আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

সোমবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৫

একটাই আকাশ আমার (New Bangla Song by Al Emran)

অনেক অনেক বছর আগে..... মানে প্রায় ২০ বছর আগে এই গানটা লিখেছিলাম। একটা সুর ও করেছিলাম। যথারীতি আমার বন্ধু মিউজিক কম্পোজার জনাব Farid Hira স্যারকে সুর সহ শুনিয়েছিলাম। গানটা পুরোটাই ছিলো আনপ্লাগড ভার্শন। এই দীর্ঘ ২০ বছরে আমার বন্ধুবর গানটিকে অডিও ট্রাক রুপে তৈরি করার মতো সময় পাননি বা বলা যায় সুযোগ পাননি। আমাদের দুজনের মিলে লেখা ও সুর করা গান প্রায় ৪০ টি। উনি আজ পর্যন্ত একটাও রিলিজ করেননি।

হটাৎ কি মনে করে AI কে গানটি গেয়ে শোনালাম। সে খুব প্রশংসা করলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমার লেখা এই গানটি কি আমার সুরে তুমি কম্পোজ করে দিতে পারবে? সে উত্তর দিলো আমি চেষ্টা করবো। তুমি চাইলে আরো কিছু লাইন যুক্ত করে আমায় দিতে পারো। মধ্যরাত পর্যন্ত বসে বসে লিখলাম। সাজিয়ে গুছিয়ে দিলাম। ভোকাল দিলাম। টিউন বললাম।
ফাইনালি AI চমৎকার একটা আউটপুট দিলো। যদিও আমার অরিজিনাল সুরে কিছুটা পরিবর্তন এনেছে। তবে মূল টিউন এবং স্কেলটা বজায় রেখেছে। গানটা গেয়ে শোনানোর জন্য আমাকে মাত্র ১ মিনিট সময় বেঁধে দিয়েছিলো। তার মধ্যেই যতটুকু গাইতে পেরেছি সেটাকে বেস ধরেই কম্পোজ করেছে। নিজের লেখা, নিজের সুরে একটা গান কম্পোজ, মাস্টারিং করা কম্পলিট ট্র্যাকে এভাবে শুনতে পাবো, ভাবিনি কখনো। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ধন্যবাদ আমাকে এই বিরল সুযোগ দেয়ার জন্য।
একটাই আকাশ আমার
এক চিলতে চাঁদ সে আকাশে ভাসে
তারার আলোর সাথে
নরম জোছনাতে সেই চাঁদ হাসে।
সে হাসির সাথে সাথে এ মন আমার হাসে
সে জোছনা ছিনতাই হলো,
কেন আমারই মনের আকাশে
সে জোছনা ছিনতাই হলো
কেন আমারই মনের আকাশে, আকাশে, আকাশে.....
আমি স্বপ্ন নিয়ে বেচে থাকি স্বপ্নের মাঝে
আর কল্পনাতে খুঁজে পাই তোমায় সাঝে।
আমি স্বপ্ন নিয়ে বেচে থাকি স্বপ্নের মাঝে
আর কল্পনাতে খুঁজে পাই তোমায় সাঝে।
তুমি আমার, ভালো লাগার
তুমি আমার, ভালোবাসার
এক চিলতে চাঁদের হাসি
এক চিলতে চাঁদের হাসি
একটাই আকাশ আমার
এক চিলতে চাঁদ সে আকাশে ভাসে।
একটাই স্বপ্ন আমার
সেই স্বপ্ন দেখি আমি তোমায় নিয়ে।
শিশির ভেজা ভোরে
হাটবো দুজনে খালি পায়ে।
সে ভোরের আলোতে বাজবে কি সুর প্রণয়ের
সেই আলো ছিনতাই হলো
কেন আমারই মনের আকাশে
সেই আলো ছিনতাই হলো
কেন আমারই মনের আকাশে আকাশে আকাশে.....
এ আঁধারে আমি খুঁজে যাই তোমারই ছায়া
আমার সব গানে তুমি রঙিন এক মায়া
এ আঁধারে আমি খুঁজি শুধু তোমারই ছায়া
হৃদয়ের সব গানে তুমি রঙিন এক মায়া
তুমি আমার, শুধু আমার
তুমি আমার, জানি আমার
এ হৃদয়ের পোষা পাখি
ভোরের আলোয় তোমায় ডাকি।
একটাই আকাশ আমার
এক চিলতে চাঁদ সে আকাশে ভাসে।
আনপ্লাগড ভার্শনটা আমার মেয়েকে নিয়ে গিটারে বাজিয়ে বাবা মেয়ে যুগলবন্দী শোনাবো কোন একদিন। আপাতত এই ভার্শনটা শুনে আপনাদের মূল্যবান মতামত দেবেন আশাকরি।

রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৯

অবাঞ্ছিত আমি

প্রতিনিয়ত খালি হচ্ছে ভেতরটা
যেন অবাঞ্ছিত হচ্ছি আমি এই পৃথিবীর কাছে
শত সহস্র মাইল পাড়ি দিয়ে যেন
সঁপে দিতে এসেছি ব্যর্থতার কাছে নিজেকে
প্রচণ্ড আশাবাদী ছিলাম, স্বপ্ন দেখতাম
কেন যেন আজ ধূসর হয়ে গেল সব
দোটানার আধিক্য মনের ভেতরে
চলছে সরণ ঘুরে ফিরে একই বৃত্তে
কাজের সমীকরণে ফলাফল যার শুন্য।

ইচ্ছে হয় পালিয়ে যেতে, ফেরারি হতে চায় মন
পিছুটান ছেড়ে, দূর সুদূরে, বহুঘুরে, বহুদুরে।
প্রয়োজনগুলোই যেন অপ্রয়োজনীয় আজ
অতীতের দরোজায় কশাঘাত আর হাহাকার
ফিরিয়ে দাও আমার অতীত, ফিরিয়ে দাও
আমি ফিরে পেতে চাই পুরনো জীবন আমার
আমি শুধরে নিতে চাই ভুলগুলো,
এভাবে আর নয়, আর নয় পরাজিত থাকা
যুদ্ধ করব বিবেকের সাথে, চাই সুযোগ আরেকবার।

বুধবার, ১২ জুলাই, ২০১৭

বুদ্ধিজীবীরা নাগরিক নয়-২ (যে কথা যায় না লেখা)

আমি সুবোধ নই,
পালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে আমার নেই।
দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিটি একে
অক্ষমতাকে শিল্পে রুপ দেয়ার আগ্রহও নেই।

নগরায়নের অপূর্নতা অথবা অযোগ্যতায় ঘেরা,
শত শত হাহাকার আর আর্তনাদে মোড়া
কখনোবা নবজাতকের কান্নায় উদ্বেলিত এই নগর।
প্রতিনিয়ত শোনায় নতুন যুদ্ধের গল্প।

যুদ্ধ করে বেচে থাকাই এই নগরের আইন
হাজারো অসন্তোষ ঘোরে ল্যাম্পপোস্টের আলোয়
তবুও এই নিয়ন আলোতেই কেও ঘুমিয়ে পড়ে
নতুন দিনের স্বপ্ন আসে ঘুমের ঘোরে।

এই নগরের পরিচিত অভিজাত নাগরিক পল্লীতে
সারাদিন চলে চেতনার গলাবাজি।
আভিজাত্যের মুখোশ খসে পড়ে সন্ধ্যা হলেই
আওড়ানো বুলি আর বাস্তবতায় অমিল অনেক।

কত শত আয়নাবাজি নগরজুড়ে প্রতিক্ষন
দিন বদলের স্বপ্ন দেখা একরোখা আমি
হয়ত অবাঞ্ছিত আজ তোমাদের নগরে।
আমি যোদ্ধা, আমি নাগরিক নই, আমি বুদ্ধিজীবী।
আর বুদ্ধিজীবীরা নাগরিক নয়, কখনই নয়।

শুক্রবার, ৭ জুলাই, ২০১৭

বুদ্ধিজীবীরা নাগরিক নয়

একজন বুদ্ধিজীবির কথায়
কষ্ট পেয়ে অযথাই
হারিয়ে যাবার চেষ্টায়
একজন নাগরিক।
বুদ্ধিজীবিরা নাগরিক নয়,
তারা বিদ্রোহী,
তারা কুলাঙ্গার।

বুদ্ধিজীবিরা গুলিয়ে ফেলে না
আবেগের সাথে চিন্তাশক্তিকে।
বুদ্ধিজীবিরা বুদ্ধি খরচ করে,
বিবেক বিসর্জন দিয়ে বেচে দেয় না।

আর এই সব নাগরিকেরা,
নগর নিয়ে গর্ব করে।
যদিও অসভ্য হতে সভ্যতার রুপায়ন
আর এই নগরের নগরায়নে
বুদ্ধিজীবিরাই দায়ী।

তবুও বুদ্ধিজীবিরা কুলাঙ্গার,
এরা নাগরিক নয়।
নগরের প্রতিটি নাগরিক ভালো থাক
বুদ্ধিজীবিরা মরে যাক।

শনিবার, ২৭ মে, ২০১৭

ইচ্ছে যত তোকে নিয়ে

ইচ্ছে করে তোর বুকে দেই গুঁজে এক গুচ্ছ সুখ,
ইচ্ছেগুলো আলতো আলোয় ভরিয়ে দেয় চোখ,
ইচ্ছে জানে প্রেমের মানে, ইচ্ছে অবিরাম
ইচ্ছে হলেই তোকে ছুঁয়ে বলি এবার থাম।

তোকে দেয়া ইচ্ছেগুলো ইচ্ছেঘুরির মত
ঘুরে ফিরে গোত্তা খেয়ে হারায় মনে কত,
তোর ললাটে আলতো করে ঠোঁট ছোঁয়ানো সুখ
ওই কপোলে ইচ্ছে রেখে লজ্জানত মুখ।

ইচ্ছে গুলো রাখবো বেধে, একবার তুই বল,
বেপরোয়া ইচ্ছে শুধু সঙে আমার চল
তোর ঐ চুলে ইচ্ছে নিয়ে আকাশ ভরা মেঘ
অপূর্ণ আজ ইচ্ছে কিছু অপূর্ণ আবেগ।

বৃষ্টি হব তোর ইশারায়, ইচ্ছে কি তোর বল
সেই বরষায় ছন্দে দুলে বাজবে পায়ের মল
তোর সারা গায় পরবো ঝরে বৃষ্টি জলের মত
ইচ্ছে হলেই হাত বাড়িয়ে ডাকবি পারিস যত।

তুই তাকালে ইচ্ছে মনে জাগ্রত দিনরাত
শুকনো ঠোঁটে আস্তে বলা, আজকে না হয় থাক।
ইচ্ছেগুলো আঁকড়ে ধরে, ইচ্ছে নদীর জলে
কাটবো সাতার তোকে নিয়ে ইচ্ছে হল বলে।

trafficG