আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম

এই ব্লগে আসার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা যদি ভালো লাগে তবে মন্তব্য দিন। আপনার মন্তব্য আমার লেখা উন্নয়নে সহায়তা করবে। পড়তে থাকুন এবং নিয়মিত চোখ রাখুন।

ফেসবুকে পছন্দ করেছেন

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৩

অনিয়মিত শব্দক্ষরন


পরিনামে পরিনত শাশ্বত জীবন অবারিত
যবে পতিত পল্লব মণ্ডিত নিস্পলক আঁখি গহীনে,
যেন শত বর্ষের অদম্য পিপাসায় পিপাসার্ত
সলিলে সমাহিত করে অবধারিত নিয়তি,
যেন পূরণ করে আকূতি যত মানসপটে
সবিনয়ে নিবেদন আজ শুধু বিরানে বিলীন।
কন্টক দুর্ভেদ্য চিন্তামালার খোলা জানালা
কেবলই খুলে দেয়া দুর্গ্রহের ধোয়ার্ত চিমনি।
প্রতীয়মান আজ অপেক্ষার প্রহর গুলোর নিশ্চুপতা
কোন মোহে বিচ্যুত তায় কক্ষপথ হতে কক্ষমাত্রায়।
নির্লোভ কামুক চাহুনির তীব্র থেকে তীব্রতর জ্বালা
আজ কেবলই পর্যবাসিত শীৎকারের উল্লাসিতায়।

উদ্ভট উশৃঙ্খল কথামালা, অনিয়মিত শব্দক্ষরণ,
সাগর মন্থনে যেন সর্পরাজ বাসুকির দু'পাশে
দেব আর অসুরের পরিমিত সঞ্চালনের ছোঁয়া।
মন্থন রস যেথা এক একটি উপপাদ্যের প্রতিপাদন।
প্রতিপাদিত প্রতি উপপাদ্য অন্তঃস্থকরন সাপেক্ষে
নিঃসৃত যেন অমৃত, যেখানেও আছে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব।
দেব আর অসুর সম্মুখে আবার প্রতিস্থাপনে স্বীয় প্রতিপত্তি
অবশেষে এক উর্বশী কুমারী অবতারেই সম্পন্ন যজ্ঞ।

শুক্রবার, ৭ জুন, ২০১৩

 গ্যাস্ট্রিক সম্পর্কে কিছু কথা



মরা সাধারনত গ্যস্ট্রিক বলতে পাকস্থলী কে বুঝি। মুখ দিয়ে খাবার গ্রহন করার পর তা ইসোফেগাস (Esophagus) বা খাদ্যনালী হয়ে Stomach এ যায়। এই Esophagus এবং Stomach এর মাঝখানে থাকে Esophageal sphincter. যাকে গেটকিপার ও বলা হয়। আমাদের পাকস্থলীতে থাকে কন্সেন্ট্রেটেড হাইড্রোক্লোরিক এসিড। এই গেটকিপারের কারনেই তা আমাদের খাদ্যনালীতে উঠে আসতে পারে না। এবং আমাদের পাকস্থলীর একেবারে ভেতরের লেয়ারে থাকে মিউকাস স্তর যা আমাদের পাকস্থলী কে এই এসিড থেকে রক্ষা করে।

পাকস্থলীর প্যারাইটাল সেল নামক একটি অংশ থেকেই এই এসিড তৈরি হয়। এসিডের কাজ হচ্ছে পরিপাকে সহায়তা করা এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কে মেরে ফেলা। খাবারের গন্ধ পেলে বা খাবার সময় হলেই এই এসিড এর নিঃসরণ বেড়ে যায়, তাই সঠিক সময়ে অল্প হোক, বেশি হোক কিছু না কিছু খাওয়া প্রয়োজন, নাহলে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়ে যেতে পারে। গ্যাস্ট্রিক এর বিভিন্ন সমস্যার কারনে আমরা সাধারনত, এন্টাসিড, রেনিটিডিন, ওমিপ্রাজল, ইসোমিপ্রাজল, রেবিপ্রাজল ইত্যাদি ঔষুধ খেয়ে থাকি। যখন পাকস্থলীতে এসিডিটি বা এসিডিক গ্যাস বেড়ে যায় বা গ্যাস ফর্ম হয়ে যায় তখন সেই এসিডিটি কমানোর জন্য এন্টাসিড বা ক্ষার দেয়া হয়। যা এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবন ও পানি তৈরি করে।

আবার যদি এমন হয় যে আপনি কোন খাবার খেলে গ্যাস ফর্ম হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন, তবে সেই খাবার খাওয়ার আগে খেয়ে নেবেন ওমিপ্রাজল, যা প্রোটন পাম্প ইনহিবিটর অর্থাৎ তা এসিড নিঃসরণকে বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ ওমিপ্রাজল আপনাকে খেতে হবে খাওয়ার আগে। আবার মাঝে মাঝে অতিরিক্ত গ্যাস পাকস্থলীতে জমা হলে তা Esophageal sphincter কে ধাক্কা দিয়ে খুলে দেয় এবং কিছু এসিডিক কন্টেন্ট Esophagus এ প্রবেশ করে। পেটে তো মিউকাস আবরন আছে, কিন্তু Esophagus এ তো নেই। তখনই বুক জ্বালাপোড়া করে। এবং এই ঘটনা ঘটার সময় তা আমাদের হার্টেও কিছু প্রভাব ফেলে যেটাকে হার্ট বার্ন বলে। অনেকে এই হার্ট বার্ন কে মাইল্ড হার্ট এট্যাক বলে মনে করে। এই সমস্যার জন্য খাবার আগে, পরে বা খাবার খাওয়ার মাঝেও আপনি খেতে পারেন ইসোমিপ্রাজল।

কিছু ঔষুধের নামঃ
##এন্টাসিড, এভলোসিড
##ওমিপ্রাজল এর মধ্যে আছে, জেল্ড্রিন, সেকলো, পিপিআই
##ইসোমিপ্রাজল এর মধ্যে আছে, ইসোমেপ, মাক্সপ্রো, ইসনিক্স

trafficG