আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

মঙ্গলবার, ৩১ মে, ২০১১

বন্ধুরা মিলে কক্সবাজারে


বন্ধুরা মিলে কক্সবাজারে

 বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার মধ্যে কখনও সুযোগ হয়নি শিক্ষাসফর বা এই ধরনের কোন ট্যুরে যাওয়ার, কারন ডিপার্টমেন্ট হচ্ছে পদার্থবিদ্যা। এই ডিপার্টমেন্ট এর ছাত্ররা নাকি ঘোরাঘুরি বা মজা করতে পারে না। তাই অনার্স ফাইনালের কিছুদিন আগে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম এবার কোথাও ট্যুরে যাব। বললেই তো আর হয় না, ডিপার্টমেন্টের অনুমুতি লাগে, অর্থায়নের ব্যাপার স্যাপার আছে। তাছাড়া এই বিষয়ে অভিজ্ঞ লোকের পরামর্শের প্রয়োজন আছে। এ ছাড়াও আরও অনেক হিসাব নিকেশ আছে। কয়েকজন তো ভেটো দিলো, যে পরীক্ষা সামনে যাওয়া যাবে না। আমরা যারা উদ্যোগ নিয়েছিলাম তারা মোটামুটি হতাশ। তারপরও মনের জোরে ভাবলাম হয়তো ফাইনাল এর পর অনেক বন্ধুর সাথে আর দেখা হবে না, হলেও অনেকদিন পর পর হবে, তাই অনার্স জীবনের সৃতি রোমন্থন করার মতো তো কিছু একটা লাগবে। আবার উদ্যোক্তা গ্রুপ (আমি, মাজাহার, রনি, প্রিন্স, রাজ্জাক....) মিটিং এ বসলাম কি করা যায়। আমি এর আগে কক্সবাজার গিয়েছি এবং আমার ওখানে এক ঘনিস্ট বন্ধু আছে যার নাম পিন্টু। এজন্য রোডম্যাপ করার দায়িত্ব পড়লো আমার ঘাড়ে, শর্ত হোল কম খরচে ঘুরে আসা।

আমার রোডম্যাপঃ
ঢাকা থেকে রাতে ট্রেনে চট্টগ্রাম, সেখান থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে কক্সবাজার, রাতে হোটেলে থেকে পরদিন সকালে সারাদিন ঘুরে চট্টগ্রাম এবং আবার রাতের ট্রেনে ঢাকা। মোটামুটি ১৩০০ টাকা খরচ হবে।

  এর উপর ভিত্তি করে আমরা প্ল্যান করতে থাকলাম যে ডিপার্টমেন্টের কাছে কত চাইব আর আমরা কত দিব। প্ল্যান প্রোগ্রাম শেষ করে আমরা জনমত সংগ্রহে নামলাম এবং আরও একবার হতাশ, কারন সবাই এতো টাকা দিয়ে কক্সবাজার যাবে না। অনেকে পরামর্শ দিলো ২০০-৩০০ টাকায় কুমিল্লা, গাজীপুর, সোনারগাঁ এই টাইপ এর জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যদি কেউ নাও যায়, ডিপার্টমেন্ট অনুমতি এবং সহযোগিতা নাও করে আমরা ১৫-২০ জন মিলে চলে যাব..............।

কামরুল আলম স্যার এর সাথে
অবশেষে তেমন কিছুই হয়নি। অনেক জোরাজুরি এবং বোঝানোর পর, বিশেষ করে আমাদের শ্রদ্ধেয় গোলাম মোস্তফা স্যার এবং রুবেল স্যার যখন ডিপার্টমেন্টের প্রধান কামরুল আলম স্যার (বিশিষ্ট বিজ্ঞানী যিনি পাথরকুচি পাতা থেকে বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেছেন) কে বোঝাতে সক্ষম হলেন এবং ভরসা দিলেন যে এই পাগল গুলোকে আমরা সামলাবো তখন অনুমতি পাওয়া গেলো এবং সবচেয়ে যেটা আনন্দের বিষয় সেটা হোল গোলাম মোস্তফা স্যার এই বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ একজন ব্যাক্তি যেটা আমরা জানতাম না। যাই হোক আমাদের চাঁদা ধরা হোল ১৭০০ টাকা।

পরিবর্তিত রোডম্যাপঃ
কমলাপুর থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম, সেখান থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে রামু হয়ে কক্সবাজার, সেখান থেকে বিকেলে হিমছড়ি এবং ইনানি বীচ, রাতে হোটেলে থেকে পরদিন সকালে বীচে ঘুরে রওয়ানা হয়ে ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক, এরপর চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকা।

স্যার এর সহযোগিতায় আমরা স্পন্সরও পেলাম ইউনিভার্সিটি পাবলিকেশন এর পক্ষ থেকে। ডিপার্টমেন্টের ২০০ জন ছাত্র ছাত্রীর মধ্যে আমরা দলে ভেড়াতে পেরেছিলাম মাত্র ৭৮ জন। অনেকেই যাবে বলে পড়ে না করে দিলো এবং অনেকেই না করে দিয়ে পরে আমাদের কার্যক্রম দেখে রাজি হোল। ট্রেনের টিকেট কিনতে গিয়ে পেলাম মাত্র ৭০টি। রেল কতৃপক্ষ আমাদের জন্য পুরো একটা বগির ব্যাবস্থা করে দিলেন। ২ ফেব্রুয়ারী ২০০৯ রাত ৯.৪৫ এর মধ্যে আমরা একে একে সবাই কমলাপুর রেলষ্টেশনে এসে জড় হলাম। আমাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য কামরুল আলম স্যার নিজেও ষ্টেশনে এসেছিলেন। আমরা সবাই একসাথে কিছু ছবি তুলে এবং ষ্টেশনের সবাইকে আমাদের উপস্থিতি জানিয়ে ট্রেনে উঠে বসলাম। ঠিক ১১ টায় আমাদের ট্রেন কমলাপুর ছেড়ে রওয়ানা হোল চট্টগ্রামের উদ্দেশে। সবাই মিলে হইচই করেই আমাদের যাত্রা শুরু করলাম...........।
( বাঁ থেকে )লাভলু, আমি, মিথুন, সবুজ, রাজন

 রাতে নিজেরাও ঘুমাইনি আর কাউকে ঘুমুতেও দেইনি। গান, কৌতুক, হইচই আর চিৎকার চেঁচামেচি এক কথায় পুরোপুরি উচ্ছল ছিলাম সারা রাত। ট্রেনেই আমাদের সবাইকে ডিপার্টমেন্টের নাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত টি-শার্ট দেয়া হয়েছিল। আমাদের বগি ছিল ট্রেনে অন্য সব বগি থেকে আলাদা। যখনই কেউ আমাদের বগি দিয়ে অন্য বগিতে যেত, সে বুঝত অনেকগুলো পাগল একসাথে ট্রেনে উঠেছে। বিরামহীন আনন্দ করেছি সারারাত। ৩/২/২০০৯ সকাল ৬.৩০ এ চট্টগ্রাম এসে নামলাম। গাড়ি রিজার্ভ করাই ছিল, ঝটপট রওয়ানা হয়ে গেলাম কক্সবাজার এর উদ্দেশে এবং নাস্তা সেরে নিলাম গাড়িতেই।

রামুতে বৌদ্ধ মন্দির
সবাই মিলে মজা করতে করতে রামু পৌঁছে গেলাম। এখানে আমরা একটা বুদ্ধমন্দির দেখলাম। মন্দির এর ভেতরে আছে বড় বড় বুদ্ধমূর্তি কিন্তু ছবি তোলা নিষেধ। তাই মন্দির এর বাইরে আমরা কিছু ছবি তুলে আবার গাড়িতে চেপে বসলাম, পরবর্তী লক্ষ্য সোজা কক্সবাজার। হোটেলে পৌছুলাম ১১.৪৫ এ। আমাদের হোটেলের নাম ছিল “তাহের ভবন”। পোশাক ছেড়ে ট্রাউজার এবং টিশার্ট পড়ে রওয়ানা দিলাম বীচের উদ্দেশে। আমার বন্ধু পিন্টুকে আগেই ফোন করে দিয়েছিলাম, ও হোটেলের নিচেই দাড়িয়ে ছিল। ঢাকা থেকে বীচে হাঁটার মতো কোন স্যান্ডাল নিয়ে যাই নি। তাই বীচের কাছে মার্কেট থেকে বার্মিজ চটি কিনলাম একজোড়া। পিন্টুর একটু ব্যাস্ততা ছিল, তাই পরে আবার আসবে বলে বিদায় নিলো। ও আবার কক্সবাজারের শুধু স্থানীয় ছেলেই নয়, ব্যাপক জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্ত। ও আমাদের জোনের লাইফগার্ডকে আমাদের সবার ব্যাপারে বিশেষভাবে খেয়াল রাখার কথা বলে গেলো। এবং আমি আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করছিলাম যে, আমরা যতক্ষণ পানিতে ছিলাম সে বীচে দাড়িয়ে ছিল। যাইহোক পানিতে কেমন মাতামাতি করছিলাম তা বর্ণনায় বোঝাতে পারবনা, তাই কিছু ছবি দিলাম।
( ডান থেকে ) রাজন, সবুজ, আমি, রাজ্জাক, তাহের ভবনের সামনে



পিন্টু এবং আমি
আমার সাথে বান্ধবী মালা
ওদিকে আমার দুজন রাখাইন বান্ধবী আছে, “মালা” এবং “মেমেছেন”, ওদের সাথেও পিন্টুর মাধ্যমেই পরিচয় হয়েছিল সেই ২০০১ সালে, ওই দুজনকেও ফোন করেছিলাম। এদের মধ্যে মেমেছেন একটু ব্যাস্ত থাকায় সে আসতে পারেনি কিন্তু মালা আমার সাথে দেখা করতে বীচে চলে এসেছিলো। আমারা তখন সবাই সমুদ্র থেকে উঠে হোটেলে যাচ্ছি, এই সময় মালার সাথে আমার দেখা হোল। আমার বন্ধুরা জানতো না যে আমার পরিচিত কোন মেয়ে কক্সবাজারে আছে তাই তারা যারপরনাই বিস্মিত হোল, এবং দুএকজন আমাদের ছবিও তুলে নিলো। এই নিয়ে হোটেলে ফেরার পর সে কি হাসাহাসি............।

ইনানি বীচ

ঝটপট দুপুরের খাবার সেরে ৩.৩০ এর দিকে আমরা ইনানি এবং হিমছড়ির দিকে রওয়ানা হলাম। ইনানি বীচটা ছোট হলেও বড় বড় পাথরের কারনে দেখতে খুব সুন্দর। পরন্ত দুপুরের বা বিকেলের আলোতে যেন ইনানির সৌন্দর্য আরও বেড়েগিয়েছিল। ইনানিতে মোটামুটি ছবি তোলার ধুম পরেছিল। এদিকে কোন দিক দিয়ে যে সূর্যাস্তের সময় হয়েগেছিল তা কারো খেয়াল ছিল না। মোস্তফা স্যার এর ডাকে সবার টনক নড়ল। দৌড়ে গিয়ে গাড়িতে উঠলাম, দ্রুত পৌঁছে গেলাম হিমছড়ির কাছাকাছি একটি নির্জন বীচে, সবাই সেখানে নেমে সূর্যাস্ত উপভোগ করলাম। এরপর চলে এলাম হিমছড়ির পাহাড়ে। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়াতে তেমন কিছুই দেখতে পারিনি, তবে শেষ আলোর অপচ্ছায়ায় হিমছড়ির পাহাড়ের উপর থেকে দেখেছি সমুদ্রের বিশালতা, দেখেছি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকতের অপার সৌন্দর্য।

হোটেলে পৌঁছে খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা কয়েকজন মিলে রাতে আবার ঘুরতে বের হোলাম। আমাদের হোটেলের অনতিদূরে মেলা হচ্ছিল। মেলায় ঘুরে ঘুরে কক্সবাজারের স্থানীয় পণ্য এবং রাখাইন ও অন্যান্য উপজাতি যারা কক্সবাজার বসবাস করে তাদের হাতের কাজ করা বিভিন্ন পণ্য দেখলাম। রাত ১০.৩০ টায় হোটেলে ফিরে একটু টি.ভি. দেখে ঘুমিয়ে পড়লাম। কারন সকালে আবার যাত্রা শুরু করতে হবে।
লাইট হাউসের উপরে পাহাড়....

পরদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেই চলে গেলাম লাইটহাউস দেখতে। আমাদের হোটেলে পেছনেই পাহাড়ের উপরে লাইটহাউস যেখান থেকে পুরো কক্সবাজার দেখা যায়, অনেক দূর পর্যন্ত সমুদ্র দেখা যায়।

লাইট হাউস থেকে সোজা বীচে, আবারও সমুদ্র সৈকতে বেশ অরধবেলা ঝাপাঝাপি করলাম। গতদিনের চেয়ে অনেক বেশী মজা করলাম। সবচেয়ে বেশী মজা হয়েছিল মোস্তফা স্যারকে নিয়ে। উনি পানিতে নামবেন না। মাজাহারের কথা হোল, পানিতে তো উনাকে নামাতেই হবে। আমরা সবাই মিলে বুদ্ধি করলাম, ছবি তোলার উছিলায় স্যারকে পানিতে নামাতে হবে। আমাদের এই কার্যক্রম ছবিগুলো একটু খেয়াল করে দেখলেই বুঝতে পারবেন................






হোটেলে এসে দ্রুত কাপড় চোপড় গুছিয়ে রেডি হলাম, ব্যাগ নিয়ে চলে এলাম খাবার হোটেলে। খাওয়া দাওয়া করে দ্রুত রওয়ানা হলাম ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের উদ্দেশে।
ঠিক বেলা ৩ টায় সাফারি পার্ক পৌঁছুলাম। সাফারি পার্ক আমার জীবনে এর আগে কখনও আসিনি। তাই জানতাম না যে এই পার্কে পশুরা খাঁচায় থাকে না, মানুষরাই খাঁচায় থাকে, পশুরা মুক্ত পরিবেশে ঘুরে বেড়ায়। চমৎকার এবং নতুন একটা অনুভূতি হোল পার্কটি দেখে। পার্কের ভিতরে  একটা মিউজিয়াম আছে, যারা ওখানে যাবেন অবশ্যই দেখবেন, আশ্চর্য এক সংগ্রহশালা সেটি। 

বাঘের কবলে লাভলু................


পেখম তুলে সাদা ময়ূর

হাতির কঙ্কাল
বিভিন্ন প্রজাতির পাতা
জাভেদ ভাই এর সাথে আমরা সবাই

খাটাশ
পার্কের বিভিন্ন জায়গাগুলো খুব সুন্দর, পশুপাখির অভয়ারণ্য, এবং সবুজের সমারোহ। তবে সারা পার্কের আয়তন অনেক বড় এবং পুরোটাই হেঁটে হেঁটে দেখতে হয়। পার্কে বিভিন্ন স্থানে watch tower আছে যেখান থেকে বিভিন্ন অংশের প্রাণীগুলোর গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। একটা watch tower তো অনেক উঁচু, চড়তে চড়তে হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। সেখান থেকে যা দেখা যায় তা এই ছবিটি দেখলে বুঝতে পারবেন.......

সন্ধ্যার কিছু আগে আমরা পার্ক ছেড়ে বের হয়ে আসলাম। অনেকেই আসতে চাইছিল না কিন্তু পার্ক কতৃপক্ষ তখন পার্ক বন্ধ করে দিচ্ছিল, তাই বের হতে বাধ্য হলাম সবাই।

আবার শুরু হোল আমাদের বাস যাত্রা। রাত প্রায় ৮.৩০ এর দিকে চট্টগ্রাম পৌঁছুলাম। রাতের খাবার সেরে রাত ১০.৪৫ এ সবাই ট্রেন এ উঠলাম। ১১ টার দিকে ট্রেন ছাড়ল। আমাদের সবার কাছেই একটা টিকিট ছিল, ট্রেনে তা থেকে লটারি ড্র হোল। সেই প্রোগ্রামের আনন্দ আর কি বলবো..........

৫/২/২০০৯ ভোর ৬.৩০ এ কমলাপুর এসে নামলাম। এইখনটি ছিল বিদায়ের। অনেক বেশী আপ্লুত হয়ে পড়ছিলাম সবাই। আসলে বিগত ৬ বছরে আমরা এতটুকু কাছে আসতে পারিনি যা এসেছিলাম এই ক’দিনে। সবার চোখে পানি টলমল করছিলো, যেন আর কখনও দেখা হবে না। বেশী আবেগপ্লুত আবহাওয়া আবার আমার মানায় না, তাই চোখের পানি কেউ দেখার আগেই সবার কাছ থেকে দ্রুত বিদায় নিয়ে ষ্টেশন থেকে বের হয়ে চলে আসলাম। এরপর সোজা বাসায়।

এককথায় আমি মনে করি শিক্ষাসফর হোক আর অন্য কোন ভ্রমণই হোক। ইউনিভার্সিটির বন্ধুরা মিলে কোথাও যাওয়ার মধ্যে অন্যরকম মজা আছে। যা অর্থের বিনিময়ে পাওয়া যায় না। আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাদের এই প্রথম প্রয়াস এর স্মারক হিসেবে আমাদের সবার ছবি সম্বলিত একটা বোর্ড এখনও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সেমিনার রুমে লাগানো আছে।

 এভাবেই শেষ হোল আমাদের কক্সবাজার ভ্রমণ।

( বিঃদ্রঃ যাদের নাম না বললেই নয়..... “জাভেদ ভাই” যিনি পুরো সময় আমাদের মাতিয়ে রেখেছেন। এরপর যে বন্ধুরা প্রচুর মজা করেছে.....রাজন, মিথুন, সিয়াম, সোহাগ, হরিপদ, আদনান, রাশেদ, সবুজ, লাভলু, মাহমুদ, শিমুন, সুমন, ফয়সাল, রাজু, হীরা, ফজল .............সবার নাম মনে নেই। )

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

trafficG