আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

সোমবার, ২৭ জুন, ২০১১

What is Positive Attitude ?????? (part-1)


ইতিবাচক মনোভাব(Positive Attitude) কি?


Attitude কি? 
র্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় আবিষ্কার হচ্ছে মানুষের মনোভাব পরিবর্তন করে তার জীবন যাত্রার মানকে পরিবর্তন করা। এই মনোভাব কে ই ইংরেজিতে Attitude বলা হয়। একটি মানুষের মনুষ্যত্ব এবং সামাজিকতার ধারক এবং বাহক হচ্ছে এই Attitude মানুষের সফলতা এবং ব্যর্থতাও নির্ভর করে এর উপর। এই লেখায় আমি Attitude এর কিছু বিষয় আলোচনা করবো যা আমাদের সফলতা এবং জীবন গঠনে কেমন মনোভাব রাখা দরকার তা বুঝতে সহায়তা করবে।
প্রকারভেদঃ
Attitude কে Act বা আচরনের উপর ভিত্তি করে ২ ভাগে ভাগ করা যায়।
  • Pro-Active Attitude
  • Re-Active Attitude

    এবং Thinking বা চিন্তা করার ধরনের উপর ভিত্তি করেও একে ২ ভাগে ভাগ করা যায়। 
  • Positive Attitude
  • Negative Attitude

প্রথমত,
Act  বা আচরনের ভিত্তিতে সংজ্ঞায়িত করার জন্য এককথায় বলা যায়,
যাকে হাসাইলে হাসে, কাঁদাইলে কাঁদে, রাগাইলে রাগে, খেপাইলে খ্যাপে, উস্কানিতে ঝগড়া করে, অর্থাৎ যিনি পরিস্থিতির সঠিক response করতে পারেন না বা নিজের আচরনের উপর যার কোন নিয়ন্ত্রন নেই তাকেই বলে Re-Active Attitude. সবসময় তিনি আশেপাশের পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হন।
এবং যাকে হাসাইলে হাসে না, কাঁদাইলে কাঁদে না, রাগাইলে রাগে না, খেপাইলে খ্যাপে না, উস্কানিতে ঝগড়া করে না, অর্থাৎ যিনি পরিস্থিতির সঠিক response করতে পারেন বা নিজের আচরনের উপর পুর্ন নিয়ন্ত্রন রাখেন তাকেই বলে Pro-Active Attitude. সবসময় যিনি আশেপাশের পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হন না এবং পরিবেশ কে যিনি প্রভাবিত বা নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। এই ধরনের আচরনধারী মানুষদের কে Responsible (response + able) বা দায়িত্বশীল মানুষ ও বলা যায়।
সাধারণত ছোট বাচ্চা বা পশু পাখিরা Re-Active Attitude এর হয়। চিন্তা ভাবনার প্রসারতা কম থাকলে এই আচরণ প্রকাশ পায়। ছোটবেলা জ্যৈষ্ঠ দের কাছে শুনেছি “মানুষের মতো মানুষ হ”  তখন অনেক ভাবেই ভেবে দেখলাম যে আমি তো দু’পা ওয়ালা মানুষ, আমি আবার মানুষ হব কিভাবে? আস্তে আস্তে বুঝলাম, পশুকে পশু হতে হয় না, সে জন্ম সুত্রেই পশু, কিন্তু মানুষকে মানুষ হতে হয়।" মানুষ জন্মসুত্রে মানুষের আকৃতি নিয়ে জন্মায়, কিন্তু ধীরে ধীরে জ্ঞ্যান অর্জনের মাধ্যমে তার চিন্তা, আচরণ, বোধ, বুদ্ধির প্রসার ঘটে এবং সে প্রকৃত মানুষে রূপান্তরিত হয় বা Pro-Active আচরনের অধিকারী হয়।
এক কথায় বিশ্বের সকল সফল ব্যাক্তির আচরন ই ছিল Pro-Active.
 
দ্বিতীয়ত,
চিন্তা ভাবনা বা Thinking এর ধরনের উপর ভিত্তি করে মনোভাব বা Attitude যদি ব্যাখ্যা করতে চাই তবে আমি প্রথমেই একটি ছবি দেখাবো........





অনেকেই বলবেন যে গ্লাসটি অর্ধপূর্ণ (আশাবাদী বা Positive Attitude )    এবং

অনেকেই বলবেন যে গ্লাসটি অর্ধ খালি (নিরাশাবাদী বা Negative Attitude)





আমাদের আশেপাশের মানুষ গুলোর কথা এবং কাজ থেকেই বুঝা যায় যে, সে Negative না Positive Attitude এর অধিকারী।

(চলবে.............)
Protected by Copyscape Web Plagiarism Finder

বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০১১

একটি শখের দুঃস্বপ অতঃপর.......

প্রচণ্ড শব্দে আবার ঘুম ভেঙ্গে যায়। চোখ মেলে দেখি, একি!! আকাশ আমার এতো কাছে কেন? চাঁদটা এতো বড় কেন?  অবাক হয়ে দেখি, বুঝে উঠতে একটু সময় লাগে, একসময় বুঝতে পারি আমি জেগে নেই, ঘুমিয়ে আছি আর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছি।
তাহলে প্রচণ্ড শব্দে আমার ঘুম ভাঙল কি করে !? এমন অনেকগুলো প্রশ্ন সেই নীলাভ গোলাপি মেঘ হয়ে আসে। ভাবতে ভাবতেই বুঝতে পারি, এ যে আমার ঘুমের ভিতরেই জেগে উঠা, তারমানে!! আমার ঘুমের ভেতরেই ঘুম ভেঙ্গেছে!!?? কেন?? নতুন করে স্বপ্ন সাজাতে??
উফ!!! এ কেমন অনুভূতি....... 
তবে কি এ স্বপ্ন কোনদিন শেষ হবে না, অনন্তকাল ধরে কি শুধু দেখতেই থাকব??
না......... এ হতে দেয়া যায় না। আমাকে জেগে উঠতেই হবে, পরিপূর্ণ জেগে উঠতে হবে, ঘুমের সকল স্তর থেকে একে একে জেগে উঠতে হবে।
ঐ তো, ঐ তো চাঁদ ছোট হচ্ছে, আকাশ দূরে সরে যাচ্ছে। তাহলে কি আমি জেগে উঠছি?!?
ঝিম ঝিম শব্দে ক'টি ঝি ঝি পোকা ডেকে যাচ্ছে অহেতুক। তবে কি আমি সত্যিই জেগে উঠছি........... কেউ আমাকে ডেকে নাও...............আমাকে চিমটি কাটো কেউ.........আ...আমি জেগে উঠতে চাই........... আর দেখতে চাইনা এই শখের দুঃস্বপ্ন।
চিৎকার করতে করতে আমি কি ক্লান্ত হয়ে পড়ছি.............. আমি কি আবারও ঝিমিয়ে পড়ছি..............ঘুমিয়ে পড়ছি ক্লান্ত হয়ে..................না....আ......আ..................



এই কি বলছ ঘুমের ভিতর এইসব, কত বেলা হয়েছে সে খেয়াল আছে...............

মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১১

হাসতে কইছে কে ? (১৮+) ( পর্ব - ৪ )



বেশ  কিছুদিন পরে এই পর্বটি দিলাম। এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে একটা করে পর্ব থাকবে..........................।

 
৩১.    এক অনুষ্ঠানে এক জোকার এসেছে লোক হাসানোর জন্য। সে তার প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে সবাইকে জিজ্ঞেস করল, বলেন তো আমি কি ধরেছি?
সবার মাঝে ছি ছি পড়ে গেল।
জোকার তখন পকেট থেকে একটা কলম বের করে দেখালো, আপনাদের ধারণা ঠিক না। আমি এই কলম ধরে ছিলাম।
তারপর সে আবার পকেটে হাত ঢুকালো। বলল, বলেন তো এইবারে আমি কি ধরেছি?
একেক জন একেক কথা বলা শুরু করল। কেউ বলল মানিব্যাগ, কেউ চাবি, কেউ মোবাইল।
জোকার তার খালি হাত পকেট থেকে বের করল
এবার আপনারা ভুল করেছেন।
 
৩২.    একজন স্ট্রীট ম্যাজিশিয়ান ম্যাজিক দেখাচ্ছেন কোন এক আবাসিক এলাকার এক রাস্তার উপরে। সবাই সাগ্রহে তাকে ঘিরে আছে। মূল আকর্ষণ হচ্ছে নাকি তার ম্যাজিক স্পেল আউড়ানোর সাথে সাথে কোথাও নাকি কিছু দাঁড়িয়ে যাবে আর সবাই মিলে যদি ফুঁ দেয় তবে তা বসে পড়বে।
প্রথম বারঃ হ্রিঙ্গা ত্রিঙ্গা ছট্টে... সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাচ্চাটির পকেট থেকে পেন্সিলটি উঠে দাঁড়িয়ে গেলো। সবাই মিলে একযোগে ফুঁ... বসে পড়লো পেন্সিলটি তার জায়গায়।
দ্বিতীয় বারঃ ম্যাজিশিয়ানের মন্ত্র... মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা একজন ভদ্রমহিলার মাথা থেকে তার হেয়ার পিনটি উঠে দাঁড়ালো। সবাই আবারো ফুঁ... বসে পড়লো হেয়ার পিন।
শেষ বারঃ মন্ত্র পড়া শেষ... সবাই ফুঁ দেবার অপেক্ষায়... কিন্তু কেউ বুঝতে পারছে না কোথায় কি দাঁড়ালো...!! আকস্মিক ভাবেই পাশের এক বাড়ীর দরজা খুলে একজন ৮৫ বছরের বৃদ্ধ বেরিয়ে এসে হাঁক ছাড়লেন, "এই পাঁজির দল, নচ্ছার গুলো, খবর্দার বলে দিচ্ছি, কেউ কিন্তু ফুঁ দিবি না হতচ্ছাড়ারা"...!!
৩৩.     অরিত্র বাবু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গেছেন প্রাকৃতিক অপূর্ব সৌন্দর্য উপভোগ করতে। সমুদ্রের কাছে গিয়ে নামতে ইচ্ছে হলো পানিতে।
ড্রেস শর্ট করে সমুদ্রে নামতে যাবেন, কাছেই ২/৩ জন ষোড়শীর শর্ট ড্রেস দেখে অরিত্র বাবুর শরীরে ঘাম দেখা দিলো।
তিনি একটু বেশিই সেনসেটিভ।
দৃশগুলো সইতে পারেন না।
আর তাই শর্টপ্যান্টের সামন দিক উঁচু হতে থাকলো। ভয়, লজ্জা আর হিন্মতা নিয়ে এদিক সেদিক তাকালেন  কেউ দেখছে না তো?
সামন পেছন ডান বাম দেখতে গিয়ে ডানে দেখলেন এক পিচ্চি মেয়ে চোখ বড় বড় করে অরিত্র বাবুর দেহের বিশেষ দিকে তাকিয়ে আছে। পুচকা মেয়েটি হয়তো বুঝতে পারছে না কেন ওখানটা উঠানামা করছে।
মহা ফ্যাসাদে অরিত্র বাবু।
তিনি স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলেন একটু কুঁজো হয়ে দাঁড়িয়ে।
সেয়ানা পিচ্চিটি অরিত্র বাবুর আর একটু সামনে এগিয়ে এলো।
> আংকেল, এটা কী?
= পাখি... যাও যাও ডিস্টার্ব করোনা!
পিচ্চিটি গেলো না। তবে অরিত্র বাবুর তাড়া খেয়ে অদূরে দাঁড়িয়ে রইলো। অরিত্র বাবুর মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেলো। তিনি পানিতে দ্রুত ঝাপিয়ে পড়লেন।
ঝাপাঝাপি করে এসে সৈকতে শুয়ে পড়লেন। বিকালের সোনালী রোদ গায়ে লেগে একটা আরাম আরাম ভাব চলে এলো। কখন যে অরিত্র বাবু ঘুমিয়ে পড়েছেন, খেয়ালই করেন নি।
ঘুম ভেঙে দেখেন তিনি হাসপাতালে।
ঘটনা কী?
অন্য সবাইও জানতে চাইলেন ঘটনা কী?
অরিত্র বাবু ফ্যাল ফ্যাল করে এদিক ওদিক তাকাতে গিয়ে হঠাৎ অনুভব করলেন উনার বিষেশ অঙ্গে ব্যান্ডেজ।
খাইছে!
ডাক্তারের প্রশ্নে অরিত্র বাবু জানালেন, কিছুই জানি না। তবে শেষ মনে পরে সৈকতে একটা পিচ্চি মেয়ে আমার চারপাশে ঘুর ঘুর করছিলো।
ডাক্তার লোক পাঠালেন পিচ্চিকে ধরে আনার জন্য।
পিচ্চি এসে বলে,

আংকেল ঘুমিয়ে যাবার পর আমি আংকেলের পাখি আর পাখির দুইটা ডিম নিয়া খেলতে ছিলাম। হঠাৎ দেখি পাখি রাগে ফুইসা উঠছে। তাই আমি ধাক্কা দিছি। অমনি পাখি আমারে থুতু দিছে, আর তাই আমিও পাখির ডিম ভাঙার জন্য ইটের টুকরা দিয়া মারছি।

৩৪.     একদিন এক বাসার গৃহকর্তা আর তার বৌ গলা ফাটিয়ে চেঁচিয়ে ঝগড়া করছে। একপর্যায়ে লোকটা তার বউকে বলল Whore আর শুনে মহিলা লোকটাকে বলল Pimp
তাদের ছোট ছেলে ছিল একটা, সে শুনে বাপ মাকে বলল, 'Whore আর Pimp মানে কি?' বাবা মা বলল, 'এটা কিছু না ভদ্রমহোদয় আর ভদ্রমহোদয়া, আইমিন লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যান'

২দিন পরে এক রাতে ভালবাসার একপর্যায়ে মহিলা লোকটাকে বলে বসল 'ফিল মাই বুবস' আর লোকটা ৫ মিট পরে বলল 'ফিল মাই ডিকি' ছেলেটা এবারও ঘন্টা খানেক পরে বাবা মাকে জিজ্ঞেস করল 'বুবস আর ডিকি মানে কি?' উত্তর এল 'হ্যাট আর কোট!'

তার পরেরদিন লোকটা শেভ করতে যেয়ে গাল কেটে ফেলে বলে বসল 'শিট'! ছেলে জানতে চাইল মানে কি, বাবা বলল 'এটা শেভিং ক্রিমের ব্যান্ড নেম!' আরেকদিন ছেলের মা টার্কি রেডি করতে যেয়ে কি একটা ভুল করে ফেলে বলল 'Fuck!' ছেলে জানতে চাইলে বলল 'এটার মানে টার্কি রেডি করা!'

বাচ্চাদের সাথে মিথ্যা বলার সমস্যাটা টের পাওয়া গেল মাসখানেক পরে। একদিন বাসায় এক মহিলা তার হাসবেন্ডকে নিয়ে যখন এসে ছেলেটার কাছে জানতে চাইল তার বাবা মা কোথায়, ছেলেটা উত্তর দিল,

"ডিয়ার Whore আর Pimp, আপনারা প্লিজ আপনাদের বুবস আর ডিকি এই হ্যাঙ্গারে রাখুন। আমার বাবা মুখ থেকে শিট ধুয়ে ধুয়ে পরিস্কার করছে আর মা উপরতলায় একটা টার্কি-কে খুবই দ্রুততার সাথে Fuck করছে!"

৩৫.     মিস্টার অন্ড মিসেস রবিনসন ক্রুসো জাহাজডুবি হয়ে কয়েক বছর ধরে একটা দ্বীপে আটকা পড়ে আছে।
একদিন ভোরে তারা দেখতে পেলো, সৈকতে এক সুদর্শন যুবক অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে, গায়ে নাবিকের পোশাক। সুস্থ হয়ে উঠে যুবক জানালো, তারও জাহাজডুবি হয়েছে। ওদিকে মিসেস ক্রুসো প্রথম দর্শনেই এই যুবকের প্রেমে পড়ে গেছে। কয়েকদিন পর সুযোগ বুঝে ঐ যুবককে প্রেম নিবেদন করলো সে।
কিন্তু রবিনসন আশেপাশে যতক্ষণ আছে, কোন কিছু করবার সুযোগ তাদের নেই।
এর কিছুদিন পর নাবিক যুবক রবিনসনকে পরামর্শ দিলো, সৈকতে একটা ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করা হোক। সে আর ক্রুসো ওতে চড়ে পাহারা দেবে, জাহাজ দেখতে পেলে পতাকা দিয়ে সংকেত দেবে। ক্রুসোর বেশ মনে ধরলো বুদ্ধিটা। বাঁশ দিয়ে একটা উঁচু ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করলো তারা।
পরদিন প্রথমে পাহারা দেয়ার পালা নাবিকের। সে টাওয়ারে চড়লো, নিচে ক্রুসো আর তার বউ গেরস্থালি কাজ করতে লাগলো। কিছুক্ষণ পরই যুবক চেঁচিয়ে উঠলো, ‘ছি, ক্রুসো ভাই! দিনে দুপুরেই ভাবীর ওপর এভাবে চড়াও হয়েছেন। ছি ছি ছি।ক্রুসো নারকেল কুড়োচ্ছিলো, সে বিব্রত হয়ে ওপরে তাকিয়ে বললো, ‘কী যে বলো, আমি কোথায়, আর ও কোথায়!
যুবক চোখ কচলে বললো, ‘ওহহো, দুঃখিত, আমার যেন মনে হলো সরি ভাই।কিন্তু ঘন্টাখানেক পর আবার চেঁচিয়ে উঠলো সে, ‘না, এবার আর কোন ভুল নেই। কী ভাই, একটু অন্ধকার হতে দিন না! এভাবে জঙলিদের মতো সক্কলের সামনে ছি ছি ছি।
ক্রুসো আগুন ধরাচ্ছিলো, সে চটেমটে বললো, ‘চোখের মাথা খেয়েছো নাকি ছোকরা, কী দেখতে কী দেখছো!
যুবক খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে মাথা নেড়ে লজ্জিতভাবে হাসলো। ইয়ে, দুঃখিত, কিন্তু মনে হলো পষ্ট দেখলাম
কিছুক্ষণ বাদে যুবকের পাহারা দেয়ার পালা শেষ হলো, এবার ক্রুসো চড়লো টাওয়ারে। কিছুক্ষণ টাওয়ারে পায়চারি করে ক্রুসোর চোখ পড়লো নিচে। সে খানিকক্ষণ চেয়ে থেকে আপনমনে বললো, ‘আরে, কী তামশা, ওপর থেকে দেখলে তো মনে হয়, সত্যি সত্যি নিচে ওরা ওসব কিছু করছে!
 ৩৬.    ডিক একটি বারে ঢুকলো ড্রিংস্ করার জন্য। একটি মার্টিনি অর্ডার করলো সে। এবং বারটেন্ডারের কাছে তার দামও জানতে চাইলো। বারটেন্ডার বললো এর দাম ২ ডলার।
এটা শুনে ডিক চমকে উঠলো। কারণ অন্যবারে এর দাম কমপক্ষে ২০ ডলার হবে। খুশি মনে সে মার্টিনি শেষ করে রেড ওয়াইনের দাম জানতে চাইলো। এক বোতল রেড ওয়াইন অন্য জায়গায় ৫০ ডলারের কমে পাওয়া যায় না।
কিন্তু বারটেন্ডার জানালো এক বোতল রেড ওয়াইনের দাম এখানে ৫ ডলার!
শুনে ডিক বলে উঠলো, "বলো কি! এত্ত কমে? বারের মালিক কোথায়?"
বারটেন্ডার: "সে উপরের তলায় আমার বৌ এর সাথে আছে।"
ডিক: "বারের মালিক তোমার বৌ এর সাথে কি করে?"
বারটেন্ডার: "আমি ওর ব্যাবসার সাথে যা করতেছি, তাই করে!

৩৭.     একদিন হঠাৎ এক স্পার্ম ব্যাংকে মুখোশ দিয়ে মুখ ঢাকা এক লোক উদ্দোত পিস্তল হাতে প্রবেশ করল। কাউন্টারে এক মহিলা ছিল, তাকে পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে দাঁড়া করাল।
মহিলা বলল 'এটা ব্যাংক না, এটা একটা স্পার্ম ব্যাংক, এখানে কোন টাকা-পয়সা নেই, থাকেনা'

লোকটা বলল, 'একটা বোতল নাও, এখনই! নাও, বোতলের ছিপি খুলে সবটা এখনই খেয়ে নাও!'
মহিলা পিস্তলের মুখে সবটা খেয়ে নিল তারপর লোকটা মুখোশ খুলে ফেলল, দেখা গেল সে ঐ মহিলারই হাসবেন্ড! লোকটা তখন তার বউকে বলল,
'দেখেছ বেবি? এটা খাওয়া মোটেই কোন কঠিন কাজ না!

৩৮.     ছুটির একদিনে আরাম খান ও তার বউ জন্মদিনের ড্রেসে বাথটাবে জলকেলী করতেছে। গায়ে ফেনা লাগায়া আবার ধোয়াধুয়িও চলতেছে। এমন সময় বাসার কলিং বেল বাইজা উঠলো। আরাম খান আইলসামি কইরা কইলো জান, তোয়ালে প্যাচাইয়া যাওনা, দেখো কে আইসে?”
 আরাম খান এর বউ তাই করে। একটা তোয়ালেতে শরীর ঢাইকা দরজা খুইলা দেখে পাশের বাড়ীর আনিস ভাই। জিগাইলো কি দরকার, আরাম গোছলে আছে। আনিস একটু ভাইবা কইলোআইছিলাম এমনিতেই, থাক পরেই আমু আবার। তয় আপনে চাইলে একটা ব্যবসা করতে পারেন। ইন্সট্যান্ট এখানেই।
আরাম খান এর বউ উৎসাহী হয়, কয় কিরাম ব্যবসা?”
আনিস ব্যবসার প্রস্তাব দিলো তখন, “যদি আপনে তোয়ালের উপরের অংশ খুইলা দেখান, তাইলে আমি আপনেরে ৫০০০ টাকা দিমু।আরাম খান এর বউ ভাবলো, শুধু তো দেখবো, ৫০০০ টাকা তো কম না। সে খুইলা দেখাইলো। আনিস চোখ ভইরা দেখলো আর দিলো ৫০০০ টাকা।
নেশা চাপসে দুইজনেরই। আনিস এইবার কইলো যদি পুরাটাই খুইলা ফেলেন তাইলে দিমু আরো ৫০০০।
আরাম খান এর বউ ভাবলো একি কথা, দেখবোই তো। দিলো খুইলা। আনিস দেইখা আরো ৫০০০ দিয়া গেলো গা।
আরাম খান এর বউ খুব খুশী, ১০০০০ টাকা এত সহজে ইনকাম হইলো, খুশীতে গেলো স্বামীরে জানাইতে। স্বামী রে কইলো পাশের বাসার আনিস ভাই আইছিলো..।
আরাম খান কথা কাইরা নিয়া কয় আনিসে টাকা দিছে নি, ১০০০০ টাকা পাইতাম, ধার নিছিলো।


৩৯.     কোনো এক পশ্চিমী দেশে এক ভদ্রমহিলার তিন-তিনটি অবিবাহিতা মেয়ে।

অনেকদিন চেষ্টা করেও কিছু না হওয়ার পরে হঠাৎ করেই তিন মেয়ের খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিয়ের ঠিক হয়ে গেলো।ভদ্রমহিলা মেয়েদের দাম্পত্যজীবন (?) নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেলেন।তো তিনি মেয়েদের বললেন যে প্রত্যেকে যেনো হানিমুন থেকে অল্প কথায় কিছু লিখে তাকে পোস্টকার্ড পাঠায়।যাতে তিনি বুঝতে পারেন যে মেয়েদের হানিমুন কেমন চলছে।

বিয়ের দু'দিন পরে প্রথম মেয়ে হাওয়াই থেকে পোস্টকার্ড পাঠাল। তাতে শুধু লেখা - "Nescafe"!!!!
প্রথমে বেশ অবাক হলেও,কিছুক্ষন বাদে তিনি কিচেনে গিয়ে Nescafe - এর জার বের করলেন।দেখলেন তার গায়ে লেখা - "Good till the last drop"....

তিনি একটু লজ্জা পেলেও,মেয়ের খবরে আনন্দ পেলেন।

বিয়ের এক হপ্তা পরে পরের মেয়েটি ভারমন্ট থেকে পোস্টকার্ড পাঠাল।তাতে লেখা - "Rothmans"!!!!

এবার তিনি আর ঘাবড়ালেন না। একটা Rothmans এর প্যাকেট নিয়ে দেখলেন তাতে লেখা - "Extra Long. King Size"....

আবার তিনি একটু লজ্জা পেলেও, আনন্দিত হলেন।

সবচেয়ে ছোটো মেয়েটি গেছিল কেপ-টাউন।তার চিঠি কিছুতেই আসে না।এক মাসের শেষে তার চিঠি এল।তাতে খুব কাঁপা-কাঁপা হাতে লেখা - "South African Airways"!!!!

ভদ্রমহিলা জল্দী লেটেস্ট একটা ম্যাগাজিন বের করে South African Airways -এর এডটা দেখলেন।দেখামাত্র তিনি সেন্সলেস হয়ে পড়লেন।
এডটার নিচে লেখা - "Ten times a day, seven days a week, both ways"!!!!!!!!


৪০.     পার্কে একটা বিরাট কুকুর নিয়ে বসে আছে বাবু। এক তরুণী যাচ্ছিলো পাশ দিয়ে, দাঁড়িয়ে বললো, ‘বাহ, বেশ তো কুকুরটা!
বাবু হাসলো। হ্যাঁ। খুব রোমান্টিক ও। আর মেয়েরা তো ওকে খুব পছন্দ করে, দারুণ আদর করতে পারে কি না।
তরুণীর চোখে আগ্রহ ফুটলো। তাই?’ ফিসফিস করে জানতে চাইলো সে।
বাবু বললো, ‘হ্যাঁ, দেখতে চান? চলুন আমার বাসায়।
বাড়ি ফিরে মেয়েটাকে সাথে নিয়ে নিজের ঘরে এলো সে। মেয়েটাকে জামাকাপড় খুলতে বলে সে কুকুরটার দিকে ফিরলো, ‘কালু, এই আপুটাকে আদর করো তো!
কালুর কোন ভাবান্তর হলো না।
বাবু আবার হুকুম দিলো, তবুও সে গ্যাঁট হয়ে বসে রইলো।
এবার বাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্যান্ট খুলতে খুলতে বললো, ‘ঠিক আছে, কালু, তোমাকে দেখিয়ে দিচ্ছি কিভাবে কী করতে হবে, কিন্তু এ-ই শেষবার, বলে দিচ্ছি!

মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০১১

কাজের প্রস্তুতি



যে কোন কাজ করার পূর্বে প্রস্তুতি নেয়া টা খুব জরুরী। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন এর একটা কথা দিয়ে শুরু করি..... “Failing to prepare is preparation to fail” অর্থাৎ প্রস্তুতি তে ব্যর্থতা মানে ব্যর্থতার প্রস্তুতি। যে কোন কাজ করার আগে যদি কাজটাকে নিয়ে চিন্তা করে শুরু করা যায় তবে যে কোন কাজ ই অনেক সহজ হয়ে যায়। আমরা বেশির ভাগ সময়ই অনেক কাজ কঠিন মনে করে করতে পারি না। অনেকে আছেন যে শুরুই করেন না। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে “হাজার মাইলের পথ চলা, একটি পা ফেলা থেকে শুরু হয়” । কাজের প্রস্তুতি নেবার জন্য সবচেয়ে যে ব্যাপারটা বেশী লক্ষণীয় তা হোল দূরদৃষ্টি। আমেরিকান বিখ্যাত গলফ খেলোয়ার জ্যাক নিকলস বলেছেন যে- “আমি কখনই এলোমেলো ভাবে গলফ খেলি না। প্রতিবার বল মারার আগে আমি মনে মনে দেখে নেই যে, কত জোরে মারলে বলটি অর্ধবৃত্তাকার পথে কত দূরে গিয়ে পড়বে”। যাই হোক, আমার এই লেখাটা আমাদের কাজের প্রস্তুতি নেয়া এবং কর্মদক্ষতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে বলে আমি আশা করবো।
কোন কাজই বিশেষভাবে কঠিন নয় যদি আপনি সেটাকে ছোট ছোট ধাপে ধাপে ভেঙ্গে নিয়ে করতে পারেন। এরকম কিছু ধাপ গুলো নিচে দেয়া হোল......

****প্রতিটি কাজ মনে মনে বার বার ভেবে নেয়া খুব জরুরী। অর্থাৎ কাজ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান নিতে হবে।

****কাজের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ইন্সট্রুমেন্ট গুলো সংগ্রহ করতে হবে। এবং মনে মনে Rehearsal করতে হবে।

****কিছু টাকা পাওয়ার আগে যেমন আমরা বাজেট করে খরচ করি, তেমনি সময়কে কিভাবে পরিপূর্ণ ব্যাবহার করা যায় সেই পরিকল্পনা করতে হবে।

****নেতিবাচক মনোভাব এবং চিন্তা ভাবনা মন থেকে দূর করে ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে এবং সফলতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে।

****আলস্য দূর করতে হবে এবং নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে।

****অন্য লোকদের প্রভাবিত করে নিজের সংগ্রামের সহযোদ্ধা করার চেষ্টা করতে হবে।

****পুরো কাজের একটা ফ্লো-চার্ট বা তালিকা তৈরি করতে হবে।

****যখনকার কাজ ঠিক তখনি করে ফেলতে হবে। কারন কাজ করলেই কাজ হয়।

****সবকিছু ঠাণ্ডা মাথায় বিচার করতে হবে, উদ্বিগ্ন হয়ে মন, মানসিকতা, স্বাস্থ্য সর্বোপরি কাজের ক্ষতি করে কোন লাভ নেই।

****মনে রাখতে হবে, সবাই কাজটিকে সহজ ভাবে মেনে নিবে না। বিরোধিতা করার জন্য কিছু লোক থাকবেই।

****ফলাফল নিয়ে মাথা ঘামানো যাবে না। দূরদৃষ্টি রাখতে হবে।


****কাজটি দলগত কাজ হলে অবশ্যই আপনার প্ল্যান দলের অন্য সবার সাথে শেয়ার করুন।

****দলের অন্যান্য সদস্যদের মতামত বা চিন্তা ভাবনার সমন্বয়ে পরিকল্পনা কে পরিপূর্ণ করুন।

****আপনি যা জানেন অর্থাৎ আপনার দক্ষতা দলের মধ্যে Duplication করুন। তাহলে খুব কম সময়ে ভালো ফলাফল আনতে পারবেন।

****কারো কোন ভুল হলে শুধরে দিন। অযথা রাগ করবেন না। কারন রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।

এক কথায় সফলতার সুত্র হোল..... K x P x A x D = S
এখানে, 
K=Knowledge       
P=Plan       
A=Action       
D=Duplication      
S=Success

যখন কেউ মাটি খুঁড়ে স্বর্ণ উত্তোলনে নামে, তখন ১ আউন্স স্বর্ণের জন্য টন টন মাটি খুঁড়তে হয়। মাটির দিকে লক্ষ না রেখে তার লক্ষ্য থাকে স্বর্ণের দিকে যে আমি কি পরিমান পেলাম।

সোমবার, ১৩ জুন, ২০১১

হাসতে কইছে কে ? (১৮+) ( পর্ব - ৩ )

২১.    একটি লোকের স্ত্রী অন্তসত্তা। হাজবেন্ড ওয়াইফ দুজন মিলে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেনা যে তাদের সন্তানের নাম কি হবে। এটা সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। অনেক তর্ক বিতের্কর পর স্ত্রী তার স্বামীকে বলল, “তুমি বাবার কাছে যাও। তাকে জিজ্ঞেস করে আসো যে বাচ্চাদের নাম কি করে রাখতে হয় স্বামীটি তৎক্ষনাৎ তার বাবা কাছে গেলে এবং বাচ্চাদের নাম কি করে রাখতে হয় তা জিজ্ঞেস করলো। বাবা মুচকী হেসে একটু নস্টালজিক হয়ে গেলেন। আনমনা ভাবে মৃত স্ত্রীর ছবির দিকে তাকিয়ে বললেন, তোর বড় ভাইয়া যখন তোর মার পেটে এলো তখন আমার পোস্টিং হিলে, চারদিকে পাহাড় আর পাহাড়। পাহাড়ের বুকে জন্মালো তাই ওর নাম রাখলাম হিমালয়তোর মেঝো আপা যখন হলো তখন আমরা নৌ-বিহারে ছিলাম তাই ওর নাম রেখেছিলাম নদীএসব জেনে তুই কি করবি ফুটো কন্ডোম
  
২২.     দবির আর সাবেত অনেক দিন থেকেই এক সাঠে গলফ খেলে, অনেক দিন পরে দবিরের মনে হইল সাবেত আসলে কি কাম করে?
দবিরঃ কাজ কাম কি করেন ভাই?
সাবেতঃ আমি আসলে একজন হিটম্যান, ভাড়ায় কাম করি, প্রতি হিট ১০,০০০ টাকা। মানে প্রতি বুলেট ১০,০০০ টাকা আর আমার বুলেট মিস হয় না।
দবির মনে মনে ভাবে আরে শালা! আমি তো এমনই একজন লোক খুজতাছি! এইবার বিবির জান শেষ!
দবিরঃ দোস্ত আমার একটা কাম কইরা দিবা? না না দুইটা!!?
 সাবেতঃ আরে তুমি মাল দিবা আর আমি কাম করুম না! দুইটার জন্য ২০,০০০ টাকা লাগবো।
 দবিরঃ ঠিক আছে তুমি আমার বিবির মুখের মধ্যে একটা গুলি করবা, শালী খালি আমার লগে চিল্লায়, খালি প্যান প্যান করে।
আর এক কুত্তার বাচ্চা আছে ওর বয় ফ্রেন্ড, ওর অই জায়গাতে একটা গুলি করে ঐটা উরায় দিবা, ঐযে মাঠের পাশেই আমার বাসা।
 সাবেত তার গলফ ব্যাগ থাইকা টেলিস্কোপিক রেমিংটন পয়েন্ট ২২ রাইফেলটা বাইর কইরা অনেকক্ষন লাগাইয়া দেইখা কইল "আমি তোমার পয়সা বাঁচায়া দেই। গূল্লি একটা লাগবো"

২৩.     আরাম সাহেবের বউ খুব গোপনে হাসপাতালের ইমারজেন্সীতে গাইনোকোলজিস্টের সাথে দেখা করতে চাইলেন। গাইনোকোলজিস্ট এসে জিজ্ঞেস করতেই, তিনি খুব লজ্জিতভাবে বললেন, তার ভাইব্রেটরটা গোপনাঙ্গের ভেতরে পুরোপুরি ঢুকে আটকে গেছে। ডাক্তার সব দেখে বললেন, এটা বের করতে খুব লম্বা এবং বিপদজনক অপারেশন করতে হবে। অপারেশনের টাকা তিনি দিতে পারবেন কিনা। মিসেস আরাম আরও লজ্জিতভাবে বললেন, হ্যাঁ পারবেন। কিন্তু তিনি সেই অপারেশন আপাতত করতে চাননা। বরঞ্চ ডাক্তার সাহেব যদি কষ্ট করে, ব্যাটারীটা একটু পালটে দিতেন...

২৪.     আরব মুল্লুকে বেড়াতে গেছে তিন ট্যুরিস্ট।
মরুভূমিতে পথ হারিয়ে দিন তিনেক ঘোরাঘুরি পর একদিন এক মরূদ্যানের সামনে হাজির হলো তারা। সেখানে শুধু মেয়ে আর মেয়ে, সবাই স্বল্পবসনা এবং সুন্দরী। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই গোবদাগাবদা চেহারার কয়েকজন মহিলা এসে তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেলো আলিশান এক প্রাসাদের ভেতর। সেখানে জোব্বাপরা এক আরব শেখ বসে গড়গড়ায় তামাক খাচ্ছে, তাকে ঘিরে আছে অপরূপ সুন্দরী কিছু যুবতী।
গড়গড়া নামিয়ে শেখ বললো, 'আমি শেখ অমুক। এটা আমার মুল্লুক, এখানে যারা ভুল করে ঢুকে পড়ে, তাদের আমি কঠিন শাস্তি দিই।' প্রথমজনকে জিজ্ঞেস করলো সে, 'বলো, কী করো তুমি?'
প্রথম ট্যুরিস্ট জবাব দিলো, 'আমি একজন পুলিশ।'
শেখ হাততালি দিলো। দুই রূপসী সামনে এসে দাঁড়ালো। শেখ হুকুম করলো, 'যাও, এর যন্ত্রটাকে গুলি করে ঝাঁঝরা করে দাও।' তারপর দ্বিতীয়জনকে জিজ্ঞেস করলো সে, 'বলো, তুমি কী করো?'
দ্বিতীয় ট্যুরিস্ট জবাব দিলো, 'আমি একজন দমকলকর্মী।'
শেখ হাততালি দিলো। আরো দুই রূপসী সামনে এসে দাঁড়ালো। শেখ হুকুম করলো, 'যাও, এর যন্ত্রটাকে পুড়িয়ে ছাই করে দাও।' তারপর শেষজনকে জিজ্ঞেস করলো সে, 'বলো, কী করো তুমি?'
শেষ ট্যুরিস্ট দাঁত বের করে জবাব দিলো, 'আমি একজন ললিপপ বিক্রেতা।

২৫.     মুখোশ পার্টিতে যাবে রোমেল আর তার বউ।
রোমেলের বউ শেষ মিনিটে বললো, সে যাবে না, তার মাথা ধরেছে। রোমেল একটা স্পাইডারম্যানের মুখোশ পরে বেরিয়ে গেলো একাই। ঘন্টাখানেক পর রোমেলের বউ যাওয়ার মত পাল্টে একটা মুখোশ পরে নিয়ে পার্টিতে গেলো, একা একা রোমেল কী করে বেড়ায় দেখতে।
পার্টিতে গিয়ে সে দেখলো স্পাইডারম্যানের মুখোশের চারপাশে অনেক মহিলা, জমিয়ে আড্ডা মারছে রোমেল। চটে মটে রোমেলের বউও সেই ভিড়ে গিয়ে জুটলো, তারপর এক এক করে মহিলাকে হটিয়ে দিয়ে রোমেলকে দখল করলো সে। নির্জনে রোমেল তার কানে কানে কুপ্রস্তাব দিলো। মনে মনে চটে গিয়ে রাজি হলো রোমেলের বউ। ঘন্টাখানেক আদরসোহাগের পর রোমেলকে পার্টিতে রেখেই বাড়িতে ফিরে এলো সে।
গভীর রাতে ক্লান্ত রোমেল বাড়িতে ফিরলো।
তার বউ চিবিয়ে চিবিয়ে জানতে চাইলো, পার্টি কেমন হয়েছে। রোমেল বললো, ‘আরে ধ্যুৎ, খুব বোরিং। আমি আর আমার কয়েকজন বন্ধু কোণার ঘরে বসে তাস খেলেছি।
তাই? কোন মজা হয়নি পার্টিতে?’
একদম না। তবে যে ব্যাটাকে আমার মুখোশটা ধার দিয়েছিলাম, ঐ শালা খুব মজা লুটেছে।

২৬.     কিন্ডারগার্টেনে তরুনী টিচার ক্লাসে খেয়াল করলেন যে এক ছাত্র বেশ অমনোযোগী। তাকে দাড় করিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “ বলো একটি ডালে তিনটি পাখি বসে আছে। তুমি একটি বন্দুক দিয়ে একটি পাখিকে গুলি করলে সেখানে আর কয়টি পাখি থাকবে?”
ছাত্রঃ একটিও না।
ম্যাডামঃ কেন?
ছাত্রঃ ম্যাডাম আমি যদি বন্দুক দিয়ে গুলি করি তাহলে গুলির শব্দে সবগুলো পাখি উড়ে যাবে।
ম্যাডামঃ তুমি যেভাবে চিন্তা করেছো তা আমার পছন্দ হয়েছে। কিন্তু সঠিক উত্তর হবে আর দুইটি পাখি থাকবে।
ছাত্রঃ আচ্ছা ম্যাডাম একটি আইস্ক্রীম পারলার থেকে তিনজন যুবতী হাতে আইস্ক্রীম নিয়ে বের হল। তাদের একজন হাল্কা কামড় দিয়ে দিয়ে আইস্ক্রীম খাচ্ছিল। আর একজন চেটে চেটে খাচ্ছিল। আর শেষজন পুরো আইস্ক্রীম মুখে পুরে চুষছিলো। বলুন দেখি তাদের মধ্যে কে বিবাহিত?
ম্যাডাম কিঞ্চিত বিব্রত হয়ে বললেন, “ যে পুরো আইস্ক্রীম মুখে পুরে চুষছিলো সেই বিবাহিত।
ছাত্রঃ আপনি যেভাবে চিন্তা করেছেন তা আমার পছন্দ হয়েছে। কিন্তু সঠিক উত্তর হবে যার হাতে ওয়েডিং রিং ছিল সেই বিবাহিত।

২৭.     এক ব্যারাকে , এক সৈনিক বাজি ধরার জন্য বিখ্যাত হয়ে গেল রাতারাতি। কারন তারে কেউ বাজিতে হারাতে পারেনা। তাই দেখে আরেক সৈনিক ব্যরাকের দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন কে জানালো ঘটনা।
ক্যাপ্টেন কি করবে না বুঝে জানালো তার বস্‌ মেজর কে। সব শুনে মেজর বললো, আচ্ছা, ডাকো তাকে, দেখায় দেই কেমন করে হারাতে হয় বাজিতে।
 তো সেই বাজিকর সৈনিকের ডাক পড়লো মেজরের চেম্বারে।
 বাজিকর সৈনিক মেজরের চেম্বারে ঢুকেই স্যলুট দিয়ে বলে " স্যার আপনার পাইলস্‌ আছে।"
মেজরঃ কে বললো পাইলস্‌ আছে?
বাজিকর সৈনিকঃ স্যার বাজি ধরেন , না থাকলে।
মেজরঃ ও কে, ৫০০ টাকা বাজি। প্রমান করো।
প্রমান করার জন্য মেজর প্যান্ট খুলে তার পশ্চাদ্দেশ দেখালো, বাজিকর সৈনিক পশ্চদ্দেশের ভিতর আঙ্গুল ঢুকিয়ে, তারপর বের করে এনে বললো, না স্যার, পাইলস নাই, আমি হেরে গেলাম"
 মেজর কে ৫০০ টাকা দিয়ে সৈনিক বের হয়ে এল চেম্বার থেকে।
 মেজর পরে ফোন করে ক্যাপ্টেন কে বলে-
'' কই, ও তো আমার কাছে বাজি তে ৫০০ টাকা হেরে গেল। ''
 ক্যাপ্টেনঃ স্যার, ও যাবার আগে আমার সাথে বাজি ধরে গেছে , আপনার পাছায় আঙ্গুল দিতে পারলে ও ৫০,০০০ টাকা জিতবে। এখন তো আমারে সেই টাকা দেয়া লাগবে"
 
২৮.     বাচ্চাদের স্কুলের টিচার মিস তানিয়া একদিন ছুটির পর ছোট্ট বাবুকে দাঁড় করালেন। 
এক মিনিট দাঁড়াও ছোট্ট বাবু।চশমার ওপর দিয়ে চাইলেন তিনি। তোমার হোমওয়র্ক তো খুব খারাপ হচ্ছে কদিন ধরে। তোমার কি কোন সমস্যা হচ্ছে?’
 ছোট্ট বাবু মাথা ঝোঁকালো। জ্বি টিচার। আমি প্রেমে পড়েছি।
 মিস তানিয়া মিষ্টি হাসলেন। কার প্রেমে পড়েছো?’
 ‘আপনার, মিস তানিয়া। আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই।
 ‘কিন্তু ছোট্ট বাবু,’ নরম গলায় বললেন মিস তানিয়া, ‘ভেবে দ্যাখো ব্যাপারটা কেমন বোকাটে হবে? নিশ্চয়ই আমি একদিন কাউকে স্বামী হিসেবে চাইবো কিন্তু আমি তো কোন বাচ্চা চাই না।
 ‘ভয় পাবেন না মিস।আশ্বাস দিলো বাবু। সেক্ষেত্রে আমি প্রটেকশন ব্যবহার করবো।

২৯.     ফরেনসিক মেডিসিন এর ক্লাসে প্রফেসর নতুন ছাত্রদের ক্লাস নিচ্ছেন .....,
'' ফরেনসিক মেডিসিন পড়তে তোমাদের দুইটা জিনিসের দিকে ভালো খেয়াল রাখতে হবে , প্রথমত , তোমাদের কারো কোনো রকম শুচিবাই বা ঘৃনা থাকতে পারবেনা .... '' . .... এই বলে তিনি তার সামনে রাখা মৃতদেহের পাছার ভিতরে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিলেন এবং তা চুষতে লাগলেন।
'' সুতরাং , তোমরাও তা কর '' ,তিনি সবাইকে নির্দেশ দিলেন ।
পুরো ক্লাসরুম তো থ !!!!!! কি আর করা , সবাই প্রফেসর এর কথামত আঙ্গুল ঢুকিয়ে চুষতে শুরু করলো ।
'' দিতীয় জিনিস টি হলো , তীক্ষ্ণ নজর থাকতে হবে তোমাদের '' বললেন প্রফেসর ....'' তোমাদের মাঝে কয় জন খেয়াল করেছ যে আমি লাশটির পাছায় তর্জনী ঢুকিয়েছি কিন্তু চুষেছি আমার মধ্যম আঙ্গুল ??? ''

৩০.     এক খামার মালিক শখ করে একটা জেব্রা কিনে এনেছে আফ্রিকা থেকে।
 এক ভোরে জেব্রাটা বেরিয়ে এলো তার আস্তাবল থেকে। খামারের ভেতরে ঘুরতে লাগলো সে, আর ভাবতে লাগলো, এখানে তার কাজ কী হতে পারে।
 প্রথমে তার দেখা হলো একটা মুরগির সাথে। সুপ্রভাত। বললো জেব্রা। তুমি এখানে কী করো?
 মুরগি জবাব দিলো, সুপ্রভাত। আমি আমাদের মালিকের খাবারের জন্যে ডিম পাড়ি।
 এরপর তার দেখা হলো একটা গরুর সাথে। সুপ্রভাত। বললো জেব্রা। তুমি এখানে কী করো?
 গরু জবাব দিলো, সুপ্রভাত। আমি আমাদের মালিকের খাবারের জন্যে দুধ দিই।
 তার দেখা হলো একটা ছাগলের সাথে। সুপ্রভাত। বললো জেব্রা। তুমি এখানে কী করো?
 ছাগল জবাব দিলো, সুপ্রভাত। মালিক আমাকে মেরে আমার মাংস খায়।
 জেব্রা কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে সামনে এগোলো।
 এবার তার দেখা হলো একটা ষাঁড়ের। সুপ্রভাত। বললো জেব্রা। তুমি এখানে কী করো?
 ষাঁড় জেব্রাকে আপাদমস্তক দেখে মুচকি হেসে জবাব দিলো, সুপ্রভাত। তুমি তোমার পাজামাটা খোলো, আমি তোমাকে দেখাচ্ছি আমি এখানে কী করি।

trafficG