আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১২

প্রাগৈতিহাসিক

বেশ কিছুদিন যাবত তেমন কোন কাজকম্ম নাই বিধায় প্রচুর অবসর সময় পাইয়াছিলাম। এই সময়ে বেশ কিছু বই পড়িলাম। আশেপাশের বিভিন্ন কাণ্ডকারখানা নজরে আসিল। ব্যস্ত থাকিতে হয়ত সেগুলোকে তেমন আমল দিতাম না। সবচেয়ে বেশি যে গল্পটা পারিপার্শ্বিকতার সাপেক্ষে মনে সর্বাধিক দাগ কাটিয়াছে সেটি হইল “মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়” এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছোটগল্প “প্রাগৈতিহাসিক”। যাহারা গল্পটি পড়িয়াছেন, তাদেরকে তো আর নতুন করে কিছু বলিবার নাই। তবুও একটু না বলিলেই নয়, গল্পটিতে মানুষের আদিম প্রবৃত্তির রুপায়ন, দক্ষতা, আকাঁড়া বাস্তবতা ও পরিণতির দার্শনিকতার ব্যঞ্জনা খুব সুন্দরভাবে ফুটাইয়া তোলার চেষ্টা করা হইয়াছে। সবচেয়ে বেশি আলোকপাত করা হইয়াছে কামভাবের অপরিণামদর্শী প্রভাবের উপর। মানুষ যখন কামান্ধ হইয়া সভ্যতা ভুলিয়া আদিম মাদকতায় উপনীত হয়, তখন তাহাকে আজকের সভ্যতায় মানসিক বিকারগ্রস্থ ছাড়া আর বলিবার কিছুই থাকে না। আধুনিক এবং উন্নত প্রজাতির অনেকেই হয়ত বলিবেন কাম মানুষ সৃষ্টির এবং বংশবৃদ্ধির অন্যতম মাধ্যম। তাই এতে দোষের কিছু নাই। তাহাদের অবগতির জন্য বলি, মানুষ আর জানোয়ারের মধ্যকার পার্থক্য হইতেছে চিন্তাশক্তি। জানোয়ারের শুধুই খাওয়া, বাঁচা আর বংশবৃদ্ধি পর্যন্তই সীমাবদ্ধতা রহিয়াছে। আর মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টির সেরা করে সৃষ্টি করিয়াছেন। মানুষকে দিয়াছেন সভ্যতা গড়ে তোলার মত চিন্তাশক্তি। দিয়েছেন উন্নত হওয়ার মত বুদ্ধিমত্তা। সেই মানুষ যখন নিছক পাপিষ্ঠ কামের অনুরণনে মজে নিজের মনুষ্যত্বকে বিলায়ে দেয়, তাহাকে চিড়িয়াখানায় বন্দি করিয়া রাখাই আমি উপযুক্ত মনে করি। 

বেশ কিছুদিন যাবত এহেন কিছু কর্মকাণ্ড দেখিয়া আমি যারপরনাই অবাক। এই মনুষ্যত্ব বিবর্জিত কাজ যাহারা করিতেছেন, তাহারা আবার ইহাকে শাশ্বত, পবিত্র প্রেম বলিয়া চালানোর চেষ্টা করিতেছেন। তাহারা বলিতেছেন, “দেখে সে ভাব কইতে মানা, ভাবুক বিনা কেউ জানেনা।“ অথবা বলিতেছে “গোপী তো একাধিক থাকতেই পারে। কিন্তু রাধা তো কৃষ্ণের মনের রানী”। সাধারন বিচারে নাকি উনাদের বিচার করা যাইবে না। আমি বলি, নির্লজ্জতার চরম অবস্থানে না পৌছিলে কেহ এমন চিন্তাও করিতে পারে না। আধুনিকতার দোহাই দিয়া তাহাদের এহেন কাজকর্ম প্রাগৈতিহাসিক যুগের কথাই বারবার মনে করাইয়া দিতেছে। দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়া কোন এক কারনে মন্তব্য করিয়াছিলাম, “হায় অভাব, হায় দুর্ভিক্ষ, পচা মাংস নিয়াও আজকাল কাকে, শকুনে আর মানুষে টানাটানি করে।“ সৃষ্টিকর্তার কাছে আমার প্রার্থনা, যেন উনি মানসিক বিকারগ্রস্থ এবং পাপিষ্ঠ কামের ধুম্রজালে আবদ্ধ এই মানুষগুলোকে হেদায়েত দান করেন। যদি উনারা হেদায়েত প্রাপ্তির অযোগ্য হন, তবে যেন সৃষ্টিকর্তা উনাদের ধ্বংস করিয়া দেন। কারন এই লোকগুলো সংক্রমিত করিয়া ফেলিবে পুরো সমাজ, দেশ, তথা জাতিকে।

রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১২

কবিতা আজ লিখবোই


আজ রাতে কবিতা লিখব
ঘুমুতে দেব না শব্দ দের কে
নিঃশব্দ রাখব না আর আবেগ
কলমের আঘাতে 
ক্ষত বিক্ষত হবে আজ কবিতার খাতা
কলমের রক্ত ঝরিয়ে হলেও লিখব কবিতা
লিখব কবিতা আজ রাতে।

নির্ঝরা স্বপ্নগুলোকে
আজ ঝরিয়েই ছাড়ব।
বুক আঁকড়ে পরে আছে অনেকদিন হয়,
কান্না হয়েও বেরিয়ে আসে না তারা
আজ কলমের ডগা দিয়ে
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করে আনব
লিখব কবিতা আজ রাতে।

নালিশ জানালাম ভাবের দরজায়
জানালাম শব্দদের সেচ্ছাচারিতার কথা
বলেছিল অপেক্ষা করতে...
অপেক্ষায় থেকে থেকে অতিষ্ঠ, বিরক্ত আমি
আজ পিঠ থেকে গেছে দেয়ালে
তাইত বিধ্বংসী মনোভাবে
যুদ্ধংদেহী হয়ে বসেছি
লিখবোই কবিতা আজ রাতে।

লিখতে লিখতেই ভাবছি
আজ আর শুনব না কারো কথা
মানবো না নিয়ম, শাসন,
দেখবোনা ব্যকরন, সন্ধি কিংবা সমাস
কিংবা ণত্ব ষত্ব বিধান
ধার ধারব না আজ কোন কালের
ধার ধারব না ছন্দবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত বা অক্ষরবৃত্তের
যে করেই হোক আজ লিখবোই
লিখবোই কবিতা আজ রাতে।

রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১২

পাপিষ্ঠ কামের অনুরণন


অব্যাক্ত বোবা কান্না,
কষ্টের সুগঠিত ধূলিকণায় মিশে
নিরাশার অনন্ত মরুভূমি মাঝে,
ধূসর আবহ করে সৃষ্টি।
সেই আবহমান ধূসরতা ঘেরা জীবন যখন,
তখনও ছাড়ে না পিছু
নির্লিপ্ত নির্লজ্জ কামুকতা।

অদ্ভুত এই কামনা,
না বোঝে সময়,
না মানে নিয়ম, শাসন,
পরিক্রমা তার নির্লজ্জ এতটাই,
ক্ষুধিতের দেহেই নাকি অধিক বিচরণ।
নির্লিপ্ত স্খলনে
কষ্ট ঝেড়ে সুখী হতে চাওয়া যেন।

এরই মাঝে....
চারিদিকে আবার উলঙ্গ উন্মাদনা
মন না জাগলেও,
শরীর জেগে উঠে প্রতিক্ষণ, অকারন
যদিও এখনও আছে আরও কিছু শব্দ গোপন
সত্য হয়না মিথ্যা হলেও অকথ্য
কারনে অকারনে শত বারণেও জাগ্রত।

মুমূর্ষ নিস্তেজ বিবেকের জাগরন
ঠিক তখনই হওয়া চাই
যখনই মন কেঁপে উঠে
পাপিষ্ঠ কামের অনুরণনে।।

    বুধবার, ১১ জুলাই, ২০১২

    প্রিয় বাবার প্রতি ভালবাসা



    প্রিয় মানুষটির প্রতি ভালবাসা কোন দিবসের উপর নির্ভর করে না। তবুও দিবসগুলো আমাদের অন্তত কিছু ভাললাগা স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়, কিছু অমূল্য সময়কে মনে করিয়ে দেয়, যা কেটেছে ঐ প্রিয় মানুষটির সঙ্গে। বাবা দিবস বলে কখনও কোন দিবস পালন করিনি। বিশেষ কোন আয়োজন হয়নি। বাবাকে গলা জড়িয়ে বলা হয়নি, “বাবা তোমাকে ভালবাসি”। কেন যেন মনে হয় যে, এতোটা যান্ত্রিক এখনও হয়ত হইনি, যতটা যান্ত্রিক হলে বাবার জন্য আলাদা সময় বের করতে হয়।

    আমার বাবাকে ছোটবেলা থেকে দেখেছি সমাজ, সভ্যতা, ধর্মীয় জ্ঞান থেকে শুরু করে প্রায় সবকিছু আমাদের দুই ভাইবোনকে হাতে ধরে ধরে শেখাতেন। যদিও সময় খুব কম পেতেন, প্রতিদিন আব্বু যখন উনার ব্যবসার উদ্দেশে ঘর থেকে বের হতেন, আমরা ঘুমিয়ে থাকতাম। আবার যখন বাড়ি ফিরতেন গভীর রাতে তখনও আমরা ঘুমাতাম। পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার এবং কলতাবাজার এলাকায় কেটেছে আমার শৈশবের শুরু থেকে অনেকটা অংশ। আমাদের প্রতিবেশী এক বিহারী লোক প্রায়ই আমার আম্মাকে বলতেন, “ইমরান তো উস্কি আব্বাকো নেহি পেহেচানেগা”। আম্মা মুচকি হাসতেন। অনেক সময়ই আব্বুর ঘরে ফেরার আওয়াজ পেলে আমি জেগে উঠতাম। যে কোন বিশেষ দিন, যেমন ২১ ফেব্রুয়ারী, ১৬ ডিসেম্বর, শবে বরাত, ইত্যাদি দিনগুলোতে আব্বা পুরান ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানি নিয়ে আসতেন। আদর এবং শাসনের দ্বৈত রুপ দেখেছি আমার বাবার মধ্যে।

    আমার বাবা ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধের সময় তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর রেগুলার ফাইটার হিসেবে। এক অপারেশনে তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং আহত অবস্থায় অনেক লম্বা সময় তিনি হাসপাতালে ছিলেন। যুদ্ধের পরবর্তী সময়ে সবাই ধরে নিয়েছিল যে আব্বা আর জীবিত ফিরবেন না। কিন্তু তিনি ফিরেছিলেন বিজয়ীর বেশে। আমার দাদার কাছে শুনেছি, আব্বা খুব রাগী ছিলেন ছোটবেলা থেকেই। কোথাও কোন অন্যায় উনি সহ্য করতেন না। মৃত্যুকে কখনও ভয় করতেন না। সদরঘাটের অনেক অস্রধারী সন্ত্রাসীকে উনি খালি হাতে পিটিয়েছেন। জীবনে উনি কোন নেশা করেননি। হারাম উপায়ে উপার্জন থেকে সর্বদা দূরে থেকেছেন। ছোটবেলা থেকেই প্রচুর পরিশ্রম করেছেন পরিবারের জন্য। ছোট ভাইদের মানুষ করেছেন, নিজের পায়ে দাড়াতে শিখিয়েছেন। উনার সততা এবং পরিশ্রমের জন্য উনি এখনও আমাদের গ্রামের বিভিন্ন জেনারেশনের কাছে জনপ্রিয়। 

    আমাদের দুই ভাইবোনকে আব্বা সেই সব কিছুই না চাইতে দেবার চেষ্টা করেছেন, যেটা উনি ছোটবেলায় পাননি। আব্বা মেধাবী ছাত্র ছিলেন, কিন্তু পারিবারিক কিছু কারনে গ্রাজুয়েশন করতে পারেননি। কিন্তু আমাদেরকে উনি লেখাপড়ার কোন বিষয়ে কখনও কমতি রাখেননি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন, ধন সম্পদ মানুষকে বড় করে না, মানুষ তার মনের সমান বড়। সবসময় সবাইকে সমান দেখার পরামর্শ দিয়েছেন। মানুষের যে কোন সমস্যায় এগিয়ে যাওয়াতে আব্বা সবসময় উৎসাহ দিতেন এবং এখনও দেন। মাঝে মাঝে আমি মনে মনে ভাবি যে, আমি কি আব্বার মত হতে পারব? পরমুহুর্তে চিন্তা আসে, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি পারব না, এটা হতেই পারে না।

    আপনি আমাদের গর্ব আব্বা। কোন বিশেষ দিনের জন্য আপনার প্রতি শ্রদ্ধা বরাদ্দ থাকবে না। আপনি আমাদের মনের মণিকোঠায় থাকবেন সর্বক্ষণ। সামনাসামনি হয়ত কখনও বলা হয়নি। কিন্তু পরোক্ষ ভাবে বলছি, “আব্বা, আপনাকে আমি খুব ভালবাসি।“

    রবিবার, ২৪ জুন, ২০১২

    কিভাবে oDesk এর প্রোফাইল ১০০% কমপ্লিট করবেন!!


    ফ্রিলান্সিং এর মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে oDesk খুব জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস। নতুনদের এখানে কাজ পেতে প্রোফাইল আপডেট করা বেশ জরুরী। কারন আপনার প্রোফাইল দেখেই একজন ক্লায়েন্ট আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহী হবে। তাই প্রোফাইল সমৃদ্ধ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এই পোষ্টে আপনাকে আমি  oDesk এ ফ্রি একাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে পুরো প্রোফাইল আপডেট করার প্রক্রিয়াটি আলোচনা করার চেষ্টা করব।
    প্রথমে www.odesk.com/login.php এই লিংকে যান। সেখানে একটা উইন্ডো পাবেন এমন.....
    এখান থেকে Create an Account এ ক্লিক করুন। পরবর্তী উইন্ডো হবে......
    যেহেতু আপনি এখানে কাজ করতে চান, তাই Find Work এ ক্লিক করুন। পরবর্তী উইন্ডো আসবে এমন.....

    উপরের তথ্যগুলো সঠিক ভাবে পুরন করুন। মনে রাখবেন, ফেক আইডি বা ফেক তথ্য দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করবেন না। এতে আপনার পেমেন্ট আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। তথ্য পুরন শেষে Get Started বাটনে ক্লিক করুন। এর পরই আপনি এই উইন্ডোটি পাবেন.....
    এবার আপনার ব্রাউজারের এই ট্যাবটি বন্ধ করে দিয়ে আপনার মেইল এড্রেস এর ইনবক্স চেক করুন। দেখুন  oDesk এর পক্ষ থেকে আপনি একটা মেইল পেয়েছেন। কোন কারনে ইনবক্সে না পেলে স্প্যাম এ চেক করুন। মেইলে আপনি একটা লিংক পাবেন। সেখানে ক্লিক করলেই আপনি পাবেন এই উইন্ডোটি...
    একটু লক্ষ্য করুন, উপরের উইন্ডোতে ডানে দেয়া আছে Your Profile Completeness 0%। আপনার প্রোফাইলে একেকটি বিষয় যুক্ত হওয়ার সাথে সাথেই এই % বাড়তে থাকবে এবং খালি জায়গাটি সবুজ হতে থাকবে। এখানে আপনি প্রথমেই ক্লিক করবেন Create your Profile বাটনে। এখানে ক্লিক করার পর আপনি নিম্নের উইন্ডোটি পাবেন....
    এখানে Portrait অপশনে আপনার একটা ভালো এবং একক ছবি দিন। এখানে যে খুব ফর্মাল ছবি দিতে হবে তা নয়। তবে ছবিতে যেন আপনার মুখ ভালভাবে দেখা যায়। ঘোলা ছবি বা কোন লোগো এখানে ব্যবহার না করাই ভালো। কোন গ্রুপ ছবিও এখানে দেয়া উচিৎ নয়। Title অপশনে আপনি আপনার প্রোফাইলের সারাংশ বা সারমর্ম লিখতে হবে। এখান থেকেই আপনার পেশাদারিত্ব ফুটে উঠবে। এখানে ডেকোরেটিভ শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। objective অপশনে আপনার কাজের পছন্দ বা আপনার আত্মবিশ্বাস দৃঢ় ভাবে ফুটে উঠতে হবে যেন, ক্লায়েন্ট আপনার objective এর প্রথম লাইন দেখেই পুরো প্রোফাইল দেখার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। যেমন Over the last 5 years, I have Presenting a wide range of Presentation. My core competency lies in complete end-end management of a new project based on my skill, and I am seeking opportunities to make presentation from the ground up for you or your business.

    রেটের ক্ষেত্রে নতুনদের hourly $3-$5 এর মধ্যে চার্জ করা উচিৎ। কাজের দক্ষতার উপর ধীরে ধীরে চার্জ বাড়ানো যেতে পারে। আমি একজন ব্যক্তির কথা শুনেছি যিনি শুধুমাত্র MS Excel এ কাজ করেই ঘণ্টায় $158 চার্জ করে। এবং আপনার ভালো ইংরেজি অবশ্যই জানতে হবে। আপনার ইংরেজি দক্ষতার উপর ভিত্তি করে এর পরের ট্যাবটিতে সিলেক্ট করবেন। এই ক্ষেত্রে ৩ অথবা ৪ নম্বর অপশনটি সিলেক্ট করা ভালো। এর পরবর্তী অংশ হচ্ছে....... 


     Add job categories that apply to you এ ক্লিক করলে নিম্নোক্ত উইন্ডোটি আসবে.....
    এখান থেকে বেছে বেছে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ গুলোতে টিক দিন। আপনি সর্বোচ্চ ১০ টি ক্যাটাগরি বাছাই করতে পারবেন। তাই এক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিতে হবে। oDesk স্বয়ংক্রিয় ভাবে এই রিলেটেড কাজগুলোর নোটিফিকেশন আপনার মেইল এ পাঠাবে। এখানে কাজ শেষ হলে Save Categories ক্লিক করলে আপনাকে পূর্বের উইন্ডোতে নিয়ে যাবে। এখান থেকে Profile visibility অপশনে Everyone সিলেক্ট করুনএতে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। এরপর Location Information ঠিকমত দিন। এই অংশটি পরবর্তীতে MASTER CARD পেতে কাজে লাগবে। এবং ফোন নম্বর দিন এভাবে +880 1911 115315এটা আমার নম্বর হুবুহু আবার এটাই  দেয়ার কোন দরকার নাই.... J

    এখানে কাজ শেষ করে Save Profile and Continue ক্লিক করুন। নিম্নোক্ত উইন্ডো তে দেখুন আপনার প্রোফাইল ৩০% কমপ্লিট হয়ে গেছে। 

    এখন Add a Skill এ ক্লিক করুন..... 

    বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১২

    oDesk readiness test এর প্রশ্ন এবং উত্তর

    ODesk এ প্রোফাইল আপডেট করার অন্যতম উপায় হচ্ছে oDesk test গুলোতে পাশ করা। এর মধ্যে ODesk readiness test অন্যতম। এই টেস্টটি মুলত ODesk সম্পর্কিত কিছু আলোচনা মূলক টেস্ট। এখানে ১১ টি প্রশ্ন থাকবে। এবং সময় ১ ঘণ্টা। প্রতিটি প্রশ্নের সাথে একটা করে লিঙ্ক থাকবে যেখানে গেলে এর সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে। কিন্তু তারপরও অনেকেই এই টেস্ট এ পাশ করতে পারেন না। তাদের জন্য আমি সেই test এর প্রশ্ন এবং উত্তর এখানে দেবার চেষ্টা করব। 
    Ans: e. all of above

    Ans: d. The oDesk fee is $2/hour for hourly contracts

    Ans: e. all of above

    Ans: e. all of above

    Ans: a. Yes! You can create an agency and earn money

    Ans: c. The weekly limit can be changed by the contractor 

    Ans: e. all of above

    Ans: e. all of above

    Ans: e. all of above

    Ans: b. How much pay and when to pay is at the employer's discretion

    Ans: e. all of above
    শুধু প্রশ্ন গুলোর উত্তর জানলেই হবে না। এই প্রশ্ন গুলোর মধ্যেই oDesk সম্পর্কে খুব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই এই ১১ টি প্রশ্ন এবং উত্তর ভালো করে মনে রাখা খুব বেশি প্রয়োজন।

    আলইমরান

    oDesk Certified MS Word 2007 Expert

    oDesk Certified MS PowerPoint 2007 Expert

    বুধবার, ২০ জুন, ২০১২

    আউটসোর্সিং এবং ফ্রিল্যান্সিং (Outsourcing & Freelancing )


    জুন ছিল কিউবি ল্যাপটপ মেলার ২য় দিন। সেদিন হোটেল রূপসী বাংলায় মেলার পাশাপাশি আয়জন করা হয়েছিল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন সেমিনার। Computer source ltd. হোটেলের মার্বেল হলে আয়োজন করেছিল Logitech এর সৌজন্যে Meet the Bloggers & press নামক একটি অনুষ্ঠান। সেখানে প্রথম আলো ব্লগের পক্ষ থেকে ছিলাম আমি, আশরাফুল কবির ভাই, সফেদ কুহেলি, অনিন্দ্য অন্তর অপু, সাজ্জাদ হোসাইন ধূসর এবং শিমুল ফেরদৌস। আমাদের অনুষ্ঠান ছিল টা থেকে। কুহেলি, আমি, আশরাফুল কবির ভাই এবং ধূসর সেখানে আগেই পৌঁছে গেছিলাম। সৌভাগ্যক্রমে সেদিন টা থেকে বকুল হলে ছিল BDOSN (Bangladesh Open Source Network) এর পক্ষ থেকে আউটসোর্সিং এর উপরে বিশেষ সেমিনার। প্রথম আলো ব্লগের মোডারেটর হাসিভ ভাই এর সুবাদে আমরা জন অংশগ্রহন করেছিলাম সেখানে। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন মুনির হাসান স্যার।

    আউটসোর্সিং সম্পর্কে আমার পূর্বের তেমন ধারনা ছিল না। আমি মনে করতাম সকল আউটসোর্সিংই হল PTC (Paid To Click). আমার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল প্রমান করে আমি শিখলাম যে, আউটসোর্সিং এক বিরাট সম্ভাবনার নাম। কিন্তু আমরা সাধারন যারা আছি, আমাদের কাছে এর সঠিক তথ্য পৌছায় না। যার কারনে আউটসোর্সিং সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষ ভুল জানে এবং ভুল বুঝে। আমার আজকের এই লেখার উদ্দেশ্য হচ্ছে আউটসোর্সিং সম্পর্কে আমাদের ভুল ধারনা একটু পরিবর্তন করা।

    একটা উদাহরন দিলে সহজে বুঝবেন, মনে করুন আমাদের বাসার কিছু কাজ আছে, যা আমরা নিজেরা করিনা। কাজের বুয়া দিয়ে করাই। বিনিময়ে আমরা তাকে পে করি। আউটসোর্সিং অনেকটা এমন। আবার এর মধ্যে কিছু বুয়া আছে যারা পার্মানেন্ট কাজ করে না। যাদেরকে বলি ছুটা বুয়া। আবার কিছু আছে পার্মানেন্ট কাজ করে, তাকে আমরা বলি বান্ধা বুয়া। এমনি ভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তি তাদের কাজটি কখনও স্থায়ী এমপ্লয়ি দিয়ে করায় আর কখনও খুঁজে নেয় কিছু ফ্রিল্যান্সারদের। ফ্রিল্যান্সার দিয়ে কাজ করানোর সুবিধা হচ্ছে, কাজদাতারা সল্প খরচে মানসম্পন্ন কাজ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পেয়ে যায় এতে খরচ অনেক কমে যায়। অপরদিকে প্রচুর কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আউটসোর্সিং মুলত হয় কিছু মার্কেটপ্লেস এর মাধ্যমে। যেখানে অনেক ফ্রিল্যান্সারগন উনাদের প্রোফাইল নিয়ে কাজের অপেক্ষায় থাকেন। ব্যাপারটা অনেকটা এমন যে, আমরা যখন কোন বাজারে যাই, তখন অনেক বিক্রেতা তাদের পণ্য নিয়ে অপেক্ষা করে। আমরা দেখে শুনে যেটা ভালো হয় সেটা কিনি। 

    মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে
    1.      www.oDesk.com
    2.      www.Freelancer.com
    3.      www.vWorker.com
    4.      www.Elance.com
    5.      www.GetACoder.com
    6.      www.ScriptLance.com
    7.      www.ThemeForest.net
    8.      www.GraphicRiver.net
    9.      www.ActiveDen.net

    আরও বিস্তারিত জানার জন্য কিছু সাইট

    এই সাইট গুলো থেকে বিভিন্ন রকম পি.ডি.এফ. ফাইলসহ প্রচুর তথ্য ডাউনলোড করতে পারবেন।

    একটা কথা মনে রাখা জরুরী, আউটসোর্সিং করতে হলে যে আপনাকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে এমন কিছু নয়, হতে পারে আপনি ভালো আর্টিকেল বা প্রিভিউ লেখেন বা ভালো অনুবাদক বা আপনি যদি ভালো গ্রাফিক্স জানেন, বা খুব ভালো MS OFFICE এর কাজও পারেন তবেও চলবে। অন্তত কোন একটা কাজে আপনাকে পারদর্শী হতে হবে। আর সাথে কিছু কম্পিটারের সাধারন জ্ঞান থাকলেই আউটসোর্সিং শুরু করা যায়।

    আপনাদের সুস্বাস্থ্য এবং সুন্দর জীবন কামনা করছি।
    oDesk Certified MS PowerPoint 2007 Expert


    trafficG