরাজ্যের হাইওয়ে বরফমুক্ত করার জন্য।


**১৭ শতক পর্যন্ত ক্যারিবিয়া থেকে উত্তর আমেরিকায় চলাচলকারী মালবাহী জাহাজে লবন ছিল প্রধান কার্গো। অন্যদিকে উত্তর আমেরিকা থেকে ক্যারিবিয়ায় বহন করে আনা হত Salt Cod - যা আঁখ চাষিদের খাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হতো।

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১১

(Secret & Power Of Five 5!!!!!!)

৫ এর শক্তি ও রহস্য!!!!!!!
 
গত কিছুদিন যাবত একটা বিষয় নিয়ে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করছি। আমার এ পর্যন্ত পাওয়া উপাত্ত আপনাদের শেয়ার করার জন্যই এই পোস্ট।
সুরা ওয়াকিয়ায় আল্লাহপাক অস্তমিত তারার কসম খেয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় দুই ধরনের তারার সন্ধান পাওয়া যায়।

১. ছয় কোনা বিশিষ্ট তারা যাকে ডেভিড’স স্টার বলা হয়।
এবং

২. পাঁচ কোনা বিশিষ্ট তারা।


বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ভাবে সকল জিওমেট্রিকাল যন্ত্রপাতি ব্যাবহার করে দেখেছেন যে পাঁচ কোনা বিশিষ্ট তারার অস্তমিত রূপ বা পেন্টাগন রূপ জিওমেট্রিক্যালি সবচেয়ে শক্তিশালী।

 
পাঁচ এর কিছু নিদর্শনঃ

**আমাদের শরীরের ক্ষুদ্র অংশ বা DNA এর স্ট্রাকচার এর মূলে আছে এই পেন্টাগন।


**আমাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত প্রায় সব জায়গায় আছে এই পেন্টাগনের ছোঁয়া।


**বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী হেডকোয়ার্টার টির নামই শুধু পেন্টাগন নয়, এর আকৃতিও পেন্টাগন।

**হোয়াইট হাউসের সম্মুখ ভাগের স্ট্রাকচারে আছে পেন্টাগন।

**ওয়াশিংটন মনুমেন্ট এর উচ্চতা ৫৫৫ মিটার।

**গুগল আর্থ থেকে ওয়াশিংটন ডি.সি. কে দেখলে দেখা যায় এক বিশাল পাঁচ কোনা তারা। যার শীর্ষে আছে হোয়াইট হাউস।

**আমাদের দেহে ক্রোমোজোম সংখ্যা ২৩ জোড়া। ২+৩=৫ এখানে পাঁচের ছোঁয়া।

**আমাদের দাঁত হয় সর্বোচ্চ ৩২ টি। ৩+২=৫ এখানেও আছে পাঁচ।


**হাতের আঙ্গুল পাঁচটি, পায়ের আঙ্গুল ৫ টি।


**আমাদের শরীরের প্রধান শিরা গুলোর মোট দৈর্ঘ্য ৫ দ্বারা বিভাজ্য।


**আমাদের ইন্দ্রিয় ও পাঁচটি।


**মুসলমানদের ধর্মীয় রুকন পাঁচটি। নামাজ ৫ ওয়াক্ত।

** পিরামিডের তল পাঁচটা। এজন্যই পিরামিড এতো বেশী রহস্যময়।

**হিন্দু ধর্মেও আছে পাঁচের ছড়াছড়ি। যেমনঃ পঞ্চভূত ( ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম।), পঞ্চপাণ্ডব, পঞ্চরত্ন।


**প্রধান পূজনীয় হিন্দু পূজাও পাঁচটি। অর্থাৎ দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গনেশ, কার্ত্তিক।


**পঞ্চপ্রান, যারা জীব দেহের জীবনীশক্তিসমুহ, যারা আত্মাকে পুজা করে। সেগুলঃ প্রাণবায়ু, অপানবায়ু, সমানবায়ু, ব্যানবায়ু, উদানবায়ু।

**বিচার ব্যাবস্থায় সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী সংগঠন হোল পঞ্চায়েত।
**বিশ্বের সবচেয়ে বড় মোবাইল কোম্পানি N O K I A অক্ষর পাঁচটি। 
**সবচেয়ে বড় কম্পিউটার কোম্পানি I N T E L অক্ষর পাঁচটি। আরেক সেরা কোম্পানি A P P L E ও কিন্তু পাঁচ অক্ষরের।
**ইংরেজি ভাষার ভাওয়েল পাঁচটা...... A, E, I, O, U এবং বাংলা ভাষার বর্গ ও পাঁচটা....... ক, চ, ট, ত, প
**আমাদের চারপাশে পৃথিবী গঠনের মৌলিক উপাদান ও পাঁচটা বায়ু, পানি, আগুন, মাটি, সূর্য

আপনি কি বলতে চান যে, এই সবগুলো ঘটনাই কাকতালীয়???
 
এছাড়াও যদি ৫ দিয়ে কোন ব্যাপার আপনাদের চোখে পরে বা জানা থাকে তবে এখানে শেয়ার করে আমার পোস্টকে পূর্ণতা দিবেন আশাকরি।

trafficG