আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১১

বন্ধুরা মিলে কক্সবাজারে


বন্ধুরা মিলে কক্সবাজারে

 বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মধ্যে কখনও সুযোগ হয়নি শিক্ষাসফর বা এই ধরনের কোন ট্যুরে যাওয়ার, কারন ডিপার্টমেন্ট হচ্ছে পদার্থবিদ্যা। এই ডিপার্টমেন্ট এর ছাত্ররা নাকি ঘোরাঘুরি বা মজা করতে পারে না। তাই অনার্স ফাইনালের কিছুদিন আগে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম এবার কোথাও ট্যুরে যাব। বললেই তো আর হয় না, ডিপার্টমেন্টের অনুমুতি লাগে, অর্থায়নের ব্যাপার স্যাপার আছে। তাছাড়া এই বিষয়ে অভিজ্ঞ লোকের পরামর্শের প্রয়োজন আছে। এ ছাড়াও আরও অনেক হিসাব নিকেশ আছে। কয়েকজন তো ভেটো দিলো, যে পরীক্ষা সামনে যাওয়া যাবে না। আমরা যারা উদ্যোগ নিয়েছিলাম তারা মোটামুটি হতাশ। তারপরও মনের জোরে ভাবলাম হয়তো ফাইনাল এর পর অনেক বন্ধুর সাথে আর দেখা হবে না, হলেও অনেকদিন পর পর হবে, তাই অনার্স জীবনের সৃতি রোমন্থন করার মতো তো কিছু একটা লাগবে। আবার উদ্যোক্তা গ্রুপ (আমি, মাজাহার, রনি, প্রিন্স, রাজ্জাক....) মিটিং এ বসলাম কি করা যায়। আমি এর আগে কক্সবাজার গিয়েছি এবং আমার ওখানে এক ঘনিস্ট বন্ধু আছে যার নাম পিন্টু। এজন্য রোডম্যাপ করার দায়িত্ব পড়লো আমার ঘাড়ে, শর্ত হোল কম খরচে ঘুরে আসা।

আমার রোডম্যাপঃ
ঢাকা থেকে রাতে ট্রেনে চট্টগ্রাম, সেখান থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে কক্সবাজার, রাতে হোটেলে থেকে পরদিন সকালে সারাদিন ঘুরে চট্টগ্রাম এবং আবার রাতের ট্রেনে ঢাকা। মোটামুটি ১৩০০ টাকা খরচ হবে।

  এর উপর ভিত্তি করে আমরা প্ল্যান করতে থাকলাম যে ডিপার্টমেন্টের কাছে কত চাইব আর আমরা কত দিব। প্ল্যান প্রোগ্রাম শেষ করে আমরা জনমত সংগ্রহে নামলাম এবং আরও একবার হতাশ, কারন সবাই এতো টাকা দিয়ে কক্সবাজার যাবে না। অনেকে পরামর্শ দিলো ২০০-৩০০ টাকায় কুমিল্লা, গাজীপুর, সোনারগাঁ এই টাইপ এর জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যদি কেউ নাও যায়, ডিপার্টমেন্ট অনুমতি এবং সহযোগিতা নাও করে আমরা ১৫-২০ জন মিলে চলে যাব..............।

কামরুল আলম স্যার এর সাথে
অবশেষে তেমন কিছুই হয়নি। অনেক জোরাজুরি এবং বোঝানোর পর, বিশেষ করে আমাদের শ্রদ্ধেয় গোলাম মোস্তফা স্যার এবং রুবেল স্যার যখন ডিপার্টমেন্টের প্রধান কামরুল আলম স্যার (বিশিষ্ট বিজ্ঞানী যিনি পাথরকুচি পাতা থেকে বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেছেন) কে বোঝাতে সক্ষম হলেন এবং ভরসা দিলেন যে এই পাগল গুলোকে আমরা সামলাবো তখন অনুমতি পাওয়া গেলো এবং সবচেয়ে যেটা আনন্দের বিষয় সেটা হোল গোলাম মোস্তফা স্যার এই বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ একজন ব্যাক্তি যেটা আমরা জানতাম না। যাই হোক আমাদের চাঁদা ধরা হোল ১৭০০ টাকা।

পরিবর্তিত রোডম্যাপঃ
কমলাপুর থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম, সেখান থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে রামু হয়ে কক্সবাজার, সেখান থেকে বিকেলে হিমছড়ি এবং ইনানি বীচ, রাতে হোটেলে থেকে পরদিন সকালে বীচে ঘুরে রওয়ানা হয়ে ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক, এরপর চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকা।

স্যার এর সহযোগিতায় আমরা স্পন্সরও পেলাম ইউনিভার্সিটি পাবলিকেশন এর পক্ষ থেকে। ডিপার্টমেন্টের ২০০ জন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে আমরা দলে ভেড়াতে পেরেছিলাম মাত্র ৭৮ জন। অনেকেই যাবে বলে পড়ে না করে দিলো এবং অনেকেই না করে দিয়ে পরে আমাদের কার্যক্রম দেখে রাজি হোল। ট্রেনের টিকেট কিনতে গিয়ে পেলাম মাত্র ৭০টি। রেল কতৃপক্ষ আমাদের জন্য পুরো একটা বগির ব্যাবস্থা করে দিলেন। ২ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ রাত ৯.৪৫ এর মধ্যে আমরা একে একে সবাই কমলাপুর রেলষ্টেশনে এসে জড় হলাম। আমাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য কামরুল আলম স্যার নিজেও ষ্টেশনে এসেছিলেন। আমরা সবাই একসাথে কিছু ছবি তুলে এবং ষ্টেশনের সবাইকে আমাদের উপস্থিতি জানিয়ে ট্রেনে উঠে বসলাম। ঠিক ১১ টায় আমাদের ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে রওয়ানা হোল চট্টগ্রামের উদ্দেশে। সবাই মিলে হইচই করেই আমাদের যাত্রা শুরু করলাম...........।
( বাঁ থেকে )লাভলু, আমি, মিথুন, সবুজ, রাজন

 রাতে নিজেরাও ঘুমাইনি আর কাউকে ঘুমুতেও দেইনি। গান, কৌতুক, হইচই আর চিৎকার চেঁচামেচি এক কথায় পুরোপুরি উচ্ছল ছিলাম সারা রাত। ট্রেনেই আমাদের সবাইকে ডিপার্টমেন্টের নাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত টি-শার্ট দেয়া হয়েছিল। আমাদের বগি ছিল ট্রেনে অন্য সব বগি থেকে আলাদা। যখনই কেউ আমাদের বগি দিয়ে অন্য বগিতে যেত, সে বুঝত অনেকগুলো পাগল একসাথে ট্রেনে উঠেছে। বিরামহীন আনন্দ করেছি সারারাত। ৩/২/২০০৯ সকাল ৬.৩০ এ চট্টগ্রাম এসে নামলাম। গাড়ি রিজার্ভ করাই ছিল, ঝটপট রওয়ানা হয়ে গেলাম কক্সবাজার এর উদ্দেশে এবং নাস্তা সেরে নিলাম গাড়িতেই।

রামুতে বৌদ্ধ মন্দির
সবাই মিলে মজা করতে করতে রামু পৌঁছে গেলাম। এখানে আমরা একটা বুদ্ধমন্দির দেখলাম। মন্দির এর ভেতরে আছে বড় বড় বুদ্ধমূর্তি কিন্তু ছবি তোলা নিষেধ। তাই মন্দির এর বাইরে আমরা কিছু ছবি তুলে আবার গাড়িতে চেপে বসলাম, পরবর্তী লক্ষ্য সোজা কক্সবাজার। হোটেলে পৌছুলাম ১১.৪৫ এ। আমাদের হোটেলের নাম ছিল “তাহের ভবন”। পোশাক ছেড়ে ট্রাউজার এবং টিশার্ট পড়ে রওয়ানা দিলাম বীচের উদ্দেশে। আমার বন্ধু পিন্টুকে আগেই ফোন করে দিয়েছিলাম, ও হোটেলের নিচেই দাড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে বীচে হাঁটার মতো কোন স্যান্ডাল নিয়ে যাই নি। তাই বীচের কাছে মার্কেট থেকে বার্মিজ চটি কিনলাম একজোড়া। পিন্টুর একটু ব্যাস্ততা ছিল, তাই পরে আবার আসবে বলে বিদায় নিলো। ও আবার কক্সবাজারের শুধু স্থানীয় ছেলেই নয়, ব্যাপক জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ত। ও আমাদের জোনের লাইফগার্ডকে আমাদের সবার ব্যাপারে বিশেষভাবে খেয়াল রাখার কথা বলে গেলো। এবং আমি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করছিলাম যে, আমরা যতক্ষণ পানিতে ছিলাম সে বীচে দাড়িয়ে ছিল। যাইহোক পানিতে কেমন মাতামাতি করছিলাম তা বর্ণনায় বোঝাতে পারবনা, তাই কিছু ছবি দিলাম।
( ডান থেকে ) রাজন, সবুজ, আমি, রাজ্জাক, তাহের ভবনের সামনে



পিন্টু এবং আমি
আমার সাথে বান্ধবী মালা
ওদিকে আমার দুজন রাখাইন বান্ধবী আছে, “মালা” এবং “মেমেছেন”, ওদের সাথেও পিন্টুর মাধ্যমেই পরিচয় হয়েছিল সেই ২০০১ সালে, ওই দুজনকেও ফোন করেছিলাম। এদের মধ্যে মেমেছেন একটু ব্যাস্ত থাকায় সে আসতে পারেনি কিন্তু মালা আমার সাথে দেখা করতে বীচে চলে এসেছিলো। আমারা তখন সবাই সমুদ্র থেকে উঠে হোটেলে যাচ্ছি, এই সময় মালার সাথে আমার দেখা হোল। আমার বন্ধুরা জানতো না যে আমার পরিচিত কোন মেয়ে কক্সবাজারে আছে তাই তারা যারপরনাই বিস্মিত হোল, এবং দুএকজন আমাদের ছবিও তুলে নিলো। এই নিয়ে হোটেলে ফেরার পর সে কি হাসাহাসি............।

ইনানি বীচ

ঝটপট দুপুরের খাবার সেরে ৩.৩০ এর দিকে আমরা ইনানি এবং হিমছড়ির দিকে রওয়ানা হলাম। ইনানি বীচটা ছোট হলেও বড় বড় পাথরের কারনে দেখতে খুব সুন্দর। পরন্ত দুপুরের বা বিকেলের আলোতে যেন ইনানির সৌন্দর্য আরও বেড়েগিয়েছিল। ইনানিতে মোটামুটি ছবি তোলার ধুম পরেছিল। এদিকে কোন দিক দিয়ে যে সূর্যাস্তের সময় হয়েগেছিল তা কারো খেয়াল ছিল না। মোস্তফা স্যার এর ডাকে সবার টনক নড়ল। দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠলাম, দ্রুত পৌঁছে গেলাম হিমছড়ির কাছাকাছি একটি নির্জন বীচে, সবাই সেখানে নেমে সূর্যাস্ত উপভোগ করলাম। এরপর চলে এলাম হিমছড়ির পাহাড়ে। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াতে তেমন কিছুই দেখতে পারিনি, তবে শেষ আলোর অপচ্ছায়ায় হিমছড়ির পাহাড়ের উপর থেকে দেখেছি সমুদ্রের বিশালতা, দেখেছি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকতের অপার সৌন্দর্য।

হোটেলে পৌঁছে খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা কয়েকজন মিলে রাতে আবার ঘুরতে বের হোলাম। আমাদের হোটেলের অনতিদূরে মেলা হচ্ছিল। মেলায় ঘুরে ঘুরে কক্সবাজারের স্থানীয় পণ্য এবং রাখাইন ও অন্যান্য উপজাতি যারা কক্সবাজার বসবাস করে তাদের হাতের কাজ করা বিভিন্ন পণ্য দেখলাম। রাত ১০.৩০ টায় হোটেলে ফিরে একটু টি.ভি. দেখে ঘুমিয়ে পড়লাম। কারন সকালে আবার যাত্রা শুরু করতে হবে।
লাইট হাউসের উপরে পাহাড়....

পরদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেই চলে গেলাম লাইটহাউস দেখতে। আমাদের হোটেলে পেছনেই পাহাড়ের উপরে লাইটহাউস যেখান থেকে পুরো কক্সবাজার দেখা যায়, অনেক দূর পর্যন্ত সমুদ্র দেখা যায়।

লাইট হাউস থেকে সোজা বীচে, আবারও সমুদ্র সৈকতে বেশ অরধবেলা ঝাপাঝাপি করলাম। গতদিনের চেয়ে অনেক বেশী মজা করলাম। সবচেয়ে বেশী মজা হয়েছিল মোস্তফা স্যারকে নিয়ে। উনি পানিতে নামবেন না। মাজাহারের কথা হোল, পানিতে তো উনাকে নামাতেই হবে। আমরা সবাই মিলে বুদ্ধি করলাম, ছবি তোলার উছিলায় স্যারকে পানিতে নামাতে হবে। আমাদের এই কার্যক্রম ছবিগুলো একটু খেয়াল করে দেখলেই বুঝতে পারবেন................






হোটেলে এসে দ্রুত কাপড় চোপড় গুছিয়ে রেডি হলাম, ব্যাগ নিয়ে চলে এলাম খাবার হোটেলে। খাওয়া দাওয়া করে দ্রুত রওয়ানা হলাম ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের উদ্দেশে।
ঠিক বেলা ৩ টায় সাফারি পার্ক পৌঁছুলাম। সাফারি পার্ক আমার জীবনে এর আগে কখনও আসিনি। তাই জানতাম না যে এই পার্কে পশুরা খাঁচায় থাকে না, মানুষরাই খাঁচায় থাকে, পশুরা মুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়ায়। চমৎকার এবং নতুন একটা অনুভূতি হোল পার্কটি দেখে। পার্কের ভিতরে  একটা মিউজিয়াম আছে, যারা ওখানে যাবেন অবশ্যই দেখবেন, আশ্চর্য এক সংগ্রহশালা সেটি। 

বাঘের কবলে লাভলু................


পেখম তুলে সাদা ময়ূর

হাতির কঙ্কাল
বিভিন্ন প্রজাতির পাতা
জাভেদ ভাই এর সাথে আমরা সবাই

খাটাশ
পার্কের বিভিন্ন জায়গাগুলো খুব সুন্দর, পশুপাখির অভয়ারণ্য, এবং সবুজের সমারোহ। তবে সারা পার্কের আয়তন অনেক বড় এবং পুরোটাই হেঁটে হেঁটে দেখতে হয়। পার্কে বিভিন্ন স্থানে watch tower আছে যেখান থেকে বিভিন্ন অংশের প্রাণীগুলোর গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। একটা watch tower তো অনেক উঁচু, চড়তে চড়তে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। সেখান থেকে যা দেখা যায় তা এই ছবিটি দেখলে বুঝতে পারবেন.......

সন্ধ্যার কিছু আগে আমরা পার্ক ছেড়ে বের হয়ে আসলাম। অনেকেই আসতে চাইছিল না কিন্তু পার্ক কতৃপক্ষ তখন পার্ক বন্ধ করে দিচ্ছিল, তাই বের হতে বাধ্য হলাম সবাই।

আবার শুরু হোল আমাদের বাস যাত্রা। রাত প্রায় ৮.৩০ এর দিকে চট্টগ্রাম পৌঁছুলাম। রাতের খাবার সেরে রাত ১০.৪৫ এ সবাই ট্রেন এ উঠলাম। ১১ টার দিকে ট্রেন ছাড়ল। আমাদের সবার কাছেই একটা টিকিট ছিল, ট্রেনে তা থেকে লটারি ড্র হোল। সেই প্রোগ্রামের আনন্দ আর কি বলবো..........

৫/২/২০০৯ ভোর ৬.৩০ এ কমলাপুর এসে নামলাম। এইখনটি ছিল বিদায়ের। অনেক বেশী আপ্লুত হয়ে পড়ছিলাম সবাই। আসলে বিগত ৬ বছরে আমরা এতটুকু কাছে আসতে পারিনি যা এসেছিলাম এই ক’দিনে। সবার চোখে পানি টলমল করছিলো, যেন আর কখনও দেখা হবে না। বেশী আবেগপ্লুত আবহাওয়া আবার আমার মানায় না, তাই চোখের পানি কেউ দেখার আগেই সবার কাছ থেকে দ্রুত বিদায় নিয়ে ষ্টেশন থেকে বের হয়ে চলে আসলাম। এরপর সোজা বাসায়।

এককথায় আমি মনে করি শিক্ষাসফর হোক আর অন্য কোন ভ্রমণই হোক। ইউনিভার্সিটির বন্ধুরা মিলে কোথাও যাওয়ার মধ্যে অন্যরকম মজা আছে। যা অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যায় না। আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাদের এই প্রথম প্রয়াস এর স্মারক হিসেবে আমাদের সবার ছবি সম্বলিত একটা বোর্ড এখনও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সেমিনার রুমে লাগানো আছে।

 এভাবেই শেষ হোল আমাদের কক্সবাজার ভ্রমণ।

( বিঃদ্রঃ যাদের নাম না বললেই নয়..... “জাভেদ ভাই” যিনি পুরো সময় আমাদের মাতিয়ে রেখেছেন। এরপর যে বন্ধুরা প্রচুর মজা করেছে.....রাজন, মিথুন, সিয়াম, সোহাগ, হরিপদ, আদনান, রাশেদ, সবুজ, লাভলু, মাহমুদ, শিমুন, সুমন, ফয়সাল, রাজু, হীরা, ফজল .............সবার নাম মনে নেই। )

বুধবার, ১৮ মে, ২০১১

নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর টিপস এবং ট্রিক্স



  •         লেখক ঃঃ   হিল্টন জন
    সংগ্রাহক এবং অনুবাদক ঃঃ   ইমরান-আল-হাসান

    1.    নেটওয়ার্ক মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হোল ব্যবসায়িক উপস্থাপনা (Business Presentation)। এটি শিখতে প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে সময় দেয়া উচিৎ এবং এভাবে প্রায় ৩ মাস সময় দিয়ে এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালো করে শেখা উচিৎ।

    2.    আনন্দময়, ভাবনাহীন, আকর্ষণীয়, অর্থবহ দিনানিপাত করাই সুখের গোপন কথা। এর সবই অল্প সময়ের কঠোর পরিস্রম এর মাধ্যমে নেটওয়ার্ক মার্কেটিং থেকে পাওয়া যায়

    3.    যারা তাদের সময় বিভিন্ন কাজে বা একসাথে একাধিক কাজে ব্যয় করে, তারা তেমন সৃষ্টিশীল, গতিশীল, অর্জনকারী এবং সুখী হয় না তাদের মতো যারা একটা নির্দিষ্ট সময় একটা নির্দিষ্ট কাজে পুরো মনঃসংযোগ করে।
    সূর্যের আলো কখনো কোথাও আগুন ধরায় না। কিন্তু ফোকাস করলে আগুন ধরতে বাধ্য।

    4.    যারা পজিটিভ ভাবনাকারি অদেখা কে দেখে, অবর্ণনীয় কে অনুভব করে এবং অসম্ভব কে জয় করে।

    5.    নিজের চিন্তা ভাবনাকে সমীকরণের বাইরে বিচার বিশ্লেষণ এর সম্পূর্ণ উর্ধে নিয়ে আসাই হচ্ছে মানুশের সাথে যোগাযোগ করার আকর্ষণীয় উপায়। এই ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকুনঃ
         ১. আপনি করুন...............
         ২. আপনার প্রয়োজন............
         ৩. আমি আপনার জন্য কি করতে পারি............
    বলতে পারেন  “চলুন আমরা করি।“

    6.    বিবাহিত দম্পতির মধ্যে কে আসল “বস” তা নির্ণয় করার জন্য প্রশ্ন করুন, “আপনারা আমার অনুষ্ঠান থেকে কি ধরনের উৎসাহ পেলেন?” যে প্রথমে উত্তর দেবে সেই “বস”।

    7.    পুরাতন প্রসপেক্ট এর কাছে পুনরায় বিক্রি করার জন্য তার সাথে নিয়মিত প্রেজেন্টেশান সিডি, কোম্পানির খবর, নতুন প্রোডাক্ট, প্রোগ্রাম এর দাওয়াত ইত্যাদি দিয়ে যোগাযোগ রাখতে হবে। কারন ডাইরেক্ট সেলিং এর ক্রেতা কখনো সাবেক হয় না।

    8.    প্লান-সো দেখানোর আগে গেস্ট কে তার কতক্ষন সময় আছে জিজ্ঞেস করুন, এতে আপনি বুঝবেন যে গেস্ট আপনার কথা কতোটুকু গুরুত্ব দিচ্ছে। আলোচনা দীর্ঘায়িত করবেন না, এতে গেস্ট বুঝবে আপনি নিজের এবং তার সময়ের মূল্যায়ন বোঝেন।

একটি শখের দুঃস্বপ্ন


দুঃস্বপ্ন দেখতে কারোই ভালো লাগার কথা নয়। কিন্তু আমার একটা দুঃস্বপ্ন আছে, যেটা আমি খুব শখ করে লালন করি। ইচ্ছে হলেই চোখ বন্ধ করে দেখি। প্রচণ্ড ভয়ে ঘেমে উঠি, জেগে উঠি, চমকে উঠি, আবার ঘুমাই, আবার দেখি, আবার জাগি, এ এক অদ্ভুত অনুভূতি। বাস্তব এবং পরাবাস্তব জগতের মিস্রনে জগাখিচুড়ী পাকানো এক আজব স্বপ্ন। প্রচণ্ড স্বপ্নবাজ হওয়ার কারনেই বোধহয় শখ করে দুঃস্বপ্ন দেখি, ভাবি, লিখতে বসি একে নিয়ে। কিন্তু কি দেখি সেই স্বপ্নে যা আমাকে এতো ভাবায়, জাগায়?? এই প্রশ্নের উত্তর আমি নিজেও জানি না, কেন জানি না তা ও জানি না। অবচেতন মনের কোন এক কোনায় ছোট্ট একটুকরা কালো নয়, নিলাভ গোলাপি মেঘ হয়ে এটা দেখা দেয়। স্বপ্নের ভেলায় ভেসে ভেসে, ভাবনার সমুদ্দুর পার করে অবিরাম শুধু ছুটে চলি সেই শখের দুঃস্বপ্নের দিকে। আমি যেন কোন পথিক নই। এ যেন আমার অতি পরিচিত পথ, যেন কত সহস্র বছর ধরে এই পথ পাড়ি দিয়ে ঢুঁকে গেছি ব্যাপক ঘোরের মাঝে।

রিমঝিম বৃষ্টি সেই দুঃস্বপ্নের খুব প্রিয়। আমার মনের ঘরের ছাদে যখন রিমঝিম বৃষ্টি পরে, সেই শব্দে আমার চোখ জুরে নেমে আসে নিস্তব্দ ঝিমুনি, এই ঝিমুনি মুহূর্তে সে আসে চুপিচুপি, ধিরপায়ে, আলতো করে স্পর্শ করে আমার গাল, চোখ, আর একটু ঘুম ঢেলে দেয় আমার চোখে.......
এরপর..............
আমাকে প্রচণ্ড নাড়িয়ে, কাঁপিয়ে দিয়ে যায়। স্বপ্ন ভেঙ্গে অবাক হয়ে চারিদিক দেখি, সব অচেনা, অজানা মনে হয়, নেশার্ত ঘোরলাগা মনে হয় নিজেকে। মনে হয় আমি যেন কোন ভিনগ্রহে চলে এসেছি। এমন লাগবেই না কেন?? আমি তো তখন এতো গভীরে ছিলাম যেখান থেকে উঠতে একটু সময় লাগে। সেই ঘোরের ভিতর থাকতে থাকতেই আবার স্বপ্নাচ্ছন্ন হই, আবার চমকাই, আবার জাগি, আবার ঘামি, আবার ঘুমাই, আবার দেখি, আবার জাগি, আবার চমকাই, আবার ঘুমাই, আবার দেখি আমার প্রিয় সেই শখের দুঃস্বপ্ন....................   

Protected by Copyscape Web Plagiarism Finder

রবিবার, ১৫ মে, ২০১১

একজন সফল ও একজন ব্যর্থ ব্যাক্তির তুলনা

 
 একজন সফল ও একজন ব্যর্থ ব্যাক্তির তুলনা

সফলব্যাক্তি    :    সর্বদা সমাধানের পথ দেখায়
ব্যর্থ ব্যাক্তি      :    সর্বদা সমস্যার কথাই বলে।

সফলব্যাক্তি    :    সর্বদা প্রোগ্রাম করে বেড়ায়।
ব্যর্থ ব্যাক্তি      :    সর্বদা ক্ষমা চেয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখে।

সফলব্যাক্তি    :    আপনার জন্য কিছু করতে চায়।
ব্যর্থ ব্যাক্তি      :    আপনার জন্য কিছু করা “ওটা তার কাজ নয়”  এই বলে বেড়ায়। 

সফলব্যাক্তি    :    প্রতিটি সমস্যার সমাধান সে জানে
ব্যর্থ ব্যাক্তি     :    প্রতিটি সমাধানকেও সমস্যা মনে করে।

সফলব্যাক্তি   :    কঠিন কিছুর সম্ভাব্য সমাধান দিতে পারে।
ব্যর্থ ব্যাক্তি    :    কোন সম্ভাব্য কিছুকেও কঠিন মনে করে।

সফলব্যাক্তি     :    সর্বাত্মক চেষ্টা করে
ব্যর্থ ব্যাক্তি      :    খুব কম চেষ্টা করে।

সফলব্যাক্তি    :    কোন ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত তৈরি করতে পারে।
ব্যর্থ ব্যাক্তি     :    যে কোন বিষয়কে উপেক্ষা করে।

সফলব্যাক্তি    :    সমস্যার কারন খুঁজে সমাধানের চেষ্টা করে।
ব্যর্থ ব্যাক্তি     :    সমস্যার জন্য সর্বদা কাউকে না কাউকে দায়ী করে।

সফলব্যাক্তি    :    প্রতিটি বালিয়াড়ির পাশে সবুজ দেখতে পায়।
ব্যর্থ ব্যাক্তি     :    সবুজের পাশে বালিয়াড়িই শুধু চোখে পরে।

সফলব্যাক্তি    :    উন্নতি সাধনে ক্রমাগত ব্রত হয়।
ব্যর্থ ব্যাক্তি     :    ব্যর্থতার জন্য ভাগ্যকে দোষারোপ করে।
আপনি কি সফল ব্যাক্তি হতে চান না ব্যর্থ ব্যাক্তি হতে চান ??

Protected by Copyscape Web Plagiarism Finder

বুধবার, ৪ মে, ২০১১

ভুটান এর দিনগুলো (পর্ব-২)

পাহাড়ে ঘেরা থিম্পুর শান্ত রাস্তা

হ্যালো, আব্বু ভালো আছেন? আমি নিরাপদেই ভুটান এসে পৌঁছেছি। আমাকে এই নাম্বারে ফোন দিলেই পাবেন।
আব্বু আমাকে নিয়ে একটু বেশীই চিন্তা করেন। তাই প্রতিমুহূর্তে তাকে আপডেট জানাতে হয়। ভুটান এর বেশ কয়েকটি ভালো মোবাইল কোম্পানির মধ্যে B.Tel অন্যতম। ভুটানে নেমেই প্রথম সুমন ভাই একটা B.Tel এর সীম কিনলেন। সেই সীম দিয়েই আমরা সবাই দেশে যোগাযোগ করলাম।

৫ম রাজা যিগমে খিসের
 




ভুটান দেশটি এমনিতেই খুব শান্ত এবং শান্তিপ্রিয় দেশ। এখনো সেখানে রাজার শাসন চলে। ওদের প্রতিটি এলাকা একজন মন্ত্রী বা গভর্নর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেহেতু বেশির ভাগ বাড়ি গুলো পাহাড়ের উপরে তাই প্রতিটি বাড়িতেই খাবার মজুদ থাকে। ভুটান এর বেশির ভাগ খাবারে পাওয়া যায় শুঁটকি টাইপের গন্ধ। তবে গন্ধ যাই হোক খাবার গুলো খুব স্বাস্থ্যসম্মত। আর একটা জিনিস এর ব্যবহার খুব বেশী হয় খাবারে তা হোলো ভুটানি মরিচ।

ভুটানের মানুষ প্রায় সবাই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। এরা খুব পরিশ্রমী। এদের দেশপ্রেম অত্যন্ত লক্ষণীয়। কোন প্রকার দুর্নীতি নেই। বিলাসিতা খুব বেশী করে না। প্রায় সবাই তাদের নিয়মিত কাজ, চাকুরি, বা অন্যান্য অবস্থায়ও তাদের জাতীয় পোশাক পরিধান করে। ছেলেদের এই পোশাক এর নাম “ঘো” আর মেয়েদের পোশাক এর নাম “কিরা তেগ”।
চমৎকার ডিজাইনের "কিরা" পরে ববি।
 
এই পোশাকটির দুটি অংশ থাকে। উপরে ঢোলা একধরনের জ্যাকেট, নিচে লুঙ্গি বা স্কারট এর মতো অংশ। পুরুষ দের এই দুই অংশ মিলে হয় “ঘো” আর মেয়েদের পোশাক এর উপরের অংশের নাম “কিরা” যা আলাদা কিনতে পাওয়া যায়, এবং নিচের টিকে বলে “তেগ” যেটাও আলাদা কিনতে পাওয়া যায়। পোশাক গুলো পুরো সেট প্রায় ৩০০০-৫০০০ রুপি দাম হয়। ভুটানের মুদ্রার নাম “ভুটান টাকা”। তবে ভারতীয় রুপি ও চলে। কারন রুপি এবং ভুটান টাকার মুদ্রা মান একই।
রাজ পরিবার এর বাসস্থান




ভুটানের রাজ পরিবারের প্রায় সবাই থিম্পুতেই থাকে। এছাড়াও মন্ত্রি পরিষদ ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ সবাই একটা নির্দিষ্ট এলাকায় থাকে। পাহাড়ের উপর থেকে এলাকাটিকে শিল্পীর হাতে আকা ছবির মতো মনে হয়। ভুটানের ঘরবাড়ি গুলো একটি বিশেষ বিল্ডিং কোড বা ডিজাইন মেনে তৈরি হয়। আমি ভুটানের কোথাও বহুতল ভবন দেখতে পাইনি। এদের প্রতিটি ভবনে আছে রাজকীয় ছাপ।

ভিসা অফিস ( থিম্পু )


জেনারেল পোস্ট অফিস ( জি.পি.ও )
গভর্নর হাউসে আমরা
থিম্পুর অনুষ্ঠান শেষে থিম্পুর গভর্নর এর পক্ষ থেকে আমাদের পুরো টিমকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিলো। রাষ্ট্রীয় ভবনে দাওয়াত খাওয়ার মজাই অন্যরকম। সেখানে খাওয়ার স্টাইল ছিল বুফে। বুফের বেশীরভাগ আইটেম ছিল ভুটানি সবজি। ভাত ছিল, মাছ ছিল, কিন্তু খাওয়ার মতো রুচি পেলাম না। মাছ ছিল অর্ধসিদ্ধ, কোন মশলা ছাড়া এবং আস্ত। সবাই চামচ দিয়ে মাছের গা থেকে খুবলে নেয়ার মতো নিচ্ছিল। কিছু চাইনিজ আইটেম ছিল, ওগুলো দিয়ে খাওয়া সারলাম। তবে সবজিটা চমৎকার রান্না করে ওরা। খাওয়া দাওয়ার পর আমাদের একটা অভ্যর্থনার আয়োজন ছিল।
(বা থেকে) সুমি, ববি, গভর্নর স্যার, লিমন, বাঁধন, জুয়েল, বাংলাদেশী অ্যাম্বাসেডর
গভর্নর স্যার এর হাত থেকে উপহার গ্রহন করছি আমি
ভুটানের একটা সাংস্কৃতিক দল ও আমাদের সাথে দাওয়াতে ছিল। ওদের সাথে পরিচিত হলাম। সবচেয়ে যে বিষয়টি আমাকে বেশী আশ্চর্যান্বিত করেছে তা হোল ওদের ব্যবহার। সবাই খেতে বসেছিল। আমি, ববি, লুৎফর স্যার, বাংলাদেশী অ্যাম্বাসেডর, সুমি আপা, এবং সুমন ভাই খেতে বসে ছিলাম থিম্পুর গভর্নর স্যার এর সাথে। সবাই বসার পর চেয়ার খালি ছিলো একটা তাই ববি আমাকে বসতে বলে আফসারাকে কোলে নিয়ে দাড়িয়ে রইল। অমনি গভর্নর স্যার নিজে চেয়ার থেকে উঠে গিয়ে ববির জন্য চেয়ার নিয়ে আসলেন। আফসারা ঘুমিয়ে পড়েছিল তাই ববি ও আমার খাওয়ার মাঝে একটু অসুবিধা হচ্ছিল, গভর্নর স্যার এটা দেখে আমাকে ইশারায় বললেন, মেয়েকে আমার কাছে দাও, তোমরা খাওয়া শেষ কর সে পর্যন্ত আমি কোলে রাখি। আমি তার এ ব্যাবহারে গুলোতে একদম অভিভূত হয়ে গেছিলাম।
গৌতম বুদ্ধের মূর্তি
  থিম্পু তে ওই দিন সকালে আমরা থিম্পুর কিছু এলাকা ঘুরে দেখেছিলাম। তার মধ্যে অন্যতম ছিল লাভারস পয়েন্ট এবং বুদ্ধার মূর্তি। মূর্তিটি পুরোটা বানানো ব্রোঞ্জ দিয়ে এবং মুখটা গোল্ড দিয়ে বানানো। আমরা যখন গিয়েছি তখনো মূর্তিটি বানানোর কাজ সম্পূর্ণ হয় নি। তাই আমরা সামনে থেকে দেখতে পারিনি। তবে গাড়িতে যখন আমরা পুনাখা রওয়ানা দেই তখন দূর পাহাড়ে দেখেছিলাম অনেক দূর থেকেও সূর্যের আলোতে উদ্ভাসিত “গৌতম বুদ্ধ”



লাভারস পয়েন্ট
বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত ( সর্ব ডানে ) এর কাছ থেকে উপহার নিচ্ছে ববি, সুমি এবং লুৎফর স্যার
ভুটানের আকাশে বাংলাদেশের পতাকা
পরদিন বাংলাদেশী এমব্যাসি থেকে দাওয়াত ছিল। আমাদের এমব্যাসিটি খুব সাধারন একটা বাড়ির মতো। কিন্তু একটা অসাধারন জিনিষ আমার চোখে পরেছিল তা হচ্ছে ভুটানের আকাশে বাংলাদেশের পতাকা।

এমব্যাসির পক্ষ থেকেও আমাদের জন্য উপহার সামগ্রী ছিল। এমব্যাসি ছেড়ে যখন বের হয়ে আসি, তখন মনে হচ্ছিল আর একবার বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছি।

তো আমাদের থিম্পু মিশন শেষ করে রওয়ানা হলাম পুনাখার উদ্দেশে। পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে 4WD গাড়ি দিয়ে যখন উঠছিলাম তখন কেমন যেন একটা অনুভূতি হচ্ছিলো। থিম্পু তে আসার সময় রাতে এসেছিলাম তাই অত ভালো বুঝিনি। কিন্তু এখন বুঝতে পারলাম আমরা কি পরিমান পাহাড়ে উঠেছিলাম। ভয় ও রোমাঞ্চ মিস্রিত অদ্ভুত একটা অনুভূতি।








Protected by Copyscape Web Plagiarism Finder

trafficG