আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

রবিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১৩

কষ্ট দেবার খেলা..


নিজেকে কষ্ট দেবার খেলায় মেতেছি,

ইচ্ছে করেই জমিয়ে রাখছি কষ্টগুলো,
হয়ত আজকের এই জমানো কষ্টই হবে
বাকি জীবনের পথের পাথেয়।
কারো সাথে ভাগ করে নিচ্ছিনা বা পারছি না,
এ খেলার শুরু যেদিন থেকে,
নিজেই বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি কষ্টের বোঝা,
প্রতিদিন প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে এর ভার;
ঝেড়ে ফেলতে চেয়েও কেন জানি ঝেড়ে ফেলছি না।

কাঁক ডাকা ভোরে বিছানা ছাড়া থেকে
গভীর রাতে ঘরে ফেরা পর্যন্ত চলছে
কষ্ট সংগ্রহের এই নিবিড় অনুশীলন আমার।
নিজের সাথে নিজেই বলছি কথা
আর বাকিটা দিয়ে ভরছে কবিতার খাতা।
কলমের ডগা দিয়েও আজ কেন জানি আসছে না,
আসছেনা আমার পুঞ্জিভূত কষ্টের কথকতা।

হৃৎপিণ্ডের বিরামহীন কম্পনসম,
টিক টিক করে ছুটে চলছে সময় অবিরত
দেখতে না দেখতেই পার হয়ে এসেছি অনেকটা পথ
নিজেরই অজান্তে শুরু হয়েছিল যে পথচলা।
অনেক ভেবে, নিজেকে প্রশ্ন করে করে ক্লান্ত আমি,
উত্তরের অপেক্ষাতে এখন আর থাকি না।

প্রশ্নের পর প্রশ্ন জমিয়ে বুকে গড়েছি বিস্তীর্ণ পর্বত
সেই পর্বতের বিভিন্ন অংশে আছে সুউচ্চ পাহাড়
দু’চোখে জমিয়ে রেখেছি সাগর, আছে নোনা জল
আর এ দু’য়ের মাঝের আকাশে লুকিয়ে আছে,
লুকিয়ে আছে মেঘ হয়ে, কান্না আমার-
ঠিক কখন তা ঝরবে বৃষ্টি হয়ে, তা নিজেই জানিনা। 

আমি ৫২ দেখিনি, দেখিনি ৭১...


মি ৫২ দেখিনি, আমি ৭১ দেখিনি, আমি শুনেছি, পড়েছি সেই কথা, জেনেছি উত্তাল সেই দিনগুলোর দিনপঞ্জি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার কাছে। আমি জেনেছি পাক হানাদার আর দোসর রাজাকারদের সহিংসতার কথা। আমি জেনেছি অত্যাচারিত নিপীড়িত বাংলার মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর উপ্যাখ্যান। আমি জেনেছি ভাষার জন্য জীবন দেয়া বাঙ্গালির পরিচয়। আমি বুঝতে শিখেছি, জাতিয়তা, আমি বুঝতে শিখেছি পতাকা, আমি অনুভব করেছি স্বাধীনতা। আমি অনুভব করেছি বিজয়। 

আমার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা বাবাকে দেখেছি, শক্ত চোয়াল আর মুষ্টিবদ্ধ হাত হয়ে যেত ৭১ এর গল্প বলার সময়। আমিও উদ্দীপ্ত হতাম, মনে মনে ভাবতাম, আরেকটা সুযোগ পেলে আমি হব মুক্তিযোদ্ধা। আমিও দেশের জন্য প্রান রাখব বাজি। আমিও গর্বিত হব এই দেশ মাতৃকার সুযোগ্য সন্তান হিসেবে। দুর্নীতি আর ফ্যাসিবাদী রাজনীতি কে ঘৃণা করতে শিখেছি। সত্য সুন্দর পথের ঠিকানা জেনেছি। পুরোপুরি না হোক, সাধ্যমত সেই পথে চলার চেষ্টা করেছি। আজ বড় কষ্ট হয় এই ভেবে, এই স্বাধীন দেশে একদল ফ্যাসিবাদী পশু আমাকেও বলে রাজাকার, আমার বাবাকেও বলে রাজাকার।

আমি মুসলমান। খুব গর্ব করে বলি। অনেক বেশি ভাগ্য নিয়ে জন্মেছিলাম বলেই হয়ত, একজন মুসলমান এবং মুক্তিযোদ্ধার ঘরে আমার জন্ম। কিন্তু রাজনৈতিক প্রহসন আমাকে আজ নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। একজন বিখ্যাত লোকের উক্তি শুনেছিলাম, পাগলের রাজ্যে যে নিজেকে মানিয়ে নিতে চায়, সে নির্ঘাত একজন পাগল। আজ নিজেকে কেন জানি পাগল মনে হচ্ছে। আজ এই প্রানপ্রিয় দেশে অসাম্প্রদায়িকতার নামে মানুষের অন্তরে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে, মানুষে মানুষে চলছে খুনাখুনি, এক মুসলমান মারছে আরেক মুসলমানকে। নাস্তিকতা ফ্যাশনে পরিনত হচ্ছে। এক ধর্মের বিরুদ্ধে অন্য ধর্মের লোকদের লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে শুধুই রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য। ক্ষমতা এতটাই প্রিয় যে দেশকে সংঘাত এর দিকে, ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতেও কার্পন্য করছে না। 

এই দেশ কি চেয়েছিল মুক্তিযোদ্ধারা? এই দেশের তরুন প্রজন্ম আজীবনই কি রাজনৈতিক ফায়দা লোটার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবে? শাহাবাগ আন্দোলনের শুরু আমাকে নতুন দিগন্ত দেখিয়েছিল, সেই দিগন্তের সুর্য উঠার আগেই কিভাবে যেন ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে বাজেয়াপ্ত হয়ে গেল, খুব কষ্ট পেয়েছিলাম তখন। আজও পাচ্ছি প্রতি মুহুর্তে। আর কতকাল ধর্মের নামে, দেশের নামে কাদা ছোড়াছুড়ি আর নোংরামি চলবে। আর এই নষ্টামিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ এই দেশ আর ধর্ম। তরুন সমাজ কি কখনও নিজের হৃদয়ের কথা শুনবে না? আজীবন কি তারা রাজনৈতিক কলের পুতুলই হয়ে থাকবে? আমি আশাবাদী। আমি হতাশ হতে চাই না। আমি চাই তরুণরা জেগে উঠুক। সত্যিকারের জেগে উঠা। এই দেশে আবারও প্রতিষ্ঠিত হোক আইনের শাসন। যতদিন এই দেহে থাকবে প্রান, সোনার বাংলা দেখার স্বপ্নেই বেঁচে থাকব আমি।

উৎসবমুখর নৈরাজ্য

একটা কবিতা লিখব বলে
কবিতার খাতা নিয়ে বসি
মনের ভিতর উঁকি দিয়ে দেখি
ভেতরটা শুন্য, অন্ধকার আর নিরুত্তর
ভেবে ভেবে ভাবনার ছেঁড়া সুতো নিয়ে
আরও বেশি ভাবনায় ডুবে যাওয়া
আস্তে আস্তে তন্য তন্য করে খুঁজে ফেরা
শব্দরা ডুবে আছে সেই নিস্তব্ধ অন্ধকারে।

তোমাকে ভাবার চেষ্টা করলাম বেশ করে
তোমার চোখ, তোমার ঠোঁট, তোমার নৈরাজ্য
যেন ভাবনাকে আরো বেশি ধোঁয়াটে করে
তুমিও যেন আমার নিরবতা নিয়ে মেতে আছ
মেতে আছ উৎসবমুখর নৈরাজ্যে।

ভাবতে ভাবতেই দুচোখে ভর করে ঘুম
যেন ঘুমাইনা কত সহস্র বছর ধরে
আলতো করে বন্ধ দুচোখের ক্যানভাসে
জল রঙ্গে মনের তুলিতে আঁচর কাটি
শত চেস্টাতেও ফোটেনা কোন অবয়ব
ঘিরে ধরে ক্লান্তি, ধ্যানমগ্নতা থেকে গভীর ঘুমে
নিজেকে সঁপে দিয়ে হই নিথর, নির্বাক
শুন্য থাকে আমার শখের কবিতার খেরোখাতা।

শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৩

হৃদয় বনাম মন

কটু ভূমিকা দিয়েই শুরু করতে চাইঃ 

“আমার এই লেখাটিকে শিরোনাম দেখে স্রেফ প্রেমের গল্প ভেবে ভুল করার কোন কারন নেই। কারন Never judge a book by it’s cover.” বাকিটুকু পড়ার আমন্ত্রন জানাই।
আমাকে কিছুদিন আগে একজন প্রশ্ন করেছিল, “মানুষ কি পা দিয়ে হাঁটে না মাথা দিয়ে হাঁটে?” আপাতদৃষ্টিতে প্রশ্নটি অবান্তর মনে হলেও একটু গভীরে গেলে এর চমৎকার কিছু বাস্তবতা পাওয়া যাবে। আসুন একটু গভীরে যাই।

## আমাদের সারা শরীরে ছড়িয়ে আছে স্নায়ুতন্ত্র(Nervous System)। যার ক্ষুদ্রতম একক হল নিউরন। অনেকেই ভাবতে পারেন যে নিউরন কেবল আমাদের ব্রেইনে থাকে। কিন্তু আমাদের সারা শরীরেই ছড়িয়ে আছে এই নিউরন (neuron)। অর্থাৎ নিউরন হচ্ছে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষুদ্রতম একক।


এই Nervous system কে আবার দুইভাগে ভাগ করা যায়,
1.Central nervous system
2.Peripheral nervous system.

সিগন্যাল ট্র্যান্সফরমেশন এর উপর ভিত্তি করেও দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়,
1.Motor
2.Sensory


সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম গঠিত হয় ব্রেইন এবং স্পাইনাল কর্ড দিয়ে। আর পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম ছড়িয়ে থাকে সারা শরীরে। প্রতিটি নিউরন যদিও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পারস্পরিক সম্পর্ক যুক্ত মনে হয়, কিন্তু একটি নিউরনের আক্সন এবং অন্য নিউরনের ডেন্ড্রাইট এর মাঝে সুক্ষ ফাঁকা বিদ্যমান। যাকে বলা হয় synapses.


আমাদের ব্রেইনে যে কোন সিগন্যাল যে নিউরন সেটের মাধ্যমে পৌঁছায়, তাদেরকে “সেন্সরি” বলা হয়। এবং ব্রেইন থেকে যে সিগন্যাল স্পাইনাল কর্ড হয়ে শরীরের অন্য কোন স্থানে পৌঁছায় তাকে “মোটর” বলা হয়। অর্থাৎ আপনি আগুনের কাছে হাত নিয়ে গেলে, আগুনের সংস্পর্শে আসা অংশের নিউরন ব্রেইনে সিগন্যাল পাঠাবে অবস্থার বিবরন দিয়ে, এই সিগন্যালই হচ্ছে “সেন্সরি”। আপনার ব্রেইন তখন সেই সিগন্যালকে এনালাইসিস করে ব্রেইন হাতকে সিগন্যাল পাঠাবে যে হাত সরিয়ে নাও। এই সিগন্যাল কে বলে মোটর। নিউরন গ্যাপে থাকে একধরনের ক্যামিক্যাল সাবস্টেন্স যাকে বলা হয় নিউরোট্রান্সমিটার (ছবিতে লাল লাল দানাগুলো)। আমাদের দেহে দুই ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার আছে।

1. Excitatory Neurotransmitter (Acetylcholine, Epinephrine, Serotonin, Endorphin, Prostaglandin etc. )

2. Inhibitory Neurotransmitter (GABA, Glycine etc. )

ব্রেইনের কাজ হচ্ছে Controlling & Coordinating. এ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আপনাদের কাছে আছে গুগল নামের চেরাগের দৈত্য। হুকুম করলেই হাজির।
আসুন এবার দেখে নেই, আমাদের বিভিন্ন অরগ্যান এর উপর নার্ভাস সিস্টেম এর অবস্থার প্রভাব। অর্থাৎ Sympathetic vs Parasympathetic state of nervous system


বোঝাই যাচ্ছে যে আমাদের মন বা mind বলতে যা বোঝানো হয়, তা মুলত হৃদয় (Heart) নয়, ব্রেইন। এবার আসুন দেখে নেই হৃদয়(Heart) এর উপর ব্রেইন এর প্রভাব,


অর্থাৎ ব্রেইনের উত্তেজিত স্টিমুলেশন এ হৃদ স্পন্দন বৃদ্ধি পায়। তাই অনেকের কাছে মনে হয় ঘটনাটা হৃদয় ঘটিত। আসলে ঘটনা তো ব্রেইন ঘটিত। তেমনি আমাদের ব্রেইনের বিভিন্ন স্টিমুলেশনের কারনে বিভিন্ন গ্রন্থি থেকে গ্রন্থিরস নিঃসৃত হয় যা আমাদের হৃদয়ের স্পন্দনে তারতম্য ঘটায়।


মুলত হৃদয়ের কোন ইন্টিলেঞ্জেসি নাই। এটা স্রেফ একটা পাম্পিং মেশিন মাত্র। যত ভালবাসার গান, অনুভব, অনুভূতি কোনটাই কিন্তু হৃদয়ে নাই। হৃদয় অনেকটা বোকা বাক্স। অনেকেই বলেন, কিছু সিদ্ধান্ত হৃদয় দিয়ে নাও। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাই যে হৃদয় দিয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেয়াই সম্ভব না।


তেমনি আমাদের হাত পা বা অন্যান্য কোন অর্গ্যান এর ই তেমন উল্লেখযোগ্য কোন ইন্টেলিজেন্স নেই। তাই, আমরা মাথা দিয়ে হাঁটি বললেও যুক্তি দিয়ে সেটা প্রমান করা সম্ভব।

(আমার জানার মধ্যে ঘাটতি থাকতেই পারে। আমি সবজান্তা নই। আরও ভালো এবং প্রয়োজনীয় তথ্য কারো কাছে থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন মন্তব্য এর ঘরে।)

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৩

অনিয়মিত শব্দক্ষরন


পরিনামে পরিনত শাশ্বত জীবন অবারিত
যবে পতিত পল্লব মণ্ডিত নিস্পলক আঁখি গহীনে,
যেন শত বর্ষের অদম্য পিপাসায় পিপাসার্ত
সলিলে সমাহিত করে অবধারিত নিয়তি,
যেন পূরণ করে আকূতি যত মানসপটে
সবিনয়ে নিবেদন আজ শুধু বিরানে বিলীন।
কন্টক দুর্ভেদ্য চিন্তামালার খোলা জানালা
কেবলই খুলে দেয়া দুর্গ্রহের ধোয়ার্ত চিমনি।
প্রতীয়মান আজ অপেক্ষার প্রহর গুলোর নিশ্চুপতা
কোন মোহে বিচ্যুত তায় কক্ষপথ হতে কক্ষমাত্রায়।
নির্লোভ কামুক চাহুনির তীব্র থেকে তীব্রতর জ্বালা
আজ কেবলই পর্যবাসিত শীৎকারের উল্লাসিতায়।

উদ্ভট উশৃঙ্খল কথামালা, অনিয়মিত শব্দক্ষরণ,
সাগর মন্থনে যেন সর্পরাজ বাসুকির দু'পাশে
দেব আর অসুরের পরিমিত সঞ্চালনের ছোঁয়া।
মন্থন রস যেথা এক একটি উপপাদ্যের প্রতিপাদন।
প্রতিপাদিত প্রতি উপপাদ্য অন্তঃস্থকরন সাপেক্ষে
নিঃসৃত যেন অমৃত, যেখানেও আছে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব।
দেব আর অসুর সম্মুখে আবার প্রতিস্থাপনে স্বীয় প্রতিপত্তি
অবশেষে এক উর্বশী কুমারী অবতারেই সম্পন্ন যজ্ঞ।

শুক্রবার, ৭ জুন, ২০১৩

 গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কে কিছু কথা



মরা সাধারনত গ্যস্ট্রিক বলতে পাকস্থলী কে বুঝি। মুখ দিয়ে খাবার গ্রহন করার পর তা ইসোফেগাস (Esophagus) বা খাদ্যনালী হয়ে Stomach এ যায়। এই Esophagus এবং Stomach এর মাঝখানে থাকে Esophageal sphincter. যাকে গেটকিপার ও বলা হয়। আমাদের পাকস্থলীতে থাকে কন্সেন্ট্রেটেড হাইড্রোক্লোরিক এসিড। এই গেটকিপারের কারনেই তা আমাদের খাদ্যনালীতে উঠে আসতে পারে না। এবং আমাদের পাকস্থলীর একেবারে ভেতরের লেয়ারে থাকে মিউকাস স্তর যা আমাদের পাকস্থলী কে এই এসিড থেকে রক্ষা করে।

পাকস্থলীর প্যারাইটাল সেল নামক একটি অংশ থেকেই এই এসিড তৈরি হয়। এসিডের কাজ হচ্ছে পরিপাকে সহায়তা করা এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কে মেরে ফেলা। খাবারের গন্ধ পেলে বা খাবার সময় হলেই এই এসিড এর নিঃসরণ বেড়ে যায়, তাই সঠিক সময়ে অল্প হোক, বেশি হোক কিছু না কিছু খাওয়া প্রয়োজন, নাহলে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়ে যেতে পারে। গ্যাস্ট্রিক এর বিভিন্ন সমস্যার কারনে আমরা সাধারনত, এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল, রেবিপ্রাজল ইত্যাদি ঔষুধ খেয়ে থাকি। যখন পাকস্থলীতে এসিডিটি বা এসিডিক গ্যাস বেড়ে যায় বা গ্যাস ফর্ম হয়ে যায় তখন সেই এসিডিটি কমানোর জন্য এন্টাসিড বা ক্ষার দেয়া হয়। যা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবন ও পানি তৈরি করে।

আবার যদি এমন হয় যে আপনি কোন খাবার খেলে গ্যাস ফর্ম হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন, তবে সেই খাবার খাওয়ার আগে খেয়ে নেবেন ওমিপ্রাজল, যা প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর অর্থাৎ তা এসিড নিঃসরণকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ ওমিপ্রাজল আপনাকে খেতে হবে খাওয়ার আগে। আবার মাঝে মাঝে অতিরিক্ত গ্যাস পাকস্থলীতে জমা হলে তা Esophageal sphincter কে ধাক্কা দিয়ে খুলে দেয় এবং কিছু এসিডিক কন্টেন্ট Esophagus এ প্রবেশ করে। পেটে তো মিউকাস আবরন আছে, কিন্তু Esophagus এ তো নেই। তখনই বুক জ্বালাপোড়া করে। এবং এই ঘটনা ঘটার সময় তা আমাদের হার্টেও কিছু প্রভাব ফেলে যেটাকে হার্ট বার্ন বলে। অনেকে এই হার্ট বার্ন কে মাইল্ড হার্ট এট্যাক বলে মনে করে। এই সমস্যার জন্য খাবার আগে, পরে বা খাবার খাওয়ার মাঝেও আপনি খেতে পারেন ইসোমিপ্রাজল।

কিছু ঔষুধের নামঃ
##এন্টাসিড, এভলোসিড
##ওমিপ্রাজল এর মধ্যে আছে, জেল্ড্রিন, সেকলো, পিপিআই
##ইসোমিপ্রাজল এর মধ্যে আছে, ইসোমেপ, মাক্সপ্রো, ইসনিক্স

বুধবার, ৬ মার্চ, ২০১৩

দূরত্ব প্রয়োজন..


এইত আছি কত কাছে,
দেহের কাছে, হৃদয়ের কাছে, চিন্তার কাছে,
অনেক অনেক বেশি কাছে আছি বলে-
প্রয়োজনটা বেশ কমে যাচ্ছে দিনদিন,
তাই দূরত্ব বুঝি প্রয়োজন।

ঘুড়ি আর নাটাই যদি থাকে কাছাকাছি
তবে এর সার্থকতাই কি আছে?
মুক্ত আকাশে উড়বে ঘুড়ি, যুক্ত থেকে নাটাই সুতোয়,
তবেই না জমবে খেলা।
উড়ে উড়ে ঘুড়ি যাবে যতই দূরে, 
মন যেন ভরে উঠে উৎফুল্লতার সুরে।
আবার দিন শেষে শেষ হবে খেলা, ভাঙবে মেলা
দূর হবে নাটাই ঘুড়ির দূরত্ব; তবেই না সার্থকতা।

তেমনি করে ভালবাসা বুঝতে হলেও প্রয়োজন দূরত্ব
হৃদয়ের টান থাকবে অটুট কিন্তু সরে যেতে হবে দূরে,
সরে যেতে হবে চোখের কাছ থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে।
চোখের এই আড়াল তখনই বাড়াবে টান, বাড়বে প্রেম।
প্রতি মুহূর্তে পুরনো স্মৃতির পাতা উল্টে সামনে খুলে যাবে,
কাছে থাকার, ভালোলাগার মুহূর্তগুলো ফিরে পেতে চাইবে মন।
আস্তে আস্তে নবায়ন হবে ভালবাসা, 
আরেকটাবার প্রেমে পড়ার ইচ্ছেরাও প্রবল থেকে প্রবলতর।
খুব বেশি সময়ের দূরত্ব-
ভালবাসার মেয়াদ শেষ করে দেবারও সম্ভবনা রাখে;
ঠিক যেমনি সুতো কাটা ঘুড়ি উড়তে পারে না বেশিক্ষণ।

অনেক ভেবে আজ মনে হয়, হঠাৎ করে মাঝে মাঝে, 
জীবনের প্রয়োজন করতে অনুধাবন, 
কিছু সময়ের জন্য হলেও দূরত্ব বড় বেশি প্রয়োজন।

শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

অবাক লাগতেই পারে…




খুব অবাক লাগে জানো, যখনই দেখি পাহাড়কে।
অবাক তখনও লাগে, যখন দেখি সাগর;
আকাশটা তো আরও বেশি ভাবায় আমায়
এই যে আকাশের বিশালতা আর অসীম-ব্যাপী ব্যাপকতা,
ছোট বড় কত কিছুই না বুকে ধরে রাখার সফলতা।
কত ছুটোছুটি আর হুটোপুটির মাঝেও আশ্চর্য নীরবতা।
আবার কখনো বা এই অখণ্ড বিস্তীর্ণতায় চোখে পড়ে গভীরতা।

মানুষগুলো দেখলে আরও অবাক লাগে জানো,
ছোট্ট হৃদয়টিতে ধরে রাখা কতইনা কথকতা।
কখনও পাহাড়সম এই বিশালতা, কখনও সাগর, 
কখনও আকাশসম ব্যাকুলতা।
বিচ্ছিন্ন বা নিরবচ্ছিন্ন ভাবনার সুতো বুনে চলা অবিরাম,
যেন রুপকথার চাদের বুড়ির চরকা কাঁটার মত,
নেই কোন বিরাম-
কোটি কোটি নিউরন, নেফ্রন এবং সেলের অক্লান্ত কর্মযজ্ঞের।

রন্ধ্রে প্রবাহিত রক্তের মাঝের অগণিত রক্ত কণিকারা ব্যস্ত
একক থেকে একান্তরে, কোষ থেকে কোষান্তরে নিরন্তর আনাগোনায়।
কি দুরন্ত এই ছুটে চলার কর্মস্প্রিহা, কত সরল, কঠিনে মিশ্রণে,
বিস্তীর্ণ, ব্যাপক তাদের কারিক্রম-
যেন সৃষ্টির সেরা এই সৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত এক মহাবিশ্বের অনাসৃষ্টি।

trafficG