বিদীর্ণ বুকের
পাঁজর
-আল ইমরান
বিদীর্ণ বুকের পাঁজরে,ভালবাসা নামের এক একটি পেরেক ঠুকে
বক্ষ পিঞ্জরে চলে নিঃশ্বাসের গোলামী।
বিমূর্ত ছায়ার অদৃশ্য কোন লালিমায়
আপ্লুত আবেগ বরফে ঢাকা শতদল বর্ষা মেঘে
অজানা পথিক চলে দুরের কোন চেনা গন্তব্যে,
জীবাশ্ম এই পথে রেখে অসংখ্য পদচিহ্ন,
মমি করে যেথা কফিনে ভরা
আমার অদৃশ্য আবেগ।।
নির্ঘুম কুহকের চিৎকারে,
সুবিশাল নিঝুম অরণ্য থেকে
দলবেঁধে উড়ে যায় দোয়েলের ঝাঁক
উড়ে যায় বিষাদ নীলিমা ছেড়ে বিষণ্ণতার ঘরে।
সৈকত বালিতে যাযাবর জোনাক হয়ে,
ঝিঁঝিঁ পোকার বাগানে হানা দেয়
একদল মরুভূমির জলদস্যু।।
নির্জন বিকেল শেষে অন্ধকারে নিমগ্ন রাতের আকাশ
চাঁদের হেয়ালির ফাঁকে উঠে এলো রেজোয়ান।
তখনই প্রচণ্ড বেগে ধেয়ে এলো সাইমুম,
লন্ড ভন্ড করে দিলো দেবানন্দে থাকা কোন অপ্সরীর ঘুম।
আলপিন ফোটানো যন্ত্রণার এক নির্ঘুম সকাল,
পরিণত হয় শ্রাবণ ঝরা সজল বিকালে।
পলাশের গন্ধে ছুটে নামে রিনঝিন মেঘরুদ্র।।
মনের গহিনে চাঁদের বুড়ি মত
উঁকি দেয় কোন এক বনসাই মেয়ে...
যেখানে ভোরের প্রথম আলোয়,
ধ্যানমগ্ন একজন নীলসাধু আমায় সুধায়
কেন এই কবিতা তোমার....
উত্তরে বলি------
এই মন যে আমার ইচ্ছেঘুড়ি
মন যা চায় তাই লিখে ফেলি।।
*******************